পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অসত্য তথ্য সরবরাহ এবং তা প্রচারের অভিযোগে দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আজ (১০ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এদিন সকালে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে বাবুল আক্তারকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
বুধবার (৯ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল ইসলাম বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
যেসব কারণে বাবুল আক্তারের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে
কারাগারে থাকাকালে বাবুল আক্তার কীভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপাত্ত সাংবাদিক ইলিয়াসের কাছে সরবরাহ করেছে এবং কার কার সঙ্গে কথা বলেছেন তা জানার জন্য।
বাবুল আক্তার কার প্ররোচনায় মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারকার্য ব্যাহত করতে ভিডিও প্রকাশে সহযোগিতা করেছেন, ওই প্ররোচনাকারীর নাম, ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেফতারের জন্য।
বাবুল আক্তার কারাগারে থাকাকালে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে বাদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মানহানিকর ভয়েস রেকর্ড প্রস্তুত করেছেন কি না, ভিডিওতে থাকা ভয়েস রেকর্ডে বাবুল আকতার বাদি বনজ কুমারের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন মর্মে শোনা যায়, সেই ভয়েস রেকর্ডে থাকা কণ্ঠস্বর বাবুল আকতারের কি না বা ভয়েস রেকডের অপর প্রান্তে কে ছিল তা জানা প্রয়োজন। মামলাটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে অত্র মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. বাবুল আক্তারকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড দেওয়ার আর্জি জানায়।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে— ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে।