ছাতার মতো গাছ, এটা আসলে রেজিন

গ্রিক পুরান অনুযায়ী, হারকিউলিসকে হেসপেরাইডস-এর বাগান থেকে তিনটি সোনার আপেল ফিরিয়ে নিয়ে আনতে হত। এই আপেল পাহারা দিচ্ছিল শতমুখী ড্রাগন ল্যান্ডন। ড্রাগনকে না মেরে আপেল ফিরিয়ে আনা অসম্ভব ছিল। হারকিউলিসের সঙ্গে যুদ্ধে ড্রাগনের মৃত্যু হয়। ড্রাগনের গাঢ় লাল রক্ত ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। সেই রক্ত থেকেই নাকি এই ড্রাগন ট্রি-র জন্ম। 

এদের দেখা যায় অতলান্তিক মহাসাগরের মাঝে ক্যানারি দ্বীপে

এদের দেখা যায় অতলান্তিক মহাসাগরের মাঝে ক্যানারি দ্বীপে

একটাই কাণ্ড। যার মাথাটা ছাতার মতো। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন সারি সারি বিশালাকার ছাতা মাটিতে পুঁতে রেখে দিয়ে গিয়েছে কেউ।

এই ছাতাগুলো আসলে একপ্রকার গাছ। বছরের পর বছর ধরে নাকি ড্রাগনের রক্ত বহন করে চলেছে এই গাছগুলোই। সে কারণে এদের বলা হয় ড্রাগন ট্রি।

এদের দেখা যায় অতলান্তিক মহাসাগরের মাঝে ক্যানারি দ্বীপে। কেন এদের ড্রাগন ট্রি বলা হয়? এর পেছনে এতটা কাহিনি লুকিয়ে রয়েছে। আর সেই থেকেই ড্রাগনের রক্ত বুকে করে বয়ে নিয়ে চলেছে এই গাছ। ঐ গাছ কাটলে ‘রক্তে’র ধারা বইতে থাকে। তবে নাম যাই হোক না কেন, এই গাছের উপকারিতা অনেক।

দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন সারি সারি বিশালাকার ছাতা মাটিতে পুঁতে রেখে দিয়ে গিয়েছে কেউ।

দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন সারি সারি বিশালাকার ছাতা মাটিতে পুঁতে রেখে দিয়ে গিয়েছে কেউ।

তবে যেটাকে রক্ত বলে মনে করা হত, পরীক্ষা করে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এটা আসলে রেজিন। গাছের এক ধরনের উপক্ষার। গাছের এই রক্তবর্ণ উপক্ষারের উপকারিতা অনেক। এর ঔষধি গুণ রয়েছে। প্রাচীন কালে এই ‘রক্ত’ দিয়েই পেটের নানা রোগের ওষুধ তৈরি হত। তাছাড়া বিভিন্ন রঞ্জক হিসাবে, টুথপেস্ট তৈরি করতেও কাজে লাগানো হত।

 

এই গাছের কোনও বর্ষবলয় তৈরি হয় না। গাছের কাণ্ডের সংখ্যা দেখে এর বয়স নির্ধারণ করা হয়।

সূত্র: আনন্দবাজার

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা সন্ধ্যায়

» খাওয়ার পর ব্যায়াম ভালো না খারাপ!

» তিন দিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলেই হার্টের ভয়ংকর ক্ষতি!

» শিক্ষার্থীদের জন্য ২ মিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ ফান্ড ঘোষণা ডব্লিইউএসটি’র চ্যান্সেলরের

» বারবডোজ টেস্ট: প্রথম দিনে পতন ১৪ উইকেটের

» পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত

» দেশীয় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার

» আগের সীমানা বহাল চান বিএনপি নেতারা ৩০০ আসনের সীমানা সংক্রান্ত খসড়া প্রকাশের দাবি

» ইরানে ট্রাম্পের হামলা যেভাবে উত্তর কোরিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে

» ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, ক্ষতি আসলে কতোটা?

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ছাতার মতো গাছ, এটা আসলে রেজিন

গ্রিক পুরান অনুযায়ী, হারকিউলিসকে হেসপেরাইডস-এর বাগান থেকে তিনটি সোনার আপেল ফিরিয়ে নিয়ে আনতে হত। এই আপেল পাহারা দিচ্ছিল শতমুখী ড্রাগন ল্যান্ডন। ড্রাগনকে না মেরে আপেল ফিরিয়ে আনা অসম্ভব ছিল। হারকিউলিসের সঙ্গে যুদ্ধে ড্রাগনের মৃত্যু হয়। ড্রাগনের গাঢ় লাল রক্ত ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। সেই রক্ত থেকেই নাকি এই ড্রাগন ট্রি-র জন্ম। 

এদের দেখা যায় অতলান্তিক মহাসাগরের মাঝে ক্যানারি দ্বীপে

এদের দেখা যায় অতলান্তিক মহাসাগরের মাঝে ক্যানারি দ্বীপে

একটাই কাণ্ড। যার মাথাটা ছাতার মতো। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন সারি সারি বিশালাকার ছাতা মাটিতে পুঁতে রেখে দিয়ে গিয়েছে কেউ।

এই ছাতাগুলো আসলে একপ্রকার গাছ। বছরের পর বছর ধরে নাকি ড্রাগনের রক্ত বহন করে চলেছে এই গাছগুলোই। সে কারণে এদের বলা হয় ড্রাগন ট্রি।

এদের দেখা যায় অতলান্তিক মহাসাগরের মাঝে ক্যানারি দ্বীপে। কেন এদের ড্রাগন ট্রি বলা হয়? এর পেছনে এতটা কাহিনি লুকিয়ে রয়েছে। আর সেই থেকেই ড্রাগনের রক্ত বুকে করে বয়ে নিয়ে চলেছে এই গাছ। ঐ গাছ কাটলে ‘রক্তে’র ধারা বইতে থাকে। তবে নাম যাই হোক না কেন, এই গাছের উপকারিতা অনেক।

দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন সারি সারি বিশালাকার ছাতা মাটিতে পুঁতে রেখে দিয়ে গিয়েছে কেউ।

দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন সারি সারি বিশালাকার ছাতা মাটিতে পুঁতে রেখে দিয়ে গিয়েছে কেউ।

তবে যেটাকে রক্ত বলে মনে করা হত, পরীক্ষা করে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এটা আসলে রেজিন। গাছের এক ধরনের উপক্ষার। গাছের এই রক্তবর্ণ উপক্ষারের উপকারিতা অনেক। এর ঔষধি গুণ রয়েছে। প্রাচীন কালে এই ‘রক্ত’ দিয়েই পেটের নানা রোগের ওষুধ তৈরি হত। তাছাড়া বিভিন্ন রঞ্জক হিসাবে, টুথপেস্ট তৈরি করতেও কাজে লাগানো হত।

 

এই গাছের কোনও বর্ষবলয় তৈরি হয় না। গাছের কাণ্ডের সংখ্যা দেখে এর বয়স নির্ধারণ করা হয়।

সূত্র: আনন্দবাজার

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com