স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ঘরমুখো মানুষ। ফলে রাজধানীর পথে পথে এখন মানুষের উপচেপড়া ভিড়। কিন্তু পথে নেমে গাড়ি না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। রাজধানীতে এখন গণপরিবহনের সংকট চরমে পৌঁছেছে।
আজ সকাল থেকেই রাজধানীর আসাদগেট, মোহাম্মদপুর, সায়েন্সল্যাব, শাহবাগসহ অন্যান্য অনেক স্থানে যানবাহনের তীব্র সংকট দেখা যায়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও যাত্রীবাহী বাস পাওয়া যায়নি।
যারা ঢাকায় ঈদ করবেন, তারা নিজেদের দৈনন্দিন কাজে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছেন চরম বিপাকে। অসংখ্য মানুষ বাস স্টপেজগুলোতে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। হাতে গোনা কিছু গণপরিবহন চলাচল করলেও যাত্রীতে ঠাসা থাকায় অনেকেই তাতে উঠতে পারেননি।
এদিকে গণপরিবহন কম থাকায় মানুষের চাপে পিকআপেও যাত্রী বহন করতে দেখা যায়। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা রিকশায় অনেকেকে যেতে দেখা যায় বাস টার্মিনালে।
অনেককে আবার হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপাকে পড়ছেন নারী, শিশু ও বয়স্করা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকেই।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন রবিউল ইসলাম। ভোর ৬টার দিকে এসেছেন গাবতলী বাস টার্মিনালে, গন্তব্য উত্তরবঙ্গের জেলা গাইবান্ধা। আগে থেকেই টিকিট সংগ্রহ করেছেন। তবে সময় মতো গাড়ি ছাড়ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আর টার্মিনালে আসার পথে সড়কের ভোগান্তিতে তিনি ক্ষুব্ধ।
তিনি বলেন, ভোরে হাতিরঝিল থেকে লাগেজ নিয়ে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এসে দেখি ৭টার বাস এখনো আসেনি। কখন আসবে, তাও জানি না।
বরিশালের ইসমাইল হোসেন স্ত্রী-সন্তানদের দুদিন আগে লঞ্চে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। আজ তিনি মিরপুর থেকে বাসে করে সদরঘাট যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। লঞ্চে বরিশাল যাবেন। কিন্তু বাস পাচ্ছেন না। গণপরিবহনের সংকট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অন্য সময়ে গাড়ির চাপে যানজট লেগে থাকে।