রাবি শিক্ষক তাহের হত্যা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির রিভিউ শুনানি ২৪ নভেম্বর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের বিষয়ে করা রিভিউ শুনানির জন্যে আগামী ২৪ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

 

আজ (১৭ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

 

এর আগে গত ৬ অক্টোবর রাবি অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায়ের কার্যকারিতা রিভিউ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করে আদেশ দেন চেম্বারজজ আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের রিভিউ শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্য উঠে।

 

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।

 

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ রায় প্রদানকারী আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি স্বাক্ষরের পর বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ৬৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।

আপিল বিভাগ রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ড. তাহের বেঁচে থাকলে অধ্যাপক হতে পারবেন না, এমন আশঙ্কা থেকে খুন করেন মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

 

ওইদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (বর্তমানে বিচারপতি) বিশ্বজিৎ দেবনাথ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নূরুল ও মোহাম্মদ সাইফুল আলম। আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী।

 

রায় ঘোষণার সময় ড. তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ, ছেলে সানজিদ আলভী আহমেদ, মেয়ে অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ, তাদের পরিবারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি ও শাকিলা রওশন উপস্থিত ছিলেন।

 

ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ড. তাহের হত্যা ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। আজকের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো। এর মাধ্যমে অন্যদের কাছেও বার্তা যাবে যে, এ ধরনের জঘন্য অপরাধীদের ছাড় নেই।

 

আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী বলেন, আসামিদের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

ড. এস তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ বলেন, ১৬ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। আপিল বিভাগ আজ আসামিদের সাজা বহাল রেখেছেন। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। দ্রুত এ রায় কার্যকরের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করছি। রায় কার্যকর হলে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবো।

অধ্যাপক ড. তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালত চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে বেকসুর খালাস দেন। আসামিরা এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।

 

২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল হাইকোর্ট দুই আসামির ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। ওই দুই আসামি নাজমুল আলম ও আব্দুস সালামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রেখেছেন আপিল আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধেও আসামিরা আপিল করেন। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।

 

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক ড. তাহেরের মরদেহ। এর দুই দিন পর ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ইসলমাপুরে হত দরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

» ‘ইসকনের অনুমোদনই নেই, তাকে নিষিদ্ধ করার কী আছে’

» ভারতে পালাতে গিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

» মোটরসাইকেল ও ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

» সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো প্রস্তুতি আমাদের আছে: গোলাম পরওয়ার

» বহিষ্কৃত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নেবে না ইসকন

» ৯ দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

» চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষ: পুলিশের তিন মামলায় আসামি ১৪৭৬

» মোরগের আকৃতির বিল্ডিং বানিয়ে বিশ্বরেকর্ড

» শিশুর পুষ্টির ঘাটতি মেটায় যে ৫ ফল

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

রাবি শিক্ষক তাহের হত্যা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির রিভিউ শুনানি ২৪ নভেম্বর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের বিষয়ে করা রিভিউ শুনানির জন্যে আগামী ২৪ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

 

আজ (১৭ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

 

এর আগে গত ৬ অক্টোবর রাবি অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায়ের কার্যকারিতা রিভিউ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করে আদেশ দেন চেম্বারজজ আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের রিভিউ শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্য উঠে।

 

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।

 

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ রায় প্রদানকারী আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি স্বাক্ষরের পর বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ৬৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।

আপিল বিভাগ রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ড. তাহের বেঁচে থাকলে অধ্যাপক হতে পারবেন না, এমন আশঙ্কা থেকে খুন করেন মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।

 

ওইদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (বর্তমানে বিচারপতি) বিশ্বজিৎ দেবনাথ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নূরুল ও মোহাম্মদ সাইফুল আলম। আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী।

 

রায় ঘোষণার সময় ড. তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ, ছেলে সানজিদ আলভী আহমেদ, মেয়ে অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ, তাদের পরিবারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি ও শাকিলা রওশন উপস্থিত ছিলেন।

 

ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ড. তাহের হত্যা ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। আজকের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো। এর মাধ্যমে অন্যদের কাছেও বার্তা যাবে যে, এ ধরনের জঘন্য অপরাধীদের ছাড় নেই।

 

আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী বলেন, আসামিদের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

ড. এস তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ বলেন, ১৬ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। আপিল বিভাগ আজ আসামিদের সাজা বহাল রেখেছেন। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। দ্রুত এ রায় কার্যকরের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করছি। রায় কার্যকর হলে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবো।

অধ্যাপক ড. তাহের হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালত চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে বেকসুর খালাস দেন। আসামিরা এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।

 

২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল হাইকোর্ট দুই আসামির ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। ওই দুই আসামি নাজমুল আলম ও আব্দুস সালামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রেখেছেন আপিল আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধেও আসামিরা আপিল করেন। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।

 

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক ড. তাহেরের মরদেহ। এর দুই দিন পর ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com