স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের সাক্ষ্য হয়নি

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

 

সোমবার  ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন সাক্ষ্য দিতে একজন সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হন। তবে মামলার আসামি আবুল কালাম আজাদ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে উপস্থিত হননি।

এছাড়া আসামি ডা. ইউনুস আলী ও ডা. দিদারুল ইসলাম হজে যাওয়ায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এজন্য আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৪ আগস্ট পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

 

এর আগে, গত ৬ জুন আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী। অন্যদিকে, আসামিদের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য ১২ জুন দিন ধার্য করেন।

 

এরপর ১২ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। ওই দিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজ (সোমবার) দিন ধার্য করেন আদালত।

 

২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী এ মামলা করেন। মামলায় হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এতে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা না হলেও তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্রে তাকে অন্তর্ভুক্ত হয়।

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

 

চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক চুক্তি সম্পাদন এবং জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন করোনা রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেন।

 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগীপ্রতি তিন হাজার ৫০০ টাকা করে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাবার খরচ হিসেবে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

 

অভিযোগপত্রের অন্য আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» যমুনার সামনে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা হাসনাতের

» আমরা যারা ফ্যাসিস্ট বিরোধী দল আছি, তারা যেন ঐক্য ধরে রাখি: সারজিস

» সরকারের ইশারাতেই আবদুল হামিদ দেশ ছাড়েন : ভিপি নুর

» পলাশ থানা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন আলম মোল্লা

» ভোটের মাধ্যমে আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে চাই: মির্জা ফখরুল

» রাষ্ট্রপতির দেশ ত্যাগের দায় উপদেষ্টাদের নিতে হবে- ওসমান হাদী

» আমাদের লড়াইয়ের মূল বিষয় গণতন্ত্রের সংস্কার, যা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে লড়ছি :মির্জা ফখরুল

» ৯ মাস পরে আব্দুল হামিদ দেশ ছেড়েছেন, এটা সরকারের বড় ব্যর্থতা : সারজিস

» দলের নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে যে ব্যবস্থা নিচ্ছে এনসিপি, জানালেন নাহিদ ইসলাম

» জুলাই ফাউন্ডেশনের সিইও পদ ছাড়লেন স্নিগ্ধ

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের সাক্ষ্য হয়নি

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

 

সোমবার  ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন সাক্ষ্য দিতে একজন সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হন। তবে মামলার আসামি আবুল কালাম আজাদ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে উপস্থিত হননি।

এছাড়া আসামি ডা. ইউনুস আলী ও ডা. দিদারুল ইসলাম হজে যাওয়ায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এজন্য আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৪ আগস্ট পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

 

এর আগে, গত ৬ জুন আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী। অন্যদিকে, আসামিদের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য ১২ জুন দিন ধার্য করেন।

 

এরপর ১২ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। ওই দিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজ (সোমবার) দিন ধার্য করেন আদালত।

 

২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী এ মামলা করেন। মামলায় হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এতে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা না হলেও তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্রে তাকে অন্তর্ভুক্ত হয়।

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

 

চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক চুক্তি সম্পাদন এবং জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন করোনা রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেন।

 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগীপ্রতি তিন হাজার ৫০০ টাকা করে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাবার খরচ হিসেবে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

 

অভিযোগপত্রের অন্য আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com