প্রশাসন থেকে ধূপখোলা মাঠের পরামর্শ দেয়া হয়েছে: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য প্রশাসন বিকল্প হিসেবে ধূপখোলা মাঠের পরামর্শ দিয়েছে। অথচ ধূপখোলা মাঠ আর মাঠ নেই। তারা এমন কিছু স্থানের কথা বলছে- যেখানে মাঠের চিহ্ন নেই। প্রশাসনের নতুন কর্মকর্তাদের হয়তো ঢাকার মাঠ নিয়ে ধারণা নেই। এক সময় পল্টন ময়দান ছিল, তা আজ হারিয়ে গেছে। সরকারই এসব মাঠ ধ্বংস করে দিচ্ছে। 

 

আজ (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, নয়াপল্টনেই হবে ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশ। যদি গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়, আমরা ভেবে দেখবো।

 

আগামী ১০ ডিসেম্বর নিয়ে সরকার অহেতুক আতঙ্কিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বাসায় ঘুমাতে পারছে না। আওয়ামী লীগেও ঘুমাতে পারছে না, কারণ তারাও ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছে। প্রতিদিন আমাদের নেতাকর্মী গ্রেফতার হচ্ছে।

 

বিএনপির এই নেতা বলেন, আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগের বেলায় এক, বিএনপি বেলায় আরেক আইন কেন? নয়াপল্টনেই সমাবেশ করব। আমাদের সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ সভা। ভিন্ন কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে।

 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করবে, আমরা আমাদের কাজ করব। তবে আশা করব- প্রশাসন দলীয় আচরণ করবে না। সব ভয় উপেক্ষা করে আমাদের নেতাকর্মীরা পল্টনে আসছেন।

 

তিনি বলেন, পুলিশের কাজ পুলিশ করবে, আমাদের কাজ আমরা করব। কিন্তু পুলিশ যেন কোনো দলের হাতিয়ার না হয়ে যায়। পুলিশকে মনে রাখতে হবে তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী।

 

মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার যদি আমাদের পছন্দের জায়গা প্রস্তাব না দিলে পল্টনই আমাদের পছন্দের জায়গা।

 

সংবাদ সম্মেলনের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহ-সাংগঠনের সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিপু, স্বেচ্ছাসেবক সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ওলামা দলের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদ হেলেন জেরিন খান  প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ দুর্গাপূজা এক মণ্ডপে ২০০-র বেশি প্রতিমা-বিগ্রহ! লাখো ভক্তের সমাগমের প্রস্তুতি

» সিটি ব্যাংক ও গার্ডিয়ানের অংশীদারিত্বে প্রথমবারের মত ব্যাংকিং অ্যাপ থেকে ইন্স্যুরেন্স পলিসি কিনতে পারবেন গ্রাহকেরা

» ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিজিটাল বীমা পলিসি ডক্যুমেন্ট প্রদানের সেবা চালু করল মেটলাইফ বাংলাদেশ

» নওগাঁয় মহিলাসহ ৪ ভুয়া পুলিশ আটক

» প্রাইম ব্যাংক ও প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স-এর মধ্যে পেরোল ব্যাংকিং চুক্তি স্বাক্ষর

» ইসির ২ আইন সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন

» কল্কির সিক্যুয়েল থেকেও বাদ পড়লেন দীপিকা

» সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

» বাংলাদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করেছে: টুকু

» বায়তুল মোকাররম এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ শুরু

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

প্রশাসন থেকে ধূপখোলা মাঠের পরামর্শ দেয়া হয়েছে: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য প্রশাসন বিকল্প হিসেবে ধূপখোলা মাঠের পরামর্শ দিয়েছে। অথচ ধূপখোলা মাঠ আর মাঠ নেই। তারা এমন কিছু স্থানের কথা বলছে- যেখানে মাঠের চিহ্ন নেই। প্রশাসনের নতুন কর্মকর্তাদের হয়তো ঢাকার মাঠ নিয়ে ধারণা নেই। এক সময় পল্টন ময়দান ছিল, তা আজ হারিয়ে গেছে। সরকারই এসব মাঠ ধ্বংস করে দিচ্ছে। 

 

আজ (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, নয়াপল্টনেই হবে ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশ। যদি গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়, আমরা ভেবে দেখবো।

 

আগামী ১০ ডিসেম্বর নিয়ে সরকার অহেতুক আতঙ্কিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বাসায় ঘুমাতে পারছে না। আওয়ামী লীগেও ঘুমাতে পারছে না, কারণ তারাও ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছে। প্রতিদিন আমাদের নেতাকর্মী গ্রেফতার হচ্ছে।

 

বিএনপির এই নেতা বলেন, আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগের বেলায় এক, বিএনপি বেলায় আরেক আইন কেন? নয়াপল্টনেই সমাবেশ করব। আমাদের সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ সভা। ভিন্ন কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে।

 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করবে, আমরা আমাদের কাজ করব। তবে আশা করব- প্রশাসন দলীয় আচরণ করবে না। সব ভয় উপেক্ষা করে আমাদের নেতাকর্মীরা পল্টনে আসছেন।

 

তিনি বলেন, পুলিশের কাজ পুলিশ করবে, আমাদের কাজ আমরা করব। কিন্তু পুলিশ যেন কোনো দলের হাতিয়ার না হয়ে যায়। পুলিশকে মনে রাখতে হবে তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী।

 

মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার যদি আমাদের পছন্দের জায়গা প্রস্তাব না দিলে পল্টনই আমাদের পছন্দের জায়গা।

 

সংবাদ সম্মেলনের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহ-সাংগঠনের সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিপু, স্বেচ্ছাসেবক সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ওলামা দলের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদ হেলেন জেরিন খান  প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com