রেস্টুরেন্টে গিয়ে ঝটপট অর্ডারও দিয়ে বসেন প্রিয় এই খাবারটির। এর সঙ্গে যে সসটা দেয়া হয় সেটার স্বাদ কিন্তু অতুলনীয়। দ্বিতীয়বার সস চেয়ে নেন না এমন লোক বোধ হয় খুব কমই আছেন।
খাওয়ার সময় নিশ্চয়ই ভাবেন বাড়িতে যদি বানানো যেত সসটা! গ্রিল বাড়িতে বানাতে পারলেও সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকায় বাড়িতে গ্রিলের সসটা বানিয়ে খেতে পারেন না। তাহলে বাড়িতে কীভাবে খুব সহজেই একদম রেস্টুরেন্টের স্বাদের সসটাই বানাতে পারবেন? টিপসসহ জেনে নিন এর সঠিক পদ্ধতি-
উপকরণ: ফুল ক্রিম দুধ (ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নেয়া) ১ কাপ, গুঁড়া দুধ দেড় টেবিল চামচ, সাদা সরিষা গুঁড়া বা পেস্ট হাফ চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া হাফ চা চামচ, লবণ সামান্য, চিনি এক টেবিল চামচ, লেবুর রস বা সাদা সিরকা এক টেবিল চামচ, আচারের মশলা ও তেল দেড় টেবিল চামচ, অরেঞ্জ জেলি এক টেবিল চামচ, তেল এক কাপ, জর্দার রং এক চিমটি।
প্রণালী: দুধ, গুঁড়া দুধ, সরিষা গুঁড়া বা পেস্ট, গোলমরিচ, লবণ, চিনি, লেবুর রস, আচারে মশলা ও তেল, অরেঞ্জ জেলি এবং তেলের তিন ভাগের এক ভাগ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এমন ভাবে ব্লেন্ড করে নিন যাতে তেল সব উপকরণের সঙ্গে মিশে যায়। এবার বাকি তেলের অর্ধেকটা দিয়ে আবারো একই উপায়ে ব্লেন্ড করুন। সবশেষে বাকি তেলটুকু দিয়ে আবারো ব্লেন্ড করে নিন। এই পদ্ধতিতে তেলটা একবারে দেয়া যাবে না। ভাগে ভাগে দিন। এভাবে ৮-১০ মিনিটের মাঝে সস তৈরি হয়ে যাবে। রেস্টুরেন্টের সসের রঙটা আনতে সামান্য জর্দার রঙ দিয়ে আবারো আধা মিনিট ব্লেন্ড করে নিন।
ব্যাস, তৈরি হয়ে গেলো মজাদার গ্রিল চিকেনের সস। পরিবেশন করতে পারেন ঘরে তৈরি গ্রিল বা তন্দুরি চিকেনের সঙ্গে। এই সসটা শর্মাসহ অন্যান্য ফাস্টফুডের সঙ্গেও খেতে পারবেন। ফ্রিজে এয়ার টাইট কন্টেইনারে ৭ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারেন এই সস।
টিপস
– সাদা সরিষার গুঁড়া না পেলে কালো সরিষার গুঁড়াও ব্যবহার করতে পারেন। গুঁড়া না থাকলে সরিষা বাটা বা পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।
– যেকোনো আচারের বয়ামে নিচের দিকে যে তেল এবং মশলাটা থাকে সেটা ব্যবহার করতে পারেন এই রেসিপিতে।
– যেকোনো ব্র্যান্ডের অরেঞ্জ জেলি বা জ্যাম ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই সেটা অরেঞ্জ ফ্লেভারের হতে হবে।
– লেবুর রসের পরিবর্তে সাদা সিরকা ব্যবহার করতে পারেন।