হঠাৎ শুরু হয় মতিয়ারের হজ ব্যবসা। প্রতি বারই হজের সময় হজের নামে সৌদি আরবে যান তিনি। সেখানে গিয়ে সৌদির পথে পথে ভিক্ষাবৃত্তি করে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। কয়েক বছরে ভিক্ষার টাকায় তিনি ১০ থেকে ১২ বিঘা চাষের জমি কিনেছেন। এবার মদিনায় ভিক্ষাবৃত্তির সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ায় খবরটি এলাকায় পৌঁছলে মানুষের মধ্যে চলছে নানারকম গুঞ্জন। মতিয়ার রহমানের স্ত্রী মমতাজ খাতুন বলেন, স্বামী হজ করে ফেরার সময় প্রতি বারই মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে আসেন। আমি তো তাকে জিজ্ঞেস করেছি এত টাকা কীভাবে পান? কিন্তু তেমন কোনো উত্তর দেননি কখনো। এখন শুনছি সেখানে গিয়ে ভিক্ষা করেন। এটা আমার পরিবারের ও ছেলে মেয়েদের কাছে লজ্জার বিষয়।
জানা গেছে, ভিক্ষা করার সময় ২২ জুন মদিনা পুলিশ তাকে আটক করে। সে সময় মতিয়ার পুলিশকে জানান, তার মানিব্যাগটি ছিনতাই হয়ে গেছে। তাই ভিক্ষা করছেন। পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে স্থানীয় থানায় নেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বাংলাদেশ হজ মিশনের হস্তক্ষেপে মুচলেকা নিয়ে মতিয়ারকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কাউন্সিলর (হজ) জহুরুল ইসলাম বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানান, মতিয়ার ধানসিঁড়ি ট্রাভেল এজেন্সির সার্ভিসের মাধ্যমে হজ করতে সৌদি গিয়েছিলেন। তবে বিভিন্ন পত্রিকার বরাতে জানা গেছে, মতিয়ার সৌদিতে কোনো হোটেল বুক করেননি। তাকে গাইড করার মতো কোনো মোয়াল্লেমও ছিল না। স্থানীয় মটমুড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান, এলাকার কোনো মানুষ শুধু হজে একবার যেতে পারলে ধন্য। মতিয়ার রহমান যান প্রতিবারই। এ পর্যন্ত তিনি চারবার হজে গিয়েছেন। গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রাজ্জাক জানান, মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে, মারামারি ও হাঙ্গামার অভিযোগে থানায় দুটি মামলা রয়েছে। গাংনী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা নং ৭, তারিখ ১১/০৭/২০১১ ও মারামারির অভিযোগে মামলা নং ১৬, তারিখ ১২/০৪/২০১০। সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেফতারও হয়েছিলেন এই মতিয়ার।