করোনার নমুনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা ও জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা ও আরিফুল চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৯ জুলাই তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বুধবার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রায়ের জন্য তারিখ ধার্য করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস। বর্তমানে সকলেই কারাগারে রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছে। অন্যদিনে আসামিপক্ষের প্রত্যাশা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। কাজেই তারা খালাস পাবেন।
গত ১১ মে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। গত ২০ এপ্রিল মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলাটিতে ৪০ জনের মধ্যে ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মামলার তদন্ত শেষে গত ৫ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী এই চার্জশিট জমা দেন।
চার্জশিটে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট জব্দের কথা বলা হয়েছে।
গত বছর ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।