ডেঙ্গু হলে করণীয়

 ডা. মো. শরীফ উদ্দিন : বেশ কিছু দিন ধরেই ঢাকাসহ সারা দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা। তার সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। একটু সতর্ক হলেই ডেঙ্গু থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে বাসায় থেকেই আরোগ্য লাভ করা যায়। এটাও মনে রাখতে হবে, জটিলতা দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে চললে সহজেই এ রোগের জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

 

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর জন্য করণীয় :
১. প্রচুর পরিমাণে মুখে ওরস্যালাইন ও তরল খাবার খাওয়াতে হবে (অন্তত তিন লিটার দৈনিক)।
২. জ্বর/ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়ানো।
৩. রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখা।
৪. রোগীকে দিনের বেলায় মশারির ভিতর রাখা।
৫. বাড়ির আশপাশের মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করা।
৬. নিম্নলিখিত বিপদচিহ্ন দেখামাত্র অনতিবিলম্বে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো।

ডেঙ্গু রোগীর বিপদচিহ্নগুলো :
১. পেটে তীব্র ব্যথা হওয়া।
২. খুব বেশি বমি হওয়া বা বমি না থামা।
৩. মুখে একেবারেই খেতে না পারা।
৪. তন্দ্রাভাব বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
৫. খুব বেশি দুর্বল হয়ে পড়া।
৬. হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া।
৭. বুক ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট হওয়া।
৮. শরীরের কোনো স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া (মহিলাদের মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্ত যাওয়া)।
৯. আলকাতরার মতো নরম কালো পাতলা পায়খানা হওয়া।
১০. ৪-৬ ঘণ্টার বেশি সময় প্রস্রাব না হওয়া। 

বর্জনীয় কাজগুলো :
১. বিএমডিসি রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোনো ওষুধ না সেবন করা।
২. মাংসপেশিতে কোনো ইঞ্জেকশন না নেওয়া।
৩. অযথা আতঙ্কিত বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হওয়া।
৪. সুস্থ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ভারি কোনো কাজ না করা।

লেখক: সিনিয়র রেসিডেন্ট, মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা।

সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন
Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু

» চার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা

» ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালিত হবে ১৮ জুলাই

» ডিস ব্যবসায়ীকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা

» বিটিভির পর্দায় মাসজুড়ে ‘৩৬ জুলাই

» সব বাধা অতিক্রম করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে : রিজভী

» জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

» সিনেটে ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে ভোট শুরু

» সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?

» আজ মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকা-মার্কেট বন্ধ

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ডেঙ্গু হলে করণীয়

 ডা. মো. শরীফ উদ্দিন : বেশ কিছু দিন ধরেই ঢাকাসহ সারা দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা। তার সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। একটু সতর্ক হলেই ডেঙ্গু থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে বাসায় থেকেই আরোগ্য লাভ করা যায়। এটাও মনে রাখতে হবে, জটিলতা দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে চললে সহজেই এ রোগের জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

 

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর জন্য করণীয় :
১. প্রচুর পরিমাণে মুখে ওরস্যালাইন ও তরল খাবার খাওয়াতে হবে (অন্তত তিন লিটার দৈনিক)।
২. জ্বর/ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়ানো।
৩. রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখা।
৪. রোগীকে দিনের বেলায় মশারির ভিতর রাখা।
৫. বাড়ির আশপাশের মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করা।
৬. নিম্নলিখিত বিপদচিহ্ন দেখামাত্র অনতিবিলম্বে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো।

ডেঙ্গু রোগীর বিপদচিহ্নগুলো :
১. পেটে তীব্র ব্যথা হওয়া।
২. খুব বেশি বমি হওয়া বা বমি না থামা।
৩. মুখে একেবারেই খেতে না পারা।
৪. তন্দ্রাভাব বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
৫. খুব বেশি দুর্বল হয়ে পড়া।
৬. হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া।
৭. বুক ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট হওয়া।
৮. শরীরের কোনো স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া (মহিলাদের মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্ত যাওয়া)।
৯. আলকাতরার মতো নরম কালো পাতলা পায়খানা হওয়া।
১০. ৪-৬ ঘণ্টার বেশি সময় প্রস্রাব না হওয়া। 

বর্জনীয় কাজগুলো :
১. বিএমডিসি রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোনো ওষুধ না সেবন করা।
২. মাংসপেশিতে কোনো ইঞ্জেকশন না নেওয়া।
৩. অযথা আতঙ্কিত বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হওয়া।
৪. সুস্থ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ভারি কোনো কাজ না করা।

লেখক: সিনিয়র রেসিডেন্ট, মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা।

সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন
Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com