বাবার মৃত্যুর পরে ছেলে-মেয়ে এতিম যারা হয়, তাদের দায়িত্ব হবে চাচার। যদি দাদা বেঁচে থাকেন তাহলে দাদার হবে। দাদা না বাঁচলে চাচার হবে দায়িত্ব। যদি বড় ভাই থাকে তাহলে তার ওপরও দায়িত্ব যাবে। সে যেহেতু বড় অবিভাবকের দায়িত্ব তার ওপরও পড়বে। সেক্ষেত্রে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। আর দাদা থাকলে দাদাই এখানে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পাবেন।
ইসলামের রীতি অনুসারে, অভিভাবক হিসেবে প্রথম দায়িত্ব বাবার, এরপর দাদা-চাচা, এরপর ভাই। কিন্তু আমাদের সমাজে বাবার পর ভাইকেই দায়িত্ব নিতে দেখা যায়। কিন্তু নিয়ম হলো দাদা-চাচাদের নেওয়ার। কিন্তু আমাদের সমাজে দেখা যায়, সম্পর্ক ততটা ভালো না থাকায় সেটা হয় না। চাচারা দায়িত্ব নিতে চায় না। তখন ভাইদেরই বেশি দায়িত্ব নিতে দেখা যায়।
মাতা-পিতার মৃত্যুর পর তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করার উপায় হলো, তাদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ভালো আচরণ করা। মাতা-পিতার কারণে তাদের সম্মান-শ্রদ্ধা ও আদর-আপ্যায়ন করা। আবু উসাইদ মালেক ইবনে রাবিয়া আস-সায়িদি (রা.) বর্ণনা করেন, আমরা রাসুল (সা.)-এর কাছে ছিলাম। বনু সালিমা গোত্রের এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, মাতা-পিতার মৃত্যুর পর তাঁদের সঙ্গে উত্তম আচরণের কোনো উপায় আছে কি? তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ। তাদের জন্য দোয়া করা, তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা, তাদের কৃত অঙ্গীকার পুরা করা, তাদের কারণে যাদের সঙ্গে আত্মীয়তা আছে তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করা এবং তাদের বন্ধুদের সম্মান করা। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫১৪৪)
এদিকে ছেলে-মেয়েদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে মাতা-পিতার মৃত্যুর পরে তাদের জন্য দোয়া করা। তাদের ওসিয়ত থাকলে তা পূরণ করা। তাদের ঋণ শোধ করা এবং আত্মীয়স্বজনের খোঁজ নেয়া। সবচেয়ে পাল্লায় ভারী হয় উত্তম সন্তানের উত্তম সব কাজ। আল্লাহ যেন আমাদের সহায় হোন।
সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ