শিশুর সৃজনশীলতা বা জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য বাবা মায়েরা অনেক উপায় ও উপকরণের খোঁজ করে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো- শিশু যেন নিরাপদে খেলতে পারে প্রথমেই সেটি নিশ্চিত করা। শিশুর কাছে জানতে চাইতে হবে সে কি চায়। ধরা যাক, সে একটি বাড়ি তৈরি করতে চায়; তাহলে তাকে সেই উপকরণগুলোই দিতে হবে।
শিশু যাতে নিজে চিন্তা করতে পারে এবং নিজের মতো করে উপকরণগুলির ব্যবহার করতে পারে সেজন্য কিছু কৌশল শিখিয়ে দিয়ে, মা-বাবা সহযোগিতা করতে পারেন।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্টের শিক্ষা ও শিশু উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ সৈয়দা সাজিয়া জামান ইউনিসেফকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। এই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ , শিশুকে স্বাধীনভাবে খেলার সময় দিতে হবে। তিনি মনে করেন, শিশু স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ পেলে পরিবেশ, পরিস্থিতি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করে এবং শেখে। খেলার মাধ্যমে চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত হয়। খেলার মধ্যেমে আবেগ, ভালোবাসা ও কৌতুকপূর্ণ মুহূর্তের মাধ্যমে নতুন শব্দভাণ্ডার তৈরি করে।
একটি শিশু খেলার সময় খেলার উপকরণ, আগ্রহের বিষয়, এমনকি কোনো ঘটনা বেছে নেয়ার স্বাধীনতা পেয়ে থাকে। সে সময় নিজের কল্পনার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করছে। এবং শৈশব থেকেই সে স্বাধীন হয়ে উঠছে।
খেলার সময় শিশুর সামনে কোন সমস্যা দেখা দিলে সেটি সমাধান করার চেষ্টা করে অনেক সময় নিজেই সমাধান তৈরি করে ফেলতে পারে। এতে করে তার নিজস্ব চিন্তাধারা প্রকাশ পাওয়ার সুযোগ ও আগ্রহ তৈরি হয়। শুধু তাই না এতে শিশুর সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে।
তাছাড়া, শিশুর কাছে খেলাধুলা শুধুমাত্র মজার একটি বিষয় নয়- এটি শেখারও বিষয়। একটি শিশু যখন ছড়া আবৃত্তি করে, এর মাধ্যমে তার ভাষা বিকাশের দক্ষতা বাড়ে।
খেলা যখন শেখার মাধ্যম হয়ে ওঠে তাহলে তো খেলাধুলায় ভালো! কি বলেন?
সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ