মানবপাচারকারী চক্রের মূল হোতা গ্রেফতার

কম্বোডিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে  র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৩)। তার নাম হারুন মিয়া (৫৪)।  এসময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি সিমকার্ড এবং একটি ভুয়া এনআইডি কার্ড উদ্ধার করে র‌্যাব।

 

চক্রটি বিভিন্নজনকে উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে কম্বোডিয়ায় নিত। এরপর তাদের দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রতারণার কৌশল শিখিয়ে তারা টাকা আয় করত। আর এই চক্রটির বাংলাদেশের প্রধান হলেন হারুন মিয়া।

 

আজ (২৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর পল্টন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হারুনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে.ক. আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

 

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, হারুনের কাজ ছিল বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে উচ্চ বেতনে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তিকে প্রলুব্ধ করে কম্বোডিয়ায় নিয়ে যাওয়া। এরপর সেখানে নিয়ে যাওয়া বাবদ প্রত্যেকের কাছে আদায় করা হতো চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা। শেষে তাদের বিমানযোগে কম্বোডিয়ায় পাঠানো হতো। কিন্তু সেখানে হোটেলে তুলেই তাদের সবার পাসপোর্ট কেড়ে নিতো চক্রটি। সেই হোটেলে রেখে কিছু দিন তাদের প্রশিক্ষণ দিতো তারা। এরপর সেই ব্যক্তিদের মাধ্যমে শুরু হতো প্রতারণার কাজ।

 

আরিফ মহিউদ্দিন জানান, হারুনের একটি চক্র রয়েছে। তাদের কাজই হলো বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ায় লোকজন নিয়ে তাদের গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছদ্মনামে অ্যাকাউন্ট খোলা। এরপর ভুয়া ক্লোন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা আত্মসাতের কৌশল, ভুয়া নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বা চ্যাটিং করে স্বল্প সুদে ঋণের নামে প্রতারণা, সামাজিক মাধ্যমে ভয়েস কল ও ভিডিও কল রেকর্ড করে ব্ল্যাকমেইলের নানা কৌশল শেখানো হতো। তাদের ভাষায় এটিকে তারা স্ক্যানার বলে থাকেন।

 

চক্রটির খপ্পরে পড়ে এখন পর্যন্ত অনেকে সর্বশান্ত হয়েছেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিএনপি নেতাদের সতর্ক থাকার আহ্বান রিজভীর

» বাংলাদেশ ভ্রমণে কানাডার সতর্কতা জারি

» জনগণের ৭০ ভাগ পিআরের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে: মতিউর রহমান আকন্দ

» বদরুদ্দীন উমর ছিলেন বহু রাজনীতিবীদের শিক্ষক: মির্জা ফখরুল

» বিএনপি সেই গণতন্ত্রের কথা বলে, যে গণতন্ত্রে মানুষ ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে  : ড. মঈন খান

» সুন্দরবনের উপকূলের বাগেরহাটে শাপলা বিক্রি করেই চলছে দিনমজুর হানিফের সংসার, সরকারী সহায়তা বঞ্চিত!

» লালমনিরহাটে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রস্তুত ৪ শত ৬৮ টি পূজা মন্ডব

» আগৈলঝাড়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয় মুখ ললিতা সরকার শিক্ষা ও নৃত্যকলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত

» ঢাকা থেকে জামালপুরের আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

» গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল না করলে সরকারকে বাধ্য করার হুমকি ওলামা পরিষদের

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মানবপাচারকারী চক্রের মূল হোতা গ্রেফতার

কম্বোডিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে  র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৩)। তার নাম হারুন মিয়া (৫৪)।  এসময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি সিমকার্ড এবং একটি ভুয়া এনআইডি কার্ড উদ্ধার করে র‌্যাব।

 

চক্রটি বিভিন্নজনকে উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে কম্বোডিয়ায় নিত। এরপর তাদের দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রতারণার কৌশল শিখিয়ে তারা টাকা আয় করত। আর এই চক্রটির বাংলাদেশের প্রধান হলেন হারুন মিয়া।

 

আজ (২৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর পল্টন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হারুনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে.ক. আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

 

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, হারুনের কাজ ছিল বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে উচ্চ বেতনে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তিকে প্রলুব্ধ করে কম্বোডিয়ায় নিয়ে যাওয়া। এরপর সেখানে নিয়ে যাওয়া বাবদ প্রত্যেকের কাছে আদায় করা হতো চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা। শেষে তাদের বিমানযোগে কম্বোডিয়ায় পাঠানো হতো। কিন্তু সেখানে হোটেলে তুলেই তাদের সবার পাসপোর্ট কেড়ে নিতো চক্রটি। সেই হোটেলে রেখে কিছু দিন তাদের প্রশিক্ষণ দিতো তারা। এরপর সেই ব্যক্তিদের মাধ্যমে শুরু হতো প্রতারণার কাজ।

 

আরিফ মহিউদ্দিন জানান, হারুনের একটি চক্র রয়েছে। তাদের কাজই হলো বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ায় লোকজন নিয়ে তাদের গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছদ্মনামে অ্যাকাউন্ট খোলা। এরপর ভুয়া ক্লোন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা আত্মসাতের কৌশল, ভুয়া নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বা চ্যাটিং করে স্বল্প সুদে ঋণের নামে প্রতারণা, সামাজিক মাধ্যমে ভয়েস কল ও ভিডিও কল রেকর্ড করে ব্ল্যাকমেইলের নানা কৌশল শেখানো হতো। তাদের ভাষায় এটিকে তারা স্ক্যানার বলে থাকেন।

 

চক্রটির খপ্পরে পড়ে এখন পর্যন্ত অনেকে সর্বশান্ত হয়েছেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com