নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ব্যবসায়ী মনির হোসেন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের দণ্ড কমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত।
ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি নিয়ে আজ (২ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
অ্যাডভোকেট এম মাসুদ রানা রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- আতাউল হামিদ পরাগ, আলমগীর হোসেন, এরশাদ হোসেন ভুট্টু ও রতন ইবনে মাসুদ। আর যাদের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত তারা হলেন- গোলজার হোসেন ও শাহীন।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষ করা হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট। তারই ধারাবাহিকতায় এই রায় ঘোষণা করা হয়।
ওইদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল ও অবন্তী নুরুল।
আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, উম্মে সালমা, অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মো. আব্দুস সালাম, অ্যাডভোকেট আহসানুল কাইয়ুম ও অ্যাডভোকেট মিজানুর রশিদ।
সবজি ব্যবসায়ী নিহত মনির হোসেন সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুসারচর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। পাওনা টাকা চাইতে গেলে ২০০৭ সালের ১৮ জুন রাতে আসামিরা তাকে একটি মাঠে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। পরে পাশের ডোবায় কচুরিপানা দিয়ে মরদেহ ঢেকে রাখে।
এ ঘটনায় করা মামলার বিচারকাজ শেষে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা জজ কামরুন্নাহার চার আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিপক্ষ আপিল আবেদন করে। ওই আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য দিন ঠিক করা হয়।