বরিশালে লঞ্চ-বাসে ভাড়া নৈরাজ্য, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা

বরিশালে লঞ্চ-বাসে ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য চলছে। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর লঞ্চে ভাড়া পুনর্নির্ধারিত না হলেও স্থানীয় বিভিন্ন রুটে ২০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বেড়েছে। আগে ঢাকাগামী লঞ্চে সরকার নির্ধারিত রেটের চেয়ে কম ভাড়ায় ডেক যাত্রী পরিবহন করলেও এখন সিন্ডিকেট করে পূর্বনির্ধারিত সাড়ে ৩শ’ টাকাই আদায় করছে তারা। 

 

অপরদিকে সড়ক পরিবহনে সরকার দূরপাল্লা রুটে কিলোমিটার প্রতি ৪০ পয়সা ভাড়া বাড়ালেও আদায় হচ্ছে আরও বেশি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। ভাড়া বৃদ্ধির নানা অজুহাত দিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

 

গত শুক্রবার রাতে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় সরকার। সরকার নৌপথে এখন পর্যন্ত নতুন ভাড়া নির্ধারণ না করলেও গত শনিবার থেকেই স্থানীয় রুটের লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। স্থানীয় রুট ভেদে ২০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে যাত্রী ভাড়া। নৌযানে ভাড়া আদায়ে জুলুম চলছে বলে অভিযোগ তাদের।

 

ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে সরকার নির্ধারিত ডেক যাত্রী ভাড়া সাড়ে ৩শ’ টাকা। দুটি ঈদ উৎসব ছাড়া বছরের অন্যান্য সময় দেড়শ থেকে ২শ’ টাকায় ডেক যাত্রী পরিবহন করতেন নৌযান মালিকরা। কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর লঞ্চ মালিকরা একাট্টা হয়ে ডেকযাত্রী ভাড়া আদায় করছেন সাড়ে ৩শ’ টাকা করে।

 

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নৌযাত্রীরা। তাদের দাবি, জ্বালানি তেলের দাম যতটুকু বেড়েছে তার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে নৌযানে। নৌযান শ্রমিকরা ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছে যাত্রীদের কাছ থেকে। সরকার ভাড়া না বাড়ালেও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি ভাড়া আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন নৌযান শ্রমিকরা। সরকার এখনো নৌযানে ভাড়া বাড়ায়নি বলে স্বীকার করেছেন লঞ্চ মালিকরা।

 

এদিকে সড়ক পথেও ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য চলছে। সরকার দূরপাল্লা রুটে কিলোমিটার প্রতি ৪০ পয়সা এবং মহানগরসহ অন্যান্য রুটে ৩৫ পয়সা ভাড়া বাড়িয়েছে। কিন্তু এর চেয়েও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছেন শ্রমিকরা। অস্বাভাবিকভাবে ভাড়া বাড়ানোয় আর্থিক চাপে পড়েছেন যাত্রীরা। তাদের দাবি, যাত্রীরা নিরুপায়। প্রতিবাদ করার ভাষা নেই। তবে সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্টদের দাবি, সরকার নির্ধারিত ভাড়াই আদায় করছেন তারা।

 

বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন জানান, কোনো রুটে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায় করা হচ্ছে না। কারও বিরুদ্ধে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবে মালিক সমিতি।

সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ড. ইউনূসকে দেশের কাজে যুক্ত রাখতে চায় বিএনপি

» বাংলাদেশ ২.০ এখনও সম্ভব, যদি জুলাই ভুলে না যাই: তাসনিম জারা

» নির্বাচনের মাস-তারিখ যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে, বিচার ও সংস্কার সেভাবে পায়নি

» করোনা বাড়ায় এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে ‘উদ্বেগ’, আছে বিকল্প চিন্তাও

» পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি

» ওজন কমাতে সাহায্য করবে যেসব প্রাকৃতিক সবজি

» লন্ডনে ডরচেস্টার হোটেলের সামনে দেখা গেল সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে

» যমুনা সেতুর দুই প্রান্তে ৩০ কিলোমিটার যানজট

» এপিবিএন পাবে ভারি অস্ত্র, পুলিশের কাছে থাকবে না মারণাস্ত্র : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» ঈদের ১০ দিনের ছুটি শেষে কাল খুলছে অফিস-আদালত

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বরিশালে লঞ্চ-বাসে ভাড়া নৈরাজ্য, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা

বরিশালে লঞ্চ-বাসে ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য চলছে। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর লঞ্চে ভাড়া পুনর্নির্ধারিত না হলেও স্থানীয় বিভিন্ন রুটে ২০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বেড়েছে। আগে ঢাকাগামী লঞ্চে সরকার নির্ধারিত রেটের চেয়ে কম ভাড়ায় ডেক যাত্রী পরিবহন করলেও এখন সিন্ডিকেট করে পূর্বনির্ধারিত সাড়ে ৩শ’ টাকাই আদায় করছে তারা। 

 

অপরদিকে সড়ক পরিবহনে সরকার দূরপাল্লা রুটে কিলোমিটার প্রতি ৪০ পয়সা ভাড়া বাড়ালেও আদায় হচ্ছে আরও বেশি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। ভাড়া বৃদ্ধির নানা অজুহাত দিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

 

গত শুক্রবার রাতে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় সরকার। সরকার নৌপথে এখন পর্যন্ত নতুন ভাড়া নির্ধারণ না করলেও গত শনিবার থেকেই স্থানীয় রুটের লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। স্থানীয় রুট ভেদে ২০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে যাত্রী ভাড়া। নৌযানে ভাড়া আদায়ে জুলুম চলছে বলে অভিযোগ তাদের।

 

ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে সরকার নির্ধারিত ডেক যাত্রী ভাড়া সাড়ে ৩শ’ টাকা। দুটি ঈদ উৎসব ছাড়া বছরের অন্যান্য সময় দেড়শ থেকে ২শ’ টাকায় ডেক যাত্রী পরিবহন করতেন নৌযান মালিকরা। কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর লঞ্চ মালিকরা একাট্টা হয়ে ডেকযাত্রী ভাড়া আদায় করছেন সাড়ে ৩শ’ টাকা করে।

 

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নৌযাত্রীরা। তাদের দাবি, জ্বালানি তেলের দাম যতটুকু বেড়েছে তার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে নৌযানে। নৌযান শ্রমিকরা ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছে যাত্রীদের কাছ থেকে। সরকার ভাড়া না বাড়ালেও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি ভাড়া আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন নৌযান শ্রমিকরা। সরকার এখনো নৌযানে ভাড়া বাড়ায়নি বলে স্বীকার করেছেন লঞ্চ মালিকরা।

 

এদিকে সড়ক পথেও ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য চলছে। সরকার দূরপাল্লা রুটে কিলোমিটার প্রতি ৪০ পয়সা এবং মহানগরসহ অন্যান্য রুটে ৩৫ পয়সা ভাড়া বাড়িয়েছে। কিন্তু এর চেয়েও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছেন শ্রমিকরা। অস্বাভাবিকভাবে ভাড়া বাড়ানোয় আর্থিক চাপে পড়েছেন যাত্রীরা। তাদের দাবি, যাত্রীরা নিরুপায়। প্রতিবাদ করার ভাষা নেই। তবে সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্টদের দাবি, সরকার নির্ধারিত ভাড়াই আদায় করছেন তারা।

 

বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন জানান, কোনো রুটে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায় করা হচ্ছে না। কারও বিরুদ্ধে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবে মালিক সমিতি।

সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com