রক্তে যদি ইউরিক এসিড বেড়ে যায়

রক্তে ইউরিক এসিড হয় ৭ মিলিগ্রাম /১০০ মিলিলিটারের বেশি হলে। তা থেকে হতে পারে বেদনার আরথ্রাইটিস “গাউট ” গেঁটে বাত। রক্তে ইউরিক এসিডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে হৃদরোগ, কিডনি রোগ, ডায়েবেটিস। পিউরিন শরীরে ভাঙলে ইউরিক এসিড শরীরে তৈরি হয়। রেড মিট, অরগান মিট, বিনস, সামুদ্রিক খাবার ইত্যাদিতে পিউরিন পাওয়া যায়।

 

সাধারণত প্রস্রাবের সঙ্গে ইউরিক এসিড বেরিয়ে যায়। যখন খুব বেশি ইউরিক এসিড তৈরি হয় বা যা তৈরি হয় তা কিডনি নিস্কাসন করতে পারে না তখন রক্তে জমতে থাকে। বেশি ইউরিক এসিড রক্তে হলে গঠিত হয় স্ফটিক। এসব জমা হয় হাড়ের গিঁটে আর কিডনিতে। দেহের রোগ প্রতিরোধী শ্বেতকনিকা এদের আক্রমণ করে। এতে ব্যথা আর প্রদাহ হয়।

 

গেঁটে বাত গিঁটে খুব ব্যথা হলে হয়। গিঁট দৃঢ় হয়ে যায়, আক্রান্ত গিঁট নড়াতে কষ্ট হয়। লাল হয়ে যায়, ফুলে যায়। অনেক দিন রক্তে ইউরিক এসিড বেশি থাকলে হয় টো ফাই TOPHI। শক্ত এই স্ফোটক জমা হয় ত্বকের নিচে, গিঁটের চার পাশে , কানে। কিডনিতে হতে পারে পাথুরি।

 

যে কারণে এটা হয় : মদপান, কিছু হৃদরোগের ওষুধ খেলে, সিসার কাছাকাছি এলে, কীটনাশকের মুখোমুখি হলে। এছাড়া কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ রক্তগ্লুকোজ, স্থুলতা ও হাইপ থাইরয়েডের কারণেও এটা হতে পারে।

 

রোগ নির্ণয়ে রক্তে ইউরিক এসিড মান আর ক্রিয়েটিনিনের মান নির্ণয় করতে হবে। পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা প্রস্রাবে ইউরিক এসিড মান পরীক্ষা করতে হবে। চিকিৎসার জন্য ওষুধ দেবেন ডাক্তার এনএসএআইডি, কলচিসিন, প্রবেনেসি ড, এলপিউরিনল ফেবুক্সস টাট ।

 

কি কি খাবার এড়িয়ে যাবেন :রেড মিট, চিনিযুক্ত খাবার আর পানীয়, অরগান মিট যেমন কলিজা, মিট গ্রাভিস, সামুদ্রিক খাবার, শীতল পানির মাছ, পালং শাক, মটর শুঁটি, মাশরুম, বিনস, ডাল, ও টমিল, তুষ, বিয়ার আর এলকোহল। পাশাপাশি প্রচুর পানি খান, ব্যায়াম করুন এবং ওজন ঠিক রাখুন। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিশেষ অভিযানে ১৪৭৮ জন গ্রেফতার

» মৌলিক সংস্কারে ঐকমত্য অনেক দূর: আখতার হোসেন

» একজন উপদেষ্টা স্বার্থসিদ্ধির জন্য মুরাদনগরে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন: ফখরুল

» মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি ‘বিএনপি কর্মী নয়’: রিজভী

» ইমাম ও খতিবদের বেতন ২০১৫ সালের পে স্কেল অনুযায়ী দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি

» সবার জন্য বাসযোগ্য ও বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়তে চাই: প্রধান উপদেষ্টা

» বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে কানাডার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

» গ্রীষ্মে খাবার সতেজ রাখার স্মার্ট উপায়

» আউটওয়ার্ড রেমিটেন্সের জন্য ভিসা ডিরেক্ট ফর অ্যাকাউন্ট চালু করতে ভিসার সঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংকের চুক্তি

» বড়াইগ্রামে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এক বৃদ্ধ গ্রেফতার

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

রক্তে যদি ইউরিক এসিড বেড়ে যায়

রক্তে ইউরিক এসিড হয় ৭ মিলিগ্রাম /১০০ মিলিলিটারের বেশি হলে। তা থেকে হতে পারে বেদনার আরথ্রাইটিস “গাউট ” গেঁটে বাত। রক্তে ইউরিক এসিডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে হৃদরোগ, কিডনি রোগ, ডায়েবেটিস। পিউরিন শরীরে ভাঙলে ইউরিক এসিড শরীরে তৈরি হয়। রেড মিট, অরগান মিট, বিনস, সামুদ্রিক খাবার ইত্যাদিতে পিউরিন পাওয়া যায়।

 

সাধারণত প্রস্রাবের সঙ্গে ইউরিক এসিড বেরিয়ে যায়। যখন খুব বেশি ইউরিক এসিড তৈরি হয় বা যা তৈরি হয় তা কিডনি নিস্কাসন করতে পারে না তখন রক্তে জমতে থাকে। বেশি ইউরিক এসিড রক্তে হলে গঠিত হয় স্ফটিক। এসব জমা হয় হাড়ের গিঁটে আর কিডনিতে। দেহের রোগ প্রতিরোধী শ্বেতকনিকা এদের আক্রমণ করে। এতে ব্যথা আর প্রদাহ হয়।

 

গেঁটে বাত গিঁটে খুব ব্যথা হলে হয়। গিঁট দৃঢ় হয়ে যায়, আক্রান্ত গিঁট নড়াতে কষ্ট হয়। লাল হয়ে যায়, ফুলে যায়। অনেক দিন রক্তে ইউরিক এসিড বেশি থাকলে হয় টো ফাই TOPHI। শক্ত এই স্ফোটক জমা হয় ত্বকের নিচে, গিঁটের চার পাশে , কানে। কিডনিতে হতে পারে পাথুরি।

 

যে কারণে এটা হয় : মদপান, কিছু হৃদরোগের ওষুধ খেলে, সিসার কাছাকাছি এলে, কীটনাশকের মুখোমুখি হলে। এছাড়া কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ রক্তগ্লুকোজ, স্থুলতা ও হাইপ থাইরয়েডের কারণেও এটা হতে পারে।

 

রোগ নির্ণয়ে রক্তে ইউরিক এসিড মান আর ক্রিয়েটিনিনের মান নির্ণয় করতে হবে। পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা প্রস্রাবে ইউরিক এসিড মান পরীক্ষা করতে হবে। চিকিৎসার জন্য ওষুধ দেবেন ডাক্তার এনএসএআইডি, কলচিসিন, প্রবেনেসি ড, এলপিউরিনল ফেবুক্সস টাট ।

 

কি কি খাবার এড়িয়ে যাবেন :রেড মিট, চিনিযুক্ত খাবার আর পানীয়, অরগান মিট যেমন কলিজা, মিট গ্রাভিস, সামুদ্রিক খাবার, শীতল পানির মাছ, পালং শাক, মটর শুঁটি, মাশরুম, বিনস, ডাল, ও টমিল, তুষ, বিয়ার আর এলকোহল। পাশাপাশি প্রচুর পানি খান, ব্যায়াম করুন এবং ওজন ঠিক রাখুন। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com