বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বর্তমানে দেশে যে আলামত ও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে- এতে একমুহূর্ত ভাবার উপায় নাই যে এ সরকার টিকবে। সরকার যে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না সে আলামত তারা বুঝতে পেরেছে। তাই আগামীর দিন বিএনপির দিন।
আজ(১৮ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, ফয়সালা ১০ তারিখে হতে পারে আগেও হতে পারে। গণঅভ্যুত্থান যে হবে এটা নিশ্চিত থাকেন। তার আলামত ও লক্ষণ আপনি যদি রাজনীতি করে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন গণঅভ্যুত্থান হওয়ার আলামতগুলো। বর্তমান যে আলামত ও লক্ষণ এতে একমুহূর্ত ভাবার উপায় নাই যে এ সরকার টিকবে। সরকার যে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না সে আলামত তারা বুঝতে পেরেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এমন একটা শাসনব্যবস্থা আমরা প্রত্যক্ষ করছি যা গত ৫১ বছরে আমরা দেখিনি। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, আদর্শহীন রাজনীতিবিদ এদের যে দাপট এ এক অভাবনীয় ঘটনা। সরকারআশ্রিত কিছু সাংবাদিক তারা সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বানাচ্ছে।
দুদু আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যিনি সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী, তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। জীবনে কোনো নির্বাচনে হারেননি। এ রকম একজন ব্যক্তিকে তথাকথিত মামলায় সাজা দিতে হবে, এ রকম রাষ্ট্র পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। তিন থেকে চারটি বছর তাকে জেলখানায় রাখা হয়েছে। দুর্নীতিবাজ খুনিরা জামিন পেয়ে বিদেশে চলে যায়। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয় না।
তিনি বলেন, পুলিশ-প্রশাসনে যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চাকরিচ্যুত হবেন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে তাদের শুধু চাকরি ফেরত দেওয়া হবে না যথাযথ ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। আর যারা আমাদের নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে নির্যাতন করছে মামলা দিচ্ছে জেলখানায় নিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, একটা বিষয় ফয়সালা হয়েছে বিএনপির কর্মীরা এখন আর ভয় পায় না। গত ছয়টা সমাবেশে তা প্রমাণিত হয়েছে। আগামীকাল সিলেটের সমাবেশে জনসমুদ্র হবে।
তিনি বলেন, ঢাকায় জনসমাবেশ করতে আমরা নির্দিষ্ট একটা জায়গা চেয়েছি, দিলে ভালো। আর টালবাহানা করে কোনো লাভ নেই। সারা ঢাকা শহরে মানুষ দিয়ে সয়লাব হয়ে যাবে। নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় তখন সমাবেশ হবে না। সারা শহরেই তিন-চারদিন ধরে সমাবেশ হবে। আমার মনে হয় ঢাকা শহরে সপ্তাহব্যাপী সমাবেশ হবে। কারণ অন্যান্য বিভাগে তিন চার দিন ধরে হয়েছে।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ১০ লক্ষ হাজার কোটি টাকা ফেরত দিতে হবে। ইলিয়াস আলীকে ফেরত দিতে হবে। যাদের গুম-খুন করেছেন তাদের ফেরত দিতে হবে। যা খুশি তাই করবেন আর এদেশের মানুষ ছেড়ে দেবে? কখনো না। প্রশ্নই ওঠে না।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ শাহজাদা মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ইয়ুথ ফোরামের মুহাম্মদ সাইদুর রহমান প্রমুখ।