দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ধনী-গরিব সবাই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নানা প্রস্তুতি নেয়। ঈদকে ঘিরে রাজনৈতিক নেতারাও নানা পরিকল্পনা করে থাকেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুতি নিয়েছেন। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে জনমানুষের সঙ্গে থাকাটাই তাদের কাজ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নেতারা।
আসন্ন ঈদকে ঘিরে কথা বলেছে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতার সঙ্গে। তারা জানান, দলীয়ভাবে কোনো নির্দেশনা না থাকলেও তারা নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জরুরি কোনো দরকারে ঢাকায় আটকা না পড়লে গ্রামের বাড়িতেই ঈদ করবেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক:
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবার ঈদ করবেন ঢাকাতেই। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার সদর উপজেলায়। পাশাপাশি তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার সাবেক সাংসদও। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিই করি গণমানুষের জন্য। আমি মোহাম্মদপুর এলাকার সাবেক সাংসদ। আমি এখানেই ঈদ পালন করবো। গরীব, দুঃখী সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ পালন করবো। সাংসদ হিসেবে বর্তমানে না থাকলেও এই এলাকার মানুষের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। ঈদের আনন্দ তাদের সঙ্গে ভাগ করে ঈদ উদযাপন করবো।‘
আব্দুর রহমান:
দলটির সভাপতিমন্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, আমি ফরিদপুরের ছেলে। তাছাড়া আমি ওই এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য। জনমানুষের সঙ্গে রাজনীতি করি। তবে এখন একটু শারীরিকভাবে অসুস্থ। আমার ইচ্ছা এলাকাতেই ঈদ পালন করা। এরপরেও শরীরের অবস্থার ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে।
সুজিত রায় নন্দী:
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমি ঈদ আমার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরেই পালন করব। কর্মসূত্রে অনেকেই সবসময় এলাকায় থাকেন না। ঈদে সবাই এলাকায় যান। ঈদে সবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হবে। আমরা রাজনীতি করি। তাই মানুষের সঙ্গে থাকাটাই আমাদের ধর্ম। সুখে, দুঃখে বিপদে-আপদে পাশে থাকতে হই। ঈদের খুশি খাগাভাগি করতে এবারের ঈদ আমি গ্রামের বাড়িতেই করবো।
সায়েম খান:
দলটির উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বলেন, গ্রামের বাড়িতে আমার বাবা-মা থাকে। ইচ্ছে ছিল এলাকায় গিয়ে ঈদ করবো। কিন্তু কিছু কাজের কারণে এই ঈদে আমি এলাকায় যেতে পারছি না।
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন:
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার সন্তান আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনও এলাকায় ঈদ উদযাপনের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তেমন কোনো সমস্যা না থাকলে আমি আমার গ্রামের বাড়িতেই ঈদ করবো। আমি এলাকার জনপ্রতিনিধি। সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেই ঈদ উদযাপনের ইচ্ছে।
সূএ:ঢাকাটাইমস