শীতে শরীরে পানির ঘাটতি হলে যেসব সমস্যা হয়

শীতে পানি পানের পরিমাণ এমনিই কমে যায়। যেহেতু ঘাম হয়ে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শীতে কিছুটা বন্ধ থাকে, তাই পানি পানের তাগিদও কমতে থাকে এই সময়। তবে শরীর কিন্তু গরমে কাজ করতে যতটা পানি কাজে লাগায়, শীতেও জৈবিক কাজ সারতে ততটাই পানি ব্যবহার করে।

 

পরিমাণ মতো পানি না খেলে শরীরে এর ঘাটতি দেখা দেবে। আর শরীরে পানির ঘাটতি হলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়।

 

কোনও অসুখ ছাড়াও মাথা ব্যথা ও সহজে ক্লান্তি: শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে একপ্রকারের মাথা ব্যথা দেখা দেয়। এমনিতে মাইগ্রেন বা চোখের কোনও সমস্যা না থাকলেও হঠাৎই মাথা ধরলে বুঝবেন ‘ওয়াটার থেরাপি’ দরকার। শরীরে অল্পেই ঝুপ করে নেমে আসা ক্লান্তিও জানান দেয়, পানির অভাব ঘটছে। অনেকটা শ্রমের কাজ বা গা-ঘামানো কোনও কাজে ব্যস্ত থাকলে ফাঁকে ফাঁকে একটু বিরাম নিয়ে পানি পান করলে দেখবেন, সহজে ক্লান্ত হচ্ছেন না।

 

অল্পেই অসুস্থ: শীতে কথায় কথায় অসুস্থ হলে শুধু ওষুধপত্রেই ভরসা রাখবেন না। তার সঙ্গে চেষ্টা করুন পানি পানের পরিমাণও বাড়াতে। শরীরের টক্সিন ও ব্যাকটিরিয়াকে শরীর থেকে বের করে দেয় পানি। কম পানি পান করলে সেসব ভাল করে বের হতে পারে না। ফলে শরীর দুর্বল হতে থাকে। সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন বাইরের ভাইরাসে।

 

মূত্রের সময় জ্বালা: মূত্রের মাধ্যমে শরীরের অনেকটা টক্সিন বেরিয়ে যায়। কিন্তু পানি কম পান করতে থাকলে শরীর তার পর্যাপ্ত টক্সিন বয়ে নিয়ে যাওয়ার উপকরণ পায় না। তাই মূত্র কম তো হয়ই, সঙ্গে তাতে জ্বালাভাবও থাকে। পানি বেশি করে পান করেও যদি এই সমস্যা না কমে, তা হলে অবশ্যই ইউরোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

 

কোষ্ঠকাঠিন্য: পানি কম পান করলে শরীর একটা বিষয়ই বোঝে— নিজের জৈবিক কাজগুলো সারতে যেনতেন ভাবে পানির জোগানটি রাখা। তাই পানি কম খেলে কোলন বর্জ্য জমা করার সময় মল থেকেও পানিটুকু শুষে নেবে। ফলে মল কঠিন হয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।

 

খিদের আধিক্য: যেহেতু পানি আর খিদে উপলব্ধির কেন্দ্রগুলো শরীরে খুব কাছাকাছি অবস্থান করে, তাই খিদে পেয়েছে এমন মনে হলেও তা আসলে তেষ্টা পাওয়ার নির্দেশও হতেই পারে। তাই কিছু খাওয়ার কিছু ক্ষণ পরই আবার খিদে পেয়েছে বুঝলে আর বার বার এমন হতে থাকলে জোর দিন পানি পানে।

 

ত্বকের সমস্যা: শরীরে টক্সিন জমলে অবধারিতভাবে তা ত্বককে নিষ্প্রাণ করে তুলবে। রোগ ঠেকাতে সহজে পারা যাবে না বলে এর হাত ধরেই ত্বকে দেখা দেবে মৌসুমি নানা অসুখ। ত্বক খসখসে হয়ে পড়া থেকে শুরু করে ব্রণের হানা সবই কম পানি পানের কারণেও হতে পারে। সূএ: বাংলাদেশ  প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» শ্রমিককে রশি দিয়ে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা, ভিডিও ভাইরাল

» শেখ হাসিনাকে ফেরতের দাবিতে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাওয়ের ঘোষণা জাগপার

» নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন: ফখরুল

» মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নেওয়া হবে: রিজওয়ানা হাসান

» পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি

» মমতাজ-মুরাদসহ নতুন মামলায় গ্রেফতার ৪

» ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ গুঞ্জন, অভিষেক বললেন কোনো সমাধান হবে না

» দেশি অস্ত্রসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

» মাদক কিনতে টাকা না দেওয়ায় বৃদ্ধ বাবাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ছেলে  গ্রেপ্তার

» বিপুল প‌রিমাণ ইয়াবাসহ মাদক কারবা‌রি গ্রেপ্তার

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শীতে শরীরে পানির ঘাটতি হলে যেসব সমস্যা হয়

শীতে পানি পানের পরিমাণ এমনিই কমে যায়। যেহেতু ঘাম হয়ে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শীতে কিছুটা বন্ধ থাকে, তাই পানি পানের তাগিদও কমতে থাকে এই সময়। তবে শরীর কিন্তু গরমে কাজ করতে যতটা পানি কাজে লাগায়, শীতেও জৈবিক কাজ সারতে ততটাই পানি ব্যবহার করে।

 

পরিমাণ মতো পানি না খেলে শরীরে এর ঘাটতি দেখা দেবে। আর শরীরে পানির ঘাটতি হলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়।

 

কোনও অসুখ ছাড়াও মাথা ব্যথা ও সহজে ক্লান্তি: শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে একপ্রকারের মাথা ব্যথা দেখা দেয়। এমনিতে মাইগ্রেন বা চোখের কোনও সমস্যা না থাকলেও হঠাৎই মাথা ধরলে বুঝবেন ‘ওয়াটার থেরাপি’ দরকার। শরীরে অল্পেই ঝুপ করে নেমে আসা ক্লান্তিও জানান দেয়, পানির অভাব ঘটছে। অনেকটা শ্রমের কাজ বা গা-ঘামানো কোনও কাজে ব্যস্ত থাকলে ফাঁকে ফাঁকে একটু বিরাম নিয়ে পানি পান করলে দেখবেন, সহজে ক্লান্ত হচ্ছেন না।

 

অল্পেই অসুস্থ: শীতে কথায় কথায় অসুস্থ হলে শুধু ওষুধপত্রেই ভরসা রাখবেন না। তার সঙ্গে চেষ্টা করুন পানি পানের পরিমাণও বাড়াতে। শরীরের টক্সিন ও ব্যাকটিরিয়াকে শরীর থেকে বের করে দেয় পানি। কম পানি পান করলে সেসব ভাল করে বের হতে পারে না। ফলে শরীর দুর্বল হতে থাকে। সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন বাইরের ভাইরাসে।

 

মূত্রের সময় জ্বালা: মূত্রের মাধ্যমে শরীরের অনেকটা টক্সিন বেরিয়ে যায়। কিন্তু পানি কম পান করতে থাকলে শরীর তার পর্যাপ্ত টক্সিন বয়ে নিয়ে যাওয়ার উপকরণ পায় না। তাই মূত্র কম তো হয়ই, সঙ্গে তাতে জ্বালাভাবও থাকে। পানি বেশি করে পান করেও যদি এই সমস্যা না কমে, তা হলে অবশ্যই ইউরোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

 

কোষ্ঠকাঠিন্য: পানি কম পান করলে শরীর একটা বিষয়ই বোঝে— নিজের জৈবিক কাজগুলো সারতে যেনতেন ভাবে পানির জোগানটি রাখা। তাই পানি কম খেলে কোলন বর্জ্য জমা করার সময় মল থেকেও পানিটুকু শুষে নেবে। ফলে মল কঠিন হয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।

 

খিদের আধিক্য: যেহেতু পানি আর খিদে উপলব্ধির কেন্দ্রগুলো শরীরে খুব কাছাকাছি অবস্থান করে, তাই খিদে পেয়েছে এমন মনে হলেও তা আসলে তেষ্টা পাওয়ার নির্দেশও হতেই পারে। তাই কিছু খাওয়ার কিছু ক্ষণ পরই আবার খিদে পেয়েছে বুঝলে আর বার বার এমন হতে থাকলে জোর দিন পানি পানে।

 

ত্বকের সমস্যা: শরীরে টক্সিন জমলে অবধারিতভাবে তা ত্বককে নিষ্প্রাণ করে তুলবে। রোগ ঠেকাতে সহজে পারা যাবে না বলে এর হাত ধরেই ত্বকে দেখা দেবে মৌসুমি নানা অসুখ। ত্বক খসখসে হয়ে পড়া থেকে শুরু করে ব্রণের হানা সবই কম পানি পানের কারণেও হতে পারে। সূএ: বাংলাদেশ  প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com