হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আক্রমণের অভিযোগ এনে বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৬ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ (২৪ অক্টোবর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ দিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে রোববার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ‘প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর’ ব্যানারে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশের শেষপর্যায়ে লাঠিপেটা করে পুলিশ।
এ মামলার আসামিরা হলেন- ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি অনিক রায়, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দীন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুনয়ন চাকমা, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সভাপতি তৌফিকা প্রিয়া, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দীপ ভট্টাচার্য, ‘ল’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য শান্তা ও ছাত্র ফেডারেশনের জুবা মনি, জনৈক সানি আবদুল্লাহ, জাবিল আহম্মেদ জুবেন, জাওয়াদ, বাঁধন, আদনান, শাহাদাত, ইভান, অনিক, দিয়া মল্লিক, তানজিদ ও তামজিদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যা পৌনে সাতটার সময় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা বিনা অনুমতিতে বেআইনিভাবে শাহবাগ মোড়ের পাকা রাস্তার ওপর বিক্ষোভ সমাবেশ করার নামে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন। পুলিশ তাদের রাস্তার যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ করে। কিন্তু আসামিরা অনুরোধ ও নিষেধ অমান্য করেন। আসামিরা মিছিল ও স্লোগানের মাধ্যমে হাতে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেলসহ ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করে।
বিক্ষোভকারীদের পুলিশ থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা লাঠিসোঁটা ও ইটের টুকরা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশের ওপর আঘাত করে, মারধর করেন। আসামিদের লাঠির আঘাতে রমনা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার বায়েজীদুর রহমান, সহকারী কমিশনার (প্যাট্রল) বাহা উদ্দীন ভূঞা, উপপরিদর্শক রাশেদুল আলম আহত হন। পরে পুলিশ নিজেদের জানমাল ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ ঘটনায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৩, ১৪৭, ১৪৯, ১৮৬, ৩৩২, ৩৩৩, ৩৫৩, ৩০৭ ও ১০৯ ধারায় বাম ছাত্রসংগঠনের ২১ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।