মেজর আখতার (অব.) : চিন্তা-চেতনায় জনগণ বিশ্বাস করে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। দেশের সব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একক অধিকার সরকারের। সরকার জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী তার সব কার্যক্রম পরিচালনা করবে। উক্ত কাজের ব্যত্যয় ঘটতে পারে তবে সেই ব্যত্যয়ের জন্য সরকার জনগণের কাছে দায়ী। সরকার জনগণের প্রয়োজনে এবং তার পররাষ্ট্রনীতির আওতায় পৃথিবীর যে কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নিতে পাারে। সে ঋণ শর্ত যুক্ত বা শর্ত মুক্ত হতে পারে। তবে যারা ঋণ দেবে তাদের সে সব শর্ত মেনে সরকার সেই ঋণ নেবে কিনা তা সরকারের একান্ত বিবেচনার বিষয়। আদর্শগতভাবে সরকার জনগণের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনা করে সহজ শর্তে ঋণ নেবে তাহাই বাস্তবতা। তবে সময়ের আলোকে জনগণের প্রয়োজনে বা জরুরি চাহিদা পূরণে বা জনগণের কোনো অতি গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পাদনের জন্য সরকার কঠিন শর্তেও ঋণ নিতে পারে। এমনকি সরকার তার কায়েমি স্বার্থেও বিদেশি ঋণ নেওয়ারও সার্বভৌম অধিকার সংরক্ষণ করে। যদিও এ ধরনের ঋণ নিলে জনগণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দিতে পারে।
সরকার কোনো ঋণ চাইলেই দাদনকারীরা বা ঋণ দিতে সক্ষম রাষ্ট্র বা প্রতিষ্ঠান ঋণ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে তা ভাবা স্বাভাবিক নয় এবং কেও ভাবছেও না। ঋণ প্রদানকারীরা যে কোনো ঋণ প্রদান করার আগে প্রথমেই তারা বিবেচনা করবে চাহিদাকৃত ঋণ প্রদান করার সক্ষমতা আছে কিনা বা তাদের চলমান ঋণ প্রদান নীতির আওতাভুক্ত কিনা। তার পরে অবশ্যই তারা দেখবে চাহিদাকৃত ঋণের যথাযথ ব্যবহারের সুস্পষ্টতা ও স্বচ্ছতা। তৃতীয়ত দেখবে ঋণ গ্রহীতা প্রতিশ্রুত মুনাফাসহ ঋণ যথাসময়ে পরিশোধ করার সক্ষমতা। চতুর্থত দেখতে পারে ঋণের জামানত বা রাষ্ট্রীয় প্রতিশ্রুতি কতটুকু আছে। সব ঋণ প্রদানকারী তাদের প্রদত্ত ঋণ যথা সময়ে আদায়ের লক্ষ্যে তাদের সুবিবেচনায় ও অনুকূল যে কোনো শর্ত আরোপ করার সম্পূর্ণ অধিকার সংরক্ষণ করে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ কোনো ঋণ প্রদানকারী রাষ্ট্র বা প্রতিষ্ঠানের থাকতে পারে না বা থাকা উচিত নয়। ঋণ প্রদান করার আগে তাদের সম্ভাব্য শর্ত নিরূপণের স্বার্থে বিভিন্ন বিষয়ে সরেজমিন যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা করার অধিকারও তারা রাখে। তবে তা কোনো অবস্থাতেই সরকারের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করার সুযোগ থাকতে পারে না। সরকারের মতামতের সঙ্গে অধীনস্থ কোনো কর্মকর্তাই দ্বিমত বা অন্য কোনো মত দেওয়ার অধিকার রাখে না। এ ধরনের আলোচনা অধীনস্থ কর্মকর্তাদের সীমা লঙ্ঘন করতে অনুপ্রাণিত করে যা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার হুমকিস্বরূপ।
সরকার বিদেশি রাষ্ট্র বা প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করে থাকে তা যেমন বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রায় গ্রহণ করা হয় তেমনি সেই ঋণ প্রতিশ্রুত মুনাফাসহ যথা সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায়ই পরিশোধ করতে হয়। কাজেই ঋণ প্রদানকারীদের মূল ফোকাস বা গুরুত্ব দেওয়া উচিত প্রাপ্ত ঋণ গ্রহণ করে সরকার সেই ঋণ যথা সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করার সক্ষমতার ওপরে। সেই সক্ষমতা অর্জন নিশ্চিত করার জন্য ঋণে বিভিন্ন শর্ত নির্ধারণ করার ক্ষমতা অবশ্যই ঋণ প্রদানকারীর থাকবে। সরকারের ঋণ গ্রহণ ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক ঋণের মতো নয়। ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক ঋণের জন্য প্রর্যাপ্ত জামানত বা নিশ্চিত পালনীয় প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন হয়। কিন্তু সরকার ঋণ গ্রহণ করে রাষ্ট্রের পক্ষে, ফলে রাষ্ট্র নিজেই সরকারের গৃহীত সব ঋণের জামানতকারী বা স্থির নিশ্চয়তাকারী। সরকারের ঋণ গ্রহণ করার সক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি, রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অবস্থান, বিভিন্ন ঋণ প্রদানকারী রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা পূরণে ঋণ গ্রহণকারী রাষ্ট্রের সক্ষমতার অংশ, বিশ্ব বাজারের তার অবস্থান, নিজস্ব চাহিদা পূরণের সক্ষমতা ও বিশ্ববাজারে রপ্তানির সুযোগ এবং সর্বোপরি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের জনগণের আর্থ-সামাজিক ও মানবিক অবস্থান ও তা উন্নত করার উত্তরোত্তর প্রচেষ্টার ওপর। ঋণ প্রদানে কোনোভাবেই রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে হস্তক্ষেপ করার শর্তাবলি কোনোভাবেই কাক্সিক্ষত হতে পারে না।
কভিট উত্তর বিশ্ব ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত বিশ্ব পরিস্থিতিতে মূলত তিনটি কারণে জরুরি বৈদেশিক ঋণ নেওয়া বাংলাদেশের জন্য অতি আবশ্যিক হয়ে পড়েছে। দেশের জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য যে কোনো শর্তে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। প্রথম কারণ হলো জনগণের চাহিদা পূরণে প্রয়োজনীয় আমদানি অব্যাহত রাখার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার ব্যাপক ঘাটতি। দ্বিতীয় কারণ হলো চলমান প্রয়োজনীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার জন্য বৈদেশিক উপকরণাদি সংগ্রহ করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজনীয়তা। তৃতীয়ত দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করার অতি প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ, বিভিন্ন আনুষঙ্গিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাদি সংগ্রহ নিশ্চিত করার জন্য এবং দেশের অভ্যন্তরে কর্মরত উচ্চপ্রযুক্তিগত বিদেশি কর্মশক্তির ব্যয়ভার বহন তথা প্রদান করার জন্য ক্রমবৃদ্ধিপ্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা পূরণের জন্য। এই তিনটি কারণেই একের সঙ্গে অন্য কারণ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমদানি কমালে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যাহত হয়। ফলে জনগণের চাহিদা পূরণে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়। এতে জনরোষ বৃদ্ধি পায়। চলমান উন্নয়ন প্রকল্প বা পদক্ষেপ স্থগিত করতে গেলে ব্যাপক কর্ম সুযোগ হ্রাস পায় এবং বেকারত্ব অসহনীয় পর্যায়ে বেড়ে যায়। যা জনরোষের কারণ হয়ে ওঠে। তৃতীয়ত মূলধনী যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করতে না পারলে রপ্তানিমুখী শিল্পে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে। পাশাপাশি আধুনিক উচ্চ প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাদি সংগ্রহে অক্ষমতা উৎপাদনের ব্যয় বৃদ্ধি করে যার ফলে বাণিজ্যিক ক্ষতির সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে উচ্চপ্রযুক্তি দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিদেশি কর্মশক্তির বেতন-ভাতা বাবদ প্রদত্ত বৈদেশিক মুদ্রার অপ্রতুলতার কারণে তাদের ধরে রাখা সম্ভব হয় না। ফলে আধুনিক প্রযুক্তিগত শিল্পের উৎপাদন দারুণভাবে ব্যাহত হয়।
উপরোক্ত সমস্যাগুলো দেশের মূল্যস্ফীতি অব্যাহতভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে জনজীবন দিন দিন চরম বিপর্যয়ের দিকে অতি বেগবান হচ্ছে। এ অবস্থার ইতিবাচক জরুরি পরিবর্তনের জন্য স্বল্প মুনাফা বা সুদে নমনীয় শর্তে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করার প্রয়োজনের সঙ্গে প্রায় সবাই একমত। সেই লক্ষ্যেই সরকার সম্প্রতি আইএমএফ থেকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু সেই ঋণ প্রদানে আইএমএফ বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দিয়ে অযথা কালক্ষেপণ করছে এবং জনগণের দুর্বিষহ অবস্থাকে আরও খারাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আইএমএফের এ ধরনের সিদ্ধান্ত জনগণের প্রায় সবার কাছে আইএমএফের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ করছে। আইএমএফের শর্তের সঙ্গে জনগণ একমত হতে পারছে না। যেমন দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের ডিজেলসহ বিভিন্ন জ্বালানি তেলের ভর্তুকি তুলে নেওয়ার জন্য অব্যাহত চাপ দিয়ে যাচ্ছে। অথচ এই ভর্তুকির সঙ্গে বৈদেশিক ঋণের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ বৈদেশিক ঋণ আমদানিকৃত জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধ করার পরে অভ্যন্তরীণ রাজারে জ্বালানি তেল বিক্রি করে পরিশোধ করার সুযোগ নেই। উল্টো ভর্তুকি তুলে নিলে ডিজেলসহ সব জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। এতে কৃষকসহ আপামর জনগণ আরও বিপর্যস্ত হবে। জ্বালানি তেলের ভর্তুকি তুলে দিলে দেশের পরিবহন ব্যবস্থা প্রচন্ড প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে পতিত হবে, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হবে, রপ্তানিমুখী দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি পেয়ে রপ্তানি সক্ষমতা দারুণভাবে কমে যাবে এবং সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও সংকুচিত হয়ে যাবে। জ্বালানি তেলের মূল্যে ভর্তুকি বন্ধ করে দিলে মূল্যস্ফীতি আকাশগামী হবে। যার ফলে জনগণ চরম ভোগান্তির শিকার হবে।
আইএমএফের আরেকটি শর্ত হলো ব্যাংকের সংস্কার ও খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা। আইএমএফের গৃহীত ঋণের সঙ্গে তথাকথিত সংস্কারের কোনো সম্পর্ক নেই। ব্যাংক কোনো বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে না এবং খেলাপি ঋণ বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন হয় না। বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক বৈদেশিক কোনো কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রিত ও দায়বদ্ধ আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়, যার ওপর বৈদেশিক কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠান খবরদারি করতে পারবে। বাংলাদেশের স্থানীয় মুদ্রার কোনো সমস্যা নেই যে, তার অভাবে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে। এ ধরনের সংস্কারের কথা বলে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাংকগুলোর সক্ষমতা নিয়ে অযথা প্রশ্ন তোলার সুযোগ সৃষ্টি করে। এই সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক কিছু বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে। দেশের সব বৈদেশিক লেনদেনে তারা ফাও কিছু কমিশন কামিয়ে নেয়। তাদের এই ফাও আর্থিক কামাই নিশ্চিত করার জন্য প্রায় সব ব্যাংকের উচ্চতর কর্মকর্তা ও বৈদেশিক বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণের নামে বিদেশে প্রমোদে ঘুরিয়ে আনে এবং বিভিন্ন উপহারাদি প্রদান করে থাকে। তাই এই শর্তের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমানোর যে সুপারিশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ জনস্বার্থ পরিপন্থী। এটিও করা হয়েছে কায়েমি স্বার্থে এবং দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর স্বার্থ বিবেচনা করে। এই দেশের ব্যাংকের সব দায়ভার সরকারের। আমানতের মাত্র শতকরা ২০ ভাগ অর্থ আমানত রেখেই ব্যাংকগুলো তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে। সেখানে জনগণের জমানো টাকার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কত দেবে সেটি নির্ধারণ করা যে কোনো সরকারের জনকল্যাণকামী একটি অতি শুভ পদক্ষেপ। সঞ্চয়পত্রে উচ্চ মুনাফা জনগণের আর্থিক নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করে। অথচ দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কায়েমি স্বার্থ জনগণের স্বার্থের চেয়ে আইএমএফ বড় করে দেখছে যা সত্যিই দুঃখজনক। প্রান্তিক জনগণই সরকারের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে থাকে।
বাংলাদেশ আইএমএফের একজন সক্রিয় সদস্য। আইএমএফের তহবিল থেকে ঋণ পাওয়া বাংলাদেশের অধিকার। ইতোমধ্যে আইএমএফের সব সদস্য রাষ্ট্র তাদের বার্ষিক চাঁদা ও বিভিন্ন বিনিয়োগের মাধ্যমে অনেক তহবিল গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো-আইএমএফের বর্ধিত ঋণ সহায়তা তহবিল (ইসিএফ), বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) এবং নতুন উদ্যোগ, সহনশীলতা ও টেকসই সহায়তা (আরএসটিএফ) কর্মসূচি। উক্ত তহবিলগুলো থেকে পর্যাপ্ত ঋণ পাওয়ার অধিকার বাংলাদেশের জনগণের রয়েছে। আইএমএফ আমলা শাসিত একটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক দাতা সংস্থা। এর মূল দায়িত্বই হলো জাতিসংঘের সনদের আওতায় বিশ্ব অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা, অনুন্নত, স্বল্প উন্নত ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্র ও জনপদের উন্নয়নে বিশ্বের সব রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখা। বিশ্বের মুদ্রা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা তাদের অন্যতম প্রধান কাজ। তাছাড়া যেসব শর্ত নিয়ে আইএমএফ দর কষাকষি করছে তা বাস্তবায়ন করার জন্যও ঋণের প্রয়োজন পড়বে। তাই সব বিবেচনায় বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থায় আইএমএফের বিভিন্ন তহবিল থেকে বিনা সুদে বা শতকরা ১ ভাগের কম সুদে ঋণ পাওয়ার অগ্রাধিকার দেশ। আইএমএফের আমলাদের অহেতুক কালক্ষেপণ না করে জনগণের ভোগান্তি ও আর্থ-সামাজিক বিপর্যয় থেকে জরুরি ভিত্তিতে ঋণ দেওয়া তাদের চরম দায়িত্ব। জরুরি ভিত্তিতে ঋণ প্রদান করার জন্য প্রয়োজনে আইএমএফের সফররত দলটি সামনে বা তাদের অবস্থানরত হোটেলের সামনে বা চলমান পথে জনগণের বিক্ষোভ করা প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করে।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন