বিশ্বনাথে বেড়েছে যাত্রী বেশে ছিনতাই

সিলেটের বিশ্বনাথে হঠাৎ করেই বেড়েছে যাত্রী বেশে ছিনতাইয়ের ঘটনা। একটি সংঘবদ্ধ মলমপার্টি চক্র সিএনজি ব্যবহার করে ঘটিয়ে চলেছে এইসব ছিনতাইকাণ্ড। ইতোমধ্যে এদের খপ্পড়ে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন উপজেলার একাধিক ব্যক্তি। প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই ঘটছে এসব ছিনতাইয়ের ঘটনা।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, বিশ্বনাথ, কালিগঞ্জ, রশিদপুর ও বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কে আছরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত একদল সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র সিএনজি নিয়ে ওঁৎ পেতে থাকে। তারা তাদের টার্গেট মতো বিত্তবান যাত্রীদের সিএনজিতে ওঠায়। কিছুদূর যাবার পর সুযোগ বুঝে যাত্রীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে ভুক্তভোগী যাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নির্জন কোনো জায়গায় সুযোগ বুঝে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী চক্র।

 

এ রকম ছিনতাইয়ের শিকার পৌরশহরের মজলিশ ভোগশাইল গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বাবুল অভিযোগ করে বলেন, গেল ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় বাড়ি থেকে সিলেট যাবার উদ্দেশ্যে বের হন তিনি। বাড়ির সামনেই তালেরতল নামক স্থান থেকেই কালিগঞ্জের দিক থেকে আসা সিএনজিতে উঠেন। পরে কিছু পথ এগিয়ে ফের গাড়ি উল্টো দিকে ঘুরিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। এক পর্যায়ে কৌশলে তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক পথিমথ্যেই তাকে নামিয়ে দেয় তারা।

 

এর বেশ কিছুদিন পূর্বে একই সময়ে একই জায়গায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন লেচু মিয়া স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মোফাজ্জল হোসাইন। ঘটনার সময় ছিনতাইকারীদের একজন নেমে তাকে পেছনের সিটে মধ্যখানে বসায়। কিছুদূর এগিয়ে আল-এমদাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এসে দুইপাশ থেকে দুইজন ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্রের দিয়ে জিম্মি করে তার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পরে আবদুল হাসিমের মোড়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাকে ছেড়ে যায়।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভুক্তভোগী জানান, নিজের স্থানীয় এলাকায়ও নিরাপদ নই আমরা। ঘর থেকে বের হলেই ছিনতাইকারীদের হাতে সব কিছু তুলে দিতে হচ্ছে। এটি আমাদের জন্যে লজ্জাকরও বটে।

 

বিশ্বনাথ পুরানবাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের সভাপতি ফিরোজ খান বলেন, কিছুদিন পূর্বে আমাদের একজন চালকও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি এ বিষয়গুলো আমার জানা নেই। এ বিষয়ে চালকদের সর্তক করার পাশাপাশি আমরা যথাসাধ্য ব্যবস্থা নেব।

 

এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিষয়টি থানায় কেউ অবগত করেনি। আমরা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সূূএ: বাংলাদেশ  প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ফ্যাসিস্ট সরকারের নীতি ছিল লুটেপুটে খাওয়া: জোনায়েদ সাকি

» সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

» ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির শীর্ষ নেতাদের সাক্ষাৎ

» বাংলাদেশে নাশকতা চালাতে হাসিনাকে সহযোগিতা করছে ভারত: রিজভী

» ৩২ নম্বরে ফুল দেওয়া সেই রিকশাচালকের জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই

» একনেকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনসহ ১০ প্রকল্প অনুমোদন

» পাথর লুটের ঘটনায় প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল : পরিবেশ উপদেষ্টা

» ভরাডুবির ভয়ে নির্বাচন চাচ্ছে না কিছু খুচরা পার্টি : দুদু

» ২০ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ নিয়ে মত দেবে বিএনপি

» পুলিশের ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি অস্ত্রসহ গ্রেফতার

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বিশ্বনাথে বেড়েছে যাত্রী বেশে ছিনতাই

সিলেটের বিশ্বনাথে হঠাৎ করেই বেড়েছে যাত্রী বেশে ছিনতাইয়ের ঘটনা। একটি সংঘবদ্ধ মলমপার্টি চক্র সিএনজি ব্যবহার করে ঘটিয়ে চলেছে এইসব ছিনতাইকাণ্ড। ইতোমধ্যে এদের খপ্পড়ে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন উপজেলার একাধিক ব্যক্তি। প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই ঘটছে এসব ছিনতাইয়ের ঘটনা।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, বিশ্বনাথ, কালিগঞ্জ, রশিদপুর ও বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কে আছরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত একদল সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র সিএনজি নিয়ে ওঁৎ পেতে থাকে। তারা তাদের টার্গেট মতো বিত্তবান যাত্রীদের সিএনজিতে ওঠায়। কিছুদূর যাবার পর সুযোগ বুঝে যাত্রীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে ভুক্তভোগী যাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নির্জন কোনো জায়গায় সুযোগ বুঝে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী চক্র।

 

এ রকম ছিনতাইয়ের শিকার পৌরশহরের মজলিশ ভোগশাইল গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বাবুল অভিযোগ করে বলেন, গেল ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় বাড়ি থেকে সিলেট যাবার উদ্দেশ্যে বের হন তিনি। বাড়ির সামনেই তালেরতল নামক স্থান থেকেই কালিগঞ্জের দিক থেকে আসা সিএনজিতে উঠেন। পরে কিছু পথ এগিয়ে ফের গাড়ি উল্টো দিকে ঘুরিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। এক পর্যায়ে কৌশলে তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক পথিমথ্যেই তাকে নামিয়ে দেয় তারা।

 

এর বেশ কিছুদিন পূর্বে একই সময়ে একই জায়গায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন লেচু মিয়া স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মোফাজ্জল হোসাইন। ঘটনার সময় ছিনতাইকারীদের একজন নেমে তাকে পেছনের সিটে মধ্যখানে বসায়। কিছুদূর এগিয়ে আল-এমদাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এসে দুইপাশ থেকে দুইজন ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্রের দিয়ে জিম্মি করে তার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পরে আবদুল হাসিমের মোড়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাকে ছেড়ে যায়।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভুক্তভোগী জানান, নিজের স্থানীয় এলাকায়ও নিরাপদ নই আমরা। ঘর থেকে বের হলেই ছিনতাইকারীদের হাতে সব কিছু তুলে দিতে হচ্ছে। এটি আমাদের জন্যে লজ্জাকরও বটে।

 

বিশ্বনাথ পুরানবাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের সভাপতি ফিরোজ খান বলেন, কিছুদিন পূর্বে আমাদের একজন চালকও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি এ বিষয়গুলো আমার জানা নেই। এ বিষয়ে চালকদের সর্তক করার পাশাপাশি আমরা যথাসাধ্য ব্যবস্থা নেব।

 

এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিষয়টি থানায় কেউ অবগত করেনি। আমরা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সূূএ: বাংলাদেশ  প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com