কর্মজীবী মাকে প্রায়ই ‘লোভী’ বলা হয়, অথচ তার চ্যালেঞ্জের শেষ নেই

যিনি অর্থ উপার্জনের সঙ্গে জড়িত পরিবারে আর্থিক চাহিদা মেটানোর চাপ তার থাকে। অন্যদিকে সামাজিক বাধ্যবাধকতা মেটানোর বোঝা বইতে হয়। সবার যত্ন নেয়ার প্রয়োজনীয়তা এই লোকদের মাঝে মাঝে খুব কঠিন করে তোলে। 

 

কর্মজীবী মাকে সন্তান লালন-পালন করতে হবে আবার তার সঙ্গে সন্তানকে সুন্দর জীবন দিতেও কাজ করতে হবে। সকালে অফিসে তাড়াহুড়া করা, ফোন কল অ্যাটেন্ড করা, মিটিংয়ে যাওয়া এবং তারপরে বাড়িতে ছুটে আসা এবং বাড়ি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের যত্ন নেয়ার দায়িত্ব থাকে।

 

কর্মজীবী মায়ের জন্য পুরো দিনটি বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সন্তানের প্রতিটি প্রয়োজনকে প্রথম অগ্রাধিকার দিতে হয়, যার কারণে সে নিজে এবং তার কর্মজীবন অনেক সময় পেছনে পরে যেতে বাধ্য।

 

কর্মজীবী মায়ের কাজ দ্বিগুণ হয়ে যায়। দেখে নিন সেগুলো কী কী:

>>কখনো কখনো কর্মজীবী মায়েরা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েন। উদাহরণস্বরূপ, ক্লায়েন্টের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আছে এবং একই দিনে আপনাকে সন্তানের প্যারেন্ট মিটিং রয়েছে। দুইটির মধ্যে কোনটি নির্বাচন করবেন তার সিদ্ধান্ত নেয়া জটিল।

>>কর্মজীবী মাকে প্রায়ই লোভী এবং স্বার্থপর বলা হয়। সমাজে কর্মজীবী মা ভালো মা হিসেবে বিবেচিত নাও হতে পারেন। যদি একজন নারী একটি সফল ব্যবসা বা চাকরি করেন, তাহলে মা হিসাবে তার ভূমিকা প্রায়শই বিচার করা হয়।

>>কর্মজীবী মায়েরা খুব কমই ভালো ঘুমের সময় পান। তাদের সময়মতো কাজ শেষ করা, বাচ্চাদের মিটিং এবং হোমওয়ার্ক, অ্যাসাইনমেন্ট সব ঠিকঠাক হলো কিনা খেয়াল করতে হয়। তারা চব্বিশ ঘন্টা কাজ করে এবং কখনো কখনো তাদের ঘুম ত্যাগ করতে হয়।

সূএ: ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» শিবির প্যানেলের চার নারী প্রার্থীই বিজয়ী

» “দুর্জন যে বিদ্বান হলেও সর্বদা পরিত্যাজ্য”: গণেশ

» ডাকসুতে ছাত্রলীগের সঙ্গে আঁতাত করেছে শিবির: মির্জা আব্বাস

» সবার আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দাবি করেছে জামায়াত: মাসুদ সাঈদী

» গভীর ষড়যন্ত্রের ফল হচ্ছে ডাকসু নির্বাচন : প্রিন্স

» গণেশ লুঙ্গির আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিপ্লবী নয় :বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়

» ডাকসু বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানালেন সাবেক ভিপি নুর

» ডাকসু নির্বাচন জাতীয় ভোটের প্রতিফলন না: মান্না

» যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উন্নত ও সুদৃঢ় করতে চায় জামায়াত

» জামালপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কর্মজীবী মাকে প্রায়ই ‘লোভী’ বলা হয়, অথচ তার চ্যালেঞ্জের শেষ নেই

যিনি অর্থ উপার্জনের সঙ্গে জড়িত পরিবারে আর্থিক চাহিদা মেটানোর চাপ তার থাকে। অন্যদিকে সামাজিক বাধ্যবাধকতা মেটানোর বোঝা বইতে হয়। সবার যত্ন নেয়ার প্রয়োজনীয়তা এই লোকদের মাঝে মাঝে খুব কঠিন করে তোলে। 

 

কর্মজীবী মাকে সন্তান লালন-পালন করতে হবে আবার তার সঙ্গে সন্তানকে সুন্দর জীবন দিতেও কাজ করতে হবে। সকালে অফিসে তাড়াহুড়া করা, ফোন কল অ্যাটেন্ড করা, মিটিংয়ে যাওয়া এবং তারপরে বাড়িতে ছুটে আসা এবং বাড়ি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের যত্ন নেয়ার দায়িত্ব থাকে।

 

কর্মজীবী মায়ের জন্য পুরো দিনটি বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সন্তানের প্রতিটি প্রয়োজনকে প্রথম অগ্রাধিকার দিতে হয়, যার কারণে সে নিজে এবং তার কর্মজীবন অনেক সময় পেছনে পরে যেতে বাধ্য।

 

কর্মজীবী মায়ের কাজ দ্বিগুণ হয়ে যায়। দেখে নিন সেগুলো কী কী:

>>কখনো কখনো কর্মজীবী মায়েরা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েন। উদাহরণস্বরূপ, ক্লায়েন্টের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আছে এবং একই দিনে আপনাকে সন্তানের প্যারেন্ট মিটিং রয়েছে। দুইটির মধ্যে কোনটি নির্বাচন করবেন তার সিদ্ধান্ত নেয়া জটিল।

>>কর্মজীবী মাকে প্রায়ই লোভী এবং স্বার্থপর বলা হয়। সমাজে কর্মজীবী মা ভালো মা হিসেবে বিবেচিত নাও হতে পারেন। যদি একজন নারী একটি সফল ব্যবসা বা চাকরি করেন, তাহলে মা হিসাবে তার ভূমিকা প্রায়শই বিচার করা হয়।

>>কর্মজীবী মায়েরা খুব কমই ভালো ঘুমের সময় পান। তাদের সময়মতো কাজ শেষ করা, বাচ্চাদের মিটিং এবং হোমওয়ার্ক, অ্যাসাইনমেন্ট সব ঠিকঠাক হলো কিনা খেয়াল করতে হয়। তারা চব্বিশ ঘন্টা কাজ করে এবং কখনো কখনো তাদের ঘুম ত্যাগ করতে হয়।

সূএ: ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com