রক্তদান মহৎ একটি উদ্যোগ। অন্যকে রক্ত দেওয়ার মাধ্যমে যেমন তার জীবন বাঁচানো যায়, ঠিক তেমনই রক্তদান করলে নিজের শরীরেরও উপকার হয়।
সাধারণত, একজনের দেহ থেকে এক বারে এক ইউনিট রক্ত নেয়া হয়। এই রক্তদাতার দেহে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় তৈরি হয়ে যায়। এর ফলে দাতার কোনো ক্ষতিও হয় না। তবে, ইচ্ছে থাকলেও যে কেউ রক্ত দিতে পারবেন, তা নয়। বিশেষ কোনো রোগের ক্ষেত্রে বা হেপাটাইটিস বি, রেবিজ টিকা নেয়ার পর ছয়মাস রক্তদান করা উচিত নয়।
রক্তদানের পরে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। বরং রক্তদান করলে বেশ কিছু লাভ হতে পারে বলে জানিয়েছে গবেষণা। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেগুলো কী কী-
হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমে: আমেরিকার কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষা বলছে, যারা নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময় অন্তর রক্তদান করেন, তাদের হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমে। যারা সারা জীবনে কখনো রক্তদান করেননি, তাদের হৃদ্যন্ত্রের তুলনায়, যারা রক্তদান করেন, তাদের হৃদ্যন্ত্র অনেক বেশি সুস্থ থাকে।
ক্যান্সারের আশঙ্কাও কমে:পরিসংখ্যান বলছে, যারা নিয়মিত রক্তদান করেন, তাদের ফুসফুস, অন্ত্র, গলার ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে। রক্তদান করলে শরীরে অতিরিক্ত আয়রন জমতে পারে না, তাই ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
বয়সের ছাপ কমে:যারা নিয়মিত রক্তদান করেন, তাঁদের শরীরে বয়সের ছাপও কম পড়ে। ত্বক অনেক টানটান থাকে। শরীরে মেদও জমে কম।
ক্যালোরি ঝরে:একবার রক্তদান করলে সাধারণত তিন মাসের ভেতরে আর রক্তদান করা যায় না। কিন্তু চার থেকে পাঁচ মাস অন্তরও যদি কেউ রক্তদান করেন, প্রতি বারই বিনা পরিশ্রমে ঝরিয়ে ফেলতে পারেন ৬৫০ ক্যালোরি। এমনই বলছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা। সূত্র: আনন্দবাজার