প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের আবার বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। প্রায় এক যুগ পর বৃত্তি পরীক্ষা দিতে পারবে ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বন্ধ থাকায় পৃথক এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আগেই জানানো হয়েছে- চলতি বছরের ৫ম শ্রেণি সমাপ্ত শিক্ষার্থীদের ‘প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা’ ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
বাংলা, ইংরেজি, বিজ্ঞান ও গণিত— এই চার বিষয়ে একদিনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২ ঘণ্টায় শিক্ষার্থীদের ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। তবে সব শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ থাকবে না।
যারা স্কুলের বার্ষিক মূল্যায়নে ভালো করেছে, সেখান থেকে শীর্ষ ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। তবে কেউ পরীক্ষা না দিতে চাইলেও তাকে বাধ্য করা হবে না। ইউনিয়ন-ভিত্তিক এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালুর পর এর ভিত্তিতেই বৃত্তি দেয়া শুরু হয়। কিন্তু গত দুই বছর পিইসি পরীক্ষা হয়নি। সরকার ঘোষণা করেছে, এ দুই পরীক্ষা আর হবে না। ফলে বন্ধ ছিল প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি।
তবে চলতি বছর থেকে এই পরীক্ষা আবার শুরু হলো। শিক্ষা সমাপনী চালুর আগে শিক্ষার্থীদের পৃথক বৃত্তি পরীক্ষায় বসতে হতো।