হারানো সুর
দেখেছি প্রিয়ার মৃত্যু প্রেম নিভে গেলে
বদলানো প্রেমিকাটি অচেনা মানুষ
এই তো সে মেয়ে ছিল কত যুগ চেনা
সিন্ধু সভ্যতাতে আর হরপ্পা নগরে
অযুত বছর ধরে ছিল পরিচিত।
এখনও তো বায়ু বয় পাখি গায় গান
সকালে সূর্য ওঠে পূবের আকাশে
রাতের আকাশে আজও ঝলমলে তারা
কত লোকে গায় গান, কত সুর শুনি
তবুও তো বাজে না গো সেতার আমার…
সপ্তপদী আলো
– সুদীপ্ত বিশ্বাস
আলো,ও সুরেলা আলো তুমি প্রেমের শিখা জ্বালো।
তুমি করলে অভিমান প্রদীপ কোথায় পাবে গান?
নদীর এই পাড় ওই পাড় দুটিই সমান অন্ধকার।
যখন জমবে সঙ্গম দেখব কার যে কত দম
যদি পাখি ঝাপটায় ডানা তবে উড়তে তো নেই মানা
চলো মেঘে উড়ে যাই চাল ডাল সেদ্ধ করে খাই
যখন হাঁসফাঁসাবে প্রাণ করব অমৃত জল পান
যদি রাতের পাখি ডাকে তবে সঙ্গে নেব তাকে
আলো,ওগো কোমল আলো তুমি কেমন আছ? ভালো?
তুমি তারার দেশে থাক রাতে মিষ্টি করে আঁক
হলুদ জ্যোৎস্না মাখা চাঁদ পাশে মেঘকে ধরার ফাঁদ
তুমি ‘মধু বাতা’ জানো তুমি জীবনে সুর আনো
তুমি কবিকে দাও গান তুমি সবাই কে দাও প্রাণ
তুমি খেয়াল খুশি জ্বলো তুমি মিষ্টি কথা বল
তুমি প্রেমিক ছেলের হাসি তুমি রাধার মোহনবাঁশি
তুমি গাঁয়ের বধূর রঙ তুমি জানো অনেক ঢঙ
আলো,ওগো গান্ধার আলো তুমি খুশির প্রদীপ জ্বালো।
তুমি দূর আকাশে থাকো তুমি সব্বাইকে ডাকো
তুমি ঝিকমিকিয়ে জ্বলো তুমি ফিসফিসিয়ে বল
অনেক জটিল জটিল কথা তুমি ভাঙ্গাও নিরবতা।
তুমি সাহস যোগাও খুব যখন আঁধারে দিই ডুব
তুমি যেই মিলিয়ে যাও চোখে আদর বুলিয়ে দাও
যখন অনেক অনেক বকে ঘুমায়, ঘুমিয়ে যায় লোকে
আমি তখন তোমায় ভাবি তোমার কাছেই আছে চাবি
সেই সে যক্ষপুরীর দ্বার খোলার একলা অধিকার …