আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের শেয়ারের কিছু অংশ তার ভাই-বোন, শ্বশুর-শাশুড়ি ও শ্যালককে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
যেহেতু রাসেল ও তার স্ত্রী কারাগারে তাই তারা জেলগেটে বসে বা কারাগারেই শেয়ার হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। ইভালির গ্রাহকপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডির স্বজনদের পক্ষে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক (কোম্পানি কোর্ট) বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা বোর্ডের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মোরশেদ আহমেদ খান। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
এছাড়া ইভ্যালির পরিচালনায় হাইকোর্টের নির্দেশনায় মনোনীত বোর্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য, স্ট্যাটাস ও ভিডিও দেওয়ার ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশ ও তলবে ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একক (কোম্পানি কোর্টের) বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাসেলের ভাই-বোন, শ্বশুর-শাশুড়ি ও শ্যালক আদালতের কাছে আর্জি জানান, তারা প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠন, পরিচালনা এবং সমস্যা সমাধানের কাজে অংশগ্রহণ করতে চান। তাদের সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ আদালত এই আদেশ দেন বলে জানান সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে।
গত ১৮ অক্টোবর আদালত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি দেখভাল করতে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করেন। সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম