শিশুর ঠান্ডা লাগলে…

পরিবারের ছোট্ট সদস্যকে নিয়ে সবার যত চিন্তা। বিশেষ করে এই শীত ঋতু এলেই সবার আগে আক্রান্ত হয় শিশুরা। চিকিৎসকরা বলছেন, ঠান্ডা লাগলে শিশুকে যত কম মাংস খেতে দেবেন, ততই ভাল। কারণ মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যাতে গলার ভিতরে মিউকাসের সৃষ্টি হতে পারে। এতে শিশুর অস্বস্তি বাড়বে। 

আরো করণীয় সম্পর্কে জানুন:

 

শিশুর পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম প্রয়োজন। বলা হয়, শিশুদের অন্তত ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। এতে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

 

শীতকালে শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দিন। নিয়মিত যেন তারা গোসল করে। তবে ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে দেবেন না। উষ্ণ গরম পানিতে গোসল করলে শরীর চাঙ্গা থাকবে। শিশু বেশি ছোট হলে তাকে রোদে গরম করা পানি দিয়ে গোসল করাতে পারেন।

 

চকোলেট, ক্যান্ডি, মিষ্টি আপনার শিশুর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। বিশেষ করে ঠান্ডার সময়। বেশি মিষ্টতা রক্তে হোয়াইট ব্লাড সেলস তৈরির গতি কমিয়ে দেয়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে সহজে ঠান্ডা লাগতে পারে। তাই চকোলেট, ক্যান্ডি, মিষ্টি শিশুর থেকে একটু দূরেই রাখুন।

 

ঠান্ডার এই সময়ে শিশুকে বাইরে খেলতে পাঠান। এতে যেমন শরীরচর্চা হবে, তেমনই মন ভালো থাকবে। তবে সন্ধ্যার আগেই তাদের বাড়ি ফিরে আসতে বলবেন।

 

ঠান্ডার এই সময় শিশুদের পানি খাওয়া কমে যায়। কতটা পরিমাণ এই সময় শিশুর শরীরের পক্ষে আবশ্যক তা খেয়াল রাখুন। সেই পরিমাণ পানিই তাকে দিন। এতে শিশুর শরীরে ভারসাম্য বজায় থাকবে।

সিজন চেঞ্জের এই সময়ে শিশুদের খাবারে যাতে ভিটামিন সি ও আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। যেমন লেবু, টমেটো, স্ট্রবেরি, ব্রকোলি জাতীয় খাবার খাওয়াবেন। আবার শীতের তাজা সবজিও খাবারে দেবেন।  সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» শিবির প্যানেলের চার নারী প্রার্থীই বিজয়ী

» “দুর্জন যে বিদ্বান হলেও সর্বদা পরিত্যাজ্য”: গণেশ

» ডাকসুতে ছাত্রলীগের সঙ্গে আঁতাত করেছে শিবির: মির্জা আব্বাস

» সবার আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দাবি করেছে জামায়াত: মাসুদ সাঈদী

» গভীর ষড়যন্ত্রের ফল হচ্ছে ডাকসু নির্বাচন : প্রিন্স

» গণেশ লুঙ্গির আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিপ্লবী নয় :বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়

» ডাকসু বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানালেন সাবেক ভিপি নুর

» ডাকসু নির্বাচন জাতীয় ভোটের প্রতিফলন না: মান্না

» যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উন্নত ও সুদৃঢ় করতে চায় জামায়াত

» জামালপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শিশুর ঠান্ডা লাগলে…

পরিবারের ছোট্ট সদস্যকে নিয়ে সবার যত চিন্তা। বিশেষ করে এই শীত ঋতু এলেই সবার আগে আক্রান্ত হয় শিশুরা। চিকিৎসকরা বলছেন, ঠান্ডা লাগলে শিশুকে যত কম মাংস খেতে দেবেন, ততই ভাল। কারণ মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যাতে গলার ভিতরে মিউকাসের সৃষ্টি হতে পারে। এতে শিশুর অস্বস্তি বাড়বে। 

আরো করণীয় সম্পর্কে জানুন:

 

শিশুর পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম প্রয়োজন। বলা হয়, শিশুদের অন্তত ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। এতে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

 

শীতকালে শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দিন। নিয়মিত যেন তারা গোসল করে। তবে ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে দেবেন না। উষ্ণ গরম পানিতে গোসল করলে শরীর চাঙ্গা থাকবে। শিশু বেশি ছোট হলে তাকে রোদে গরম করা পানি দিয়ে গোসল করাতে পারেন।

 

চকোলেট, ক্যান্ডি, মিষ্টি আপনার শিশুর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। বিশেষ করে ঠান্ডার সময়। বেশি মিষ্টতা রক্তে হোয়াইট ব্লাড সেলস তৈরির গতি কমিয়ে দেয়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে সহজে ঠান্ডা লাগতে পারে। তাই চকোলেট, ক্যান্ডি, মিষ্টি শিশুর থেকে একটু দূরেই রাখুন।

 

ঠান্ডার এই সময়ে শিশুকে বাইরে খেলতে পাঠান। এতে যেমন শরীরচর্চা হবে, তেমনই মন ভালো থাকবে। তবে সন্ধ্যার আগেই তাদের বাড়ি ফিরে আসতে বলবেন।

 

ঠান্ডার এই সময় শিশুদের পানি খাওয়া কমে যায়। কতটা পরিমাণ এই সময় শিশুর শরীরের পক্ষে আবশ্যক তা খেয়াল রাখুন। সেই পরিমাণ পানিই তাকে দিন। এতে শিশুর শরীরে ভারসাম্য বজায় থাকবে।

সিজন চেঞ্জের এই সময়ে শিশুদের খাবারে যাতে ভিটামিন সি ও আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। যেমন লেবু, টমেটো, স্ট্রবেরি, ব্রকোলি জাতীয় খাবার খাওয়াবেন। আবার শীতের তাজা সবজিও খাবারে দেবেন।  সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com