বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের (বিজেএসসি) অধীন সহকারী জজ নিয়োগের পঞ্চদশ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর তিনটি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (জেলা ও দায়রা জজ) শরীফ এ এম রেজা জাকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ ও সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঐ দিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষা নেয়া হবে। এবারের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ৮ হাজার ৫৫৮ জন।
পরীক্ষার্থীদের কক্ষ নম্বর ও আসনবিন্যাস সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রের নোটিশ বোর্ড ও কমিশনের ওয়েবসাইটে ২৮ জুলাই প্রকাশ করা হবে। উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ৪০০, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৪০০ জন ও সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৭৫৮ জন।
পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা
১. প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে। কালো কালির বলপেন দিয়ে ওএমআরের বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
২. পরীক্ষাকেন্দ্রে ব্যাগ, বই, ক্যালকুলেটর, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি, মুঠোফোন এবং তথ্য আদান-প্রদানে ব্যবহারযোগ্য অন্য কোনো ধরনের ডিভাইস আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। প্রবেশপত্রের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
৩. প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে হাজিরা তালিকার ছবির মিল না থাকলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না।
৪. পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্র ত্যাগ করতে পারবেন না।
৫. সব পরীক্ষার্থীকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে হবে। অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে।
কোভিড-১৯ কিংবা অন্য কোনো অনিবার্য পরিস্থিতি বিবেচনায় পরীক্ষার সময়সূচি বাতিল কিংবা পরিবর্তন করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পরিবর্তিত সূচি কিংবা নির্দেশনা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা আগামী আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে। লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি যথাসময়ে জানানো হবে।
পঞ্চদশ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে এবার নিয়োগ পাবেন ১০০ জন। তবে কমিশন সূত্রে জানা যায়, পদের সংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মোট ১০০টি এমসিকিউ থাকবে। প্রতিটি এমসিকিউর মান ১ নম্বর। তবে প্রতিটি এমসিকিউর ভুল উত্তরের জন্যে ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রাক্যোগ্যতা হিসেবে প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
প্রিলিতে ন্যূনতম পাস নম্বর ৫০। পরীক্ষায় সাধারণ বাংলা, সাধারণ ইংরেজি, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়, সাধারণ গণিত, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা এবং আইন বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করা হয়। এ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর প্রার্থীর লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে যোগ করা হবে না। এ পরীক্ষা–সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘তথ্য, নির্দেশনা ও বিস্তারিত সিলেবাস’ বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণনা করা আছে।