ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারির বাজারে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড কনটেম্পোরারি অ্যামপেরেক্স টেকনোলজি লিমিটেড (সিএটিএল)। সম্প্রতি একটি যুগান্তকারী ব্যাটারি নিয়ে হাজির হয়েছে কোম্পানিটি।
চীনের এই প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তাদের নতুন এই ব্যাটারি ইলেকট্রিক গাড়িতে ব্যবহার করলে হাজার কিলোমিটার মাইলেজ মিলবে।
নতুন প্রজন্মের এই ব্যাটারি নাম রাখা হয়েছে কিউলিন। একটি পৌরাণিক চীনা প্রাণীর নামে এই ব্যাটারির নামকরণ।
এক বিবৃতিতে সিএটিএল জানিয়েছে আগামী বছর থেকে এই ব্যাটারি উৎপাদন শুরু হবে।
শুধু ক্ষমতায় বড় নয়, অন্যান্য ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারির থেকে দ্রুত চার্জ হবে নতুন জেনারেশনের এই ব্যাটারি। এছাড়াও কোম্পানির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এই ব্যাটারি প্রতিযোগীদের থেকে সুরক্ষিত। এই ব্যাটারি লঞ্চের পরেই কোম্পানির শেয়ারের দাম এক ধাক্কায় ৫.৯ শতাংশ বেড়েছে।
এই ব্যাটারির ভিতরের লেয়ারে থাকছে থার্মাল প্যাড, লিকুইড কুলিং প্লেট ও ইন্টারনাল ক্রসবিম। ভিতরের লেয়ারগুলোর মাঝেই থাকছে বিল্ট ইন মাইক্রন ব্রিজ। যা নমনীয় ভাবে ব্যাটারির মধ্যে পরিবর্তনকে সহ্য করবে।
কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে শেয়ারের প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ৬.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করা হয়েছে। এই অর্থ চারটি চীনা শহরে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি উৎপাদন ও গবেষণার কাজে ব্যবহার হবে।
চলতি বছর একাধিক বার অস্থিরতা অভিজ্ঞতা করেছে সিএটিএল। কাঁচামালের সরবরাহে অভাব ও ট্রেডিং লসের খবর ছড়িয়ে পরার পরেই এই ঘটনা ঘটেছিল। এর ফলে প্রথম ত্রৈমাসিকে কোম্পানির আয় এক বছরে ২৪ শতাংশ কমেছিল।
যেকোন ইলেকট্রিক গাড়ির প্রাণ ভোমরা ব্যাটারি। মূলত ব্যাটারির উপরেই গাড়ির রেঞ্জ ও দাম নির্ভর করে। যত বেশি ক্ষমতার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার হবে তত বেশি হবে সেই ইলেকট্রিক গাড়ির দাম। এখন বাজারে বেশিরভাগ ইলেকট্রিক গাড়িতেই ৪০০-৫০০ কিলোমিটার রেঞ্জ পাওয়া যায়। পর্যাপ্ত রেঞ্জ না থাকার কারণেই এখনও অনেকে ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসছেন।
নতুন এই ব্যাটারিসহ গাড়ি বাজারে আসতে শুরু করলে ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে বিপুল পরিবর্তন আসতে পারে। যদিও এই ব্যাটারি ব্যবহার করে লঞ্চ হওয়া গাড়ির দাম কেমন হবে সেই বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট কোন তথ্য সামনে আসেনি। মনে করা হচ্ছে প্রথম দিকে প্রিমিয়াম সেগমেন্টে লঞ্চ হবে এই গাড়িগুলো।,