মোঃ খলিলুর রহমান, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি। ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধারের প্রায় ৮ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এ ঘটনায় জড়িত দুই ভাইসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত রবিন মিয়া এবং রোহান মিয়া জানিয়েছেন তাদের ছোট বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্কের কারণেই হত্যা করা হয়েছে সামাদকে।
বুধবার (৬ জুলাই) গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম ও তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসি) আবুল খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাতে ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত আব্দুস সামাদ (১৫) তারাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা। তিনি পেশায় অটোরিকশা চালক ছিলেন। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার দাদরা এলাকার আলাল উদ্দিনের ছেলে রবিন মিয়া (১৯), তার বড় ভাই রোহান মিয়া (২৪), একই উপজেলার হাটপাড়া গ্রামের মো. মুস্তাফিজুর রহমান নাঈম (১৯), পুঙ্গুয়াই গ্রামের মো. শাহীনুর ইসলাম (২২)।
জানা গেছে, উপজেলার রবিন মিয়া নিহত অটোরিকশাচালক সামাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। সেই সম্পর্কের সুবাদে সামাদ প্রায়ই রবিনের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। এতে একসময় রবিনের ছোট বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সামাদের। পরে বিষয়টি জানতে পেরে সামাদকে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় রবিন। এরপরই সামাদকে হত্যার পরিকল্পনা করে রবিন ও তার ভাই রোহান। এদিকে পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে সামাদের অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘোরাফেরা করে একই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে পঙ্গুয়াই উমেদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে নিয়ে যায় রবিন, রোহান ও নাঈম। সেখানে ঝোপের আড়ালে আগেই ওঁৎ পেতে ছিল শাহীনসহ আরও দুজন। পরে সামাদকে সেখানে নেওয়ার পর প্লাস্টিকের রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে স্কুলের সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে রাখে তারা।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসি) আবুল খায়ের বলেন, নিহতের বাবা শাহজাহান মিয়া অজ্ঞাতনামা আসামি করে তারাকান্দা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযানে নামে পুলিশ। অভিযানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়। ধৃত আসামিরা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি শেষে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
Facebook Comments Box