শিশুর জন্মের পর থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত পাকস্থলি অপরিণত থাকে যার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের পাকস্থলির সমস্যা দেখা দেয়। পাকস্থলির সমস্যাগুলোর মধ্যে পেটে ব্যথা অন্যতম। পাকস্থলির হরমোন যেমন মলিটিন ব্যথা হওয়ার অন্যতম কারণ।
ধারণা করা হয় মলিটিন হাইপারপেরিস্ট্যালসিসের (বাচ্চার পাকস্থলিতে অতি দ্রুত খাবার প্রবেশ করা) কারণ যা পেট ব্যথা ঘটায়। একটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যে, স্নায়ুবিক (নিউরোজেনিক), হজমের গোলযোগ (গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল), জীবানুঘটিত (মাইক্রোবিয়াল) এবং মানসিক (সাইকোসোশাল) উপসর্গগুলো শিশুর পেট ব্যথার কারণ।
করণীয়:
বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের পরামর্শ জেনে নিন:
>>শিশুর পেটব্যাথা দেখা দিলে সাধারনত খাবারে কোনো পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হয় না, বিশেষত যে বাচ্চারা মায়ের দুধ পান করে।
>>মাতৃদুগ্ধ পানকারী শিশুর মাতৃদুগ্ধ দেয়া বন্ধ করা যাবে না।
>>একটি স্তন সম্পূর্ণ খালি করে খাওয়াতে হবে, তারপর অপর স্তনটি খাওয়াতে হবে।
>>পজিশন এবং এটাচমেন্ট ঠিক রেখে বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
>>বাচ্চাকে কৌটার দুধ খাওয়ালে তা বন্ধ করে দিয়ে বেশি করে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।
>>আঁশজাতীয় খাবার পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করে কোনো ফল পাওয়া যায় না।
>>গবেষণায় দেখা গেছে যে h Lactobacillus reuteri নামক প্রোবায়োটিক ব্যবহারে শিশুর কান্নার পরিমাণ কমে আসে এবং মায়ের বিষন্নতাও কমে যায়। বাচ্চার মাথার দিকটা উঁচু করে খাওয়াতে হবে এবং খাওয়ানোর সঙ্গে সঙ্গে না শুইয়ে দিয়ে ঘাড়ের উপর নিয়ে পিঠে চাপড় দিয়ে ঢেকুর (Burping) তুলে দিতে হবে।
>>শিশুর পেটে গ্যাস আটকে গেলে শিশুকে পিঠে ভর দিয়ে শুইয়ে দিতে হবে এবং পেটে আলতো ভাবে হাতের তালু দিয়ে মালিশ করতে হবে ঠান্ডা গরম সেঁক দিতে হবে।
>>শিশুর পা দুটি একবার সামনের দিকে এবং আরেকবার পিছনের দিকে সাইকেল চালানোর মতো করে পা নাড়াতে হবে।
সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ