সন্তানকে ঘরের কাজে উৎসাহী করে তোলার কিছু কৌশল

বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই সব শেখানো হয়। কীভাবে কথা বলবে, কীভাবে সবার সঙ্গে মিশবে,  লেখাপড়া শুরুর প্রাথমিক ধাপও শুরু হয় ছোটবেলা থেকেই। এছাড়া আরো ছোট ছোট কাজ শেখানো হয় বাচ্চাকে। এসব কর্মকাণ্ড শিশুদের ব্যস্ত রাখে। তখন শিশুরা দুষ্টুমিও কম করে। শেখানোর এই ধাপটা আরো একটু এগিয়ে নিতে পারেন। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের ঘরের বিভিন্ন কাজে উত্সাহী করে তুলতে পারেন। এতে শিশুর আচরণ ও অভ্যাসে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

 

ছোটবেলা থেকে ঘরের বিভিন্ন কাজে শিশুদের অংশগ্রহণকে উত্সাহ দিন। এতে শিশুরা নিজের কাজ নিজে করার এবং সেই সঙ্গে সাবলম্বী হওয়ার অনুপ্রেরণা পাবে। তাদের সময়ও ভালো কাটবে। পরিবারের সঙ্গে বন্ধনও দৃঢ় হবে।

ভাবছেন, সন্তান তো নিজের হাতে খেতেই চায় না। সে কীভাবে ঘরের কাজ করবে বা তাকে কীভাবে ঘরের কাজ শেখাবেন! সবই সম্ভব হবে। আস্তে আস্তে সন্তানকে গড়ে তুলতে হবে এসব কাজের জন্য। তখন দেখবেন, সন্তান ঠিকই সব পারছে এবং উপভোগও করছে। সন্তানকে ঘরের কাজে উৎসাহী করে তোলার কিছু কৌশল-

 

বয়স কম থাকতেই সন্তানকে বিভিন্ন কাজ শিখিয়ে নিন। নিজের বিছানা গুছিয়ে নেয়া, খেলার সামগ্রী গুছিয়ে রাখা, পড়া শেষ করে টেবিল গোছানো এসব কাজ সন্তানকে শিখিয়ে দিন। ঘরের এই কাজগুলো তার দায়িত্ব তা বুঝিয়ে দিন।

 

ঘরের যে কাজের দায়িত্ব সন্তানকে দিচ্ছেন, তা করতে পারলে প্রশংসা করুন। কাজের প্রশংসা পেলে সন্তান আরও উত্সাহী হয়ে উঠবে।

 

সন্তানকে বুঝিয়ে বলুন, এই বাড়ি আর এই ঘরটা তারও। তাই এটি গুছিয়ে পরিস্কার রাখার দায়িত্ব তারও রয়েছে।

 

সন্তান প্রথমে কাজে অনিহা দেখাবে। তবুও তাকে জোর করা যাবে না। বকাও দেওয়া যাবে না। বরং বুঝিয়ে বললে, একদিন সে নিজেই কাজ শুরু করবে।

 

ছোট ছোট কাজের দায়িত্ব দিন। কাজটি কীভাবে করতে হবে তা দেখিয়ে দিন। আস্তে আস্তে তারও আগ্রহ হবে।

 

দুই থেকে তিন বছর বয়সী সন্তানকে খেলার পরে খেলনা গুছিয়ে রাখার শেখান। খেলার ছলেই শিখিয়ে নিতে পারেন। খেলনা গুছিয়ে রাখাও খেলার অংশ এটি শেখান। মজা নিয়েই আপনার সন্তান কাজটি করবে।

 

সন্তানকে খাওয়ার পর নিজের প্লেটটি রেখে আসতে শেখান। টেবিলে পানি পরলে তা টিস্যু দিয়ে  মুছে নিতে হয় কীভাবে তা শেখান। এতে শিশু গুছিয়ে খেতেও শিখবে।

 

ছয় থেকে আট বছর বয়সী শিশুদের নিজের বিছানা এবং বইপত্র কীভাবে গুছিয়ে নিতে হয় শিখিয়ে নিন। জামাকাপড় সাজিয়ে রাখাও শেখাতে পারেন। এতে নিজের জামা নিজেই খুঁজে নিতে পারবে এবং গুছিয়ে নিতে পারবে।

 

পরিবারের সবাই একসঙ্গে কাজ করলে আনন্দ পাওয়া যায়। এই উপলব্ধিটা শিশুকে দিন। ঘর পরিষ্কার রাখা, বাগানের পরিচর্যা এসব কাজ শিশুকে সঙ্গে নিয়ে করুন। এতে শিশু একসঙ্গে কাজ করা ও সহযোগিতার মূল্য জানবে।

 

কোথাও বেড়াতে যাবেন, কোনো কাজ করবেন সেই পরিকল্পনা সন্তানকে নিয়েই করুন। সন্তানের  ব্যাগও তাকেই গুছাতে দিন। এতে পুরো বিষয়টাকে আপনার সন্তান উপভোগ করবে।

 

বড় সন্তানদেরকে ছোট ভাইবোনের দায়িত্ব দিন। ছোট ভাইবোনের দেখভাল করার জন্য় কী কী করা যাবে তা বড় সন্তানকে নিয়ে পরিকল্পনা করুন। দেখবেন আপনার সন্তান দায়িত্বশীল হয়ে উঠছে।   সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নারী বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ

» বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে বিএনপির শুভেচ্ছা

» আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

» জুলাই আন্দোলন দমাতে ব্যবহৃত হয় শুটিং ফেডারেশনের অস্ত্র: ক্রীড়া উপদেষ্টা

» ৭১ এর রাজনীতি ভুল ছিল বলেই চব্বিশ ঘটেছে : উপদেষ্টা শারমীন

» একজন মুসল্লির মতো এলেন জীর্ণশীর্ণ দেখতে, এমন শাসক আর শাসনই আমাদের স্বপ্নময় ছিল! : প্রেস সচিব

» হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশ’-এর নিবন্ধন শুরু

» লোকসাহিত্য গবেষক ও কবি অ আ আবীর আকাশ এর জন্মদিনে বিভিন্ন মহলের উষ্ণ অভ্যর্থনা

» প্রাইম ব্যাংকের অগ্রযাত্রার ৩০ বছর: টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসাথে পথ চলার অঙ্গীকার

» বাগেরহাটের বলভদ্রপুর বাস-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সন্তানকে ঘরের কাজে উৎসাহী করে তোলার কিছু কৌশল

বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই সব শেখানো হয়। কীভাবে কথা বলবে, কীভাবে সবার সঙ্গে মিশবে,  লেখাপড়া শুরুর প্রাথমিক ধাপও শুরু হয় ছোটবেলা থেকেই। এছাড়া আরো ছোট ছোট কাজ শেখানো হয় বাচ্চাকে। এসব কর্মকাণ্ড শিশুদের ব্যস্ত রাখে। তখন শিশুরা দুষ্টুমিও কম করে। শেখানোর এই ধাপটা আরো একটু এগিয়ে নিতে পারেন। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের ঘরের বিভিন্ন কাজে উত্সাহী করে তুলতে পারেন। এতে শিশুর আচরণ ও অভ্যাসে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

 

ছোটবেলা থেকে ঘরের বিভিন্ন কাজে শিশুদের অংশগ্রহণকে উত্সাহ দিন। এতে শিশুরা নিজের কাজ নিজে করার এবং সেই সঙ্গে সাবলম্বী হওয়ার অনুপ্রেরণা পাবে। তাদের সময়ও ভালো কাটবে। পরিবারের সঙ্গে বন্ধনও দৃঢ় হবে।

ভাবছেন, সন্তান তো নিজের হাতে খেতেই চায় না। সে কীভাবে ঘরের কাজ করবে বা তাকে কীভাবে ঘরের কাজ শেখাবেন! সবই সম্ভব হবে। আস্তে আস্তে সন্তানকে গড়ে তুলতে হবে এসব কাজের জন্য। তখন দেখবেন, সন্তান ঠিকই সব পারছে এবং উপভোগও করছে। সন্তানকে ঘরের কাজে উৎসাহী করে তোলার কিছু কৌশল-

 

বয়স কম থাকতেই সন্তানকে বিভিন্ন কাজ শিখিয়ে নিন। নিজের বিছানা গুছিয়ে নেয়া, খেলার সামগ্রী গুছিয়ে রাখা, পড়া শেষ করে টেবিল গোছানো এসব কাজ সন্তানকে শিখিয়ে দিন। ঘরের এই কাজগুলো তার দায়িত্ব তা বুঝিয়ে দিন।

 

ঘরের যে কাজের দায়িত্ব সন্তানকে দিচ্ছেন, তা করতে পারলে প্রশংসা করুন। কাজের প্রশংসা পেলে সন্তান আরও উত্সাহী হয়ে উঠবে।

 

সন্তানকে বুঝিয়ে বলুন, এই বাড়ি আর এই ঘরটা তারও। তাই এটি গুছিয়ে পরিস্কার রাখার দায়িত্ব তারও রয়েছে।

 

সন্তান প্রথমে কাজে অনিহা দেখাবে। তবুও তাকে জোর করা যাবে না। বকাও দেওয়া যাবে না। বরং বুঝিয়ে বললে, একদিন সে নিজেই কাজ শুরু করবে।

 

ছোট ছোট কাজের দায়িত্ব দিন। কাজটি কীভাবে করতে হবে তা দেখিয়ে দিন। আস্তে আস্তে তারও আগ্রহ হবে।

 

দুই থেকে তিন বছর বয়সী সন্তানকে খেলার পরে খেলনা গুছিয়ে রাখার শেখান। খেলার ছলেই শিখিয়ে নিতে পারেন। খেলনা গুছিয়ে রাখাও খেলার অংশ এটি শেখান। মজা নিয়েই আপনার সন্তান কাজটি করবে।

 

সন্তানকে খাওয়ার পর নিজের প্লেটটি রেখে আসতে শেখান। টেবিলে পানি পরলে তা টিস্যু দিয়ে  মুছে নিতে হয় কীভাবে তা শেখান। এতে শিশু গুছিয়ে খেতেও শিখবে।

 

ছয় থেকে আট বছর বয়সী শিশুদের নিজের বিছানা এবং বইপত্র কীভাবে গুছিয়ে নিতে হয় শিখিয়ে নিন। জামাকাপড় সাজিয়ে রাখাও শেখাতে পারেন। এতে নিজের জামা নিজেই খুঁজে নিতে পারবে এবং গুছিয়ে নিতে পারবে।

 

পরিবারের সবাই একসঙ্গে কাজ করলে আনন্দ পাওয়া যায়। এই উপলব্ধিটা শিশুকে দিন। ঘর পরিষ্কার রাখা, বাগানের পরিচর্যা এসব কাজ শিশুকে সঙ্গে নিয়ে করুন। এতে শিশু একসঙ্গে কাজ করা ও সহযোগিতার মূল্য জানবে।

 

কোথাও বেড়াতে যাবেন, কোনো কাজ করবেন সেই পরিকল্পনা সন্তানকে নিয়েই করুন। সন্তানের  ব্যাগও তাকেই গুছাতে দিন। এতে পুরো বিষয়টাকে আপনার সন্তান উপভোগ করবে।

 

বড় সন্তানদেরকে ছোট ভাইবোনের দায়িত্ব দিন। ছোট ভাইবোনের দেখভাল করার জন্য় কী কী করা যাবে তা বড় সন্তানকে নিয়ে পরিকল্পনা করুন। দেখবেন আপনার সন্তান দায়িত্বশীল হয়ে উঠছে।   সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com