কোরবানি শুধু মহান আল্লাহর জন্য। তবে কোরবানির পর এ গোশত দিয়ে যে কোনো হালাল অনুষ্ঠানে আগত দাওয়াতি মেহমানকে খাওয়ানো যাবে। তাতে কোরবানির কোনো ক্ষতি হবে না। তবে শর্ত হলো- অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্দেশ্যে কোরবানি করা যাবে না।
কারণ কোরবানি দিতে মহান আল্লাহর জন্য। কোরবানির উদ্দেশ্য ছাড়া বিয়ে কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্দেশ্যে কোরবানি দিলে তা বৈধ হবে না।
তবে যদি আল্লাহর হুকুম পালন করার উদ্দেশ্যে কোরবানি করে থাকে, এরপর কোরবানির গোশত দিয়ে বিয়ের মেহমানদারী করে, তাহলে কোরবানিও শুদ্ধ হবে। আবার মেহমানদারদের খাওয়ানোও বৈধ হবে।
তবে যদি বড় পশুর সাত ভাগের মাঝে আলাদা অংশ ওলীমার জন্য রাখে, তাহলে ওলীমার অংশ রাখার কারণে কোরবানি নষ্ট হবে না। বরং শরীক সবার কোরবানি শুদ্ধ হয়ে যাবে।
মাসআলা দু’টি আলাদা। এক হলো, কোরবানির অংশটিকে বিয়ের মেহমানদারীর জন্য কোরবানি করা। আর দ্বিতীয় মাসআলা হলো, কোরবানির অংশ নয়, বরং কোরবানির পশুতে আলাদা অংশে ওলীমার অংশ রাখা।
প্রথম সূরতে কোরবানি শুদ্ধ হবে না। দ্বিতীয় সূরতে কোরবানি শুদ্ধ হবে।
তথ্যসূত্র- ফাতাওয়ায়ে আলমগীরি, তাতারখানিয়া, দুররুল মুখতার, বাদায়েউস সানায়ে