ডিজিটাল সনদ-আইডি কার্ড পাচ্ছেন ৩৭ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আগামী দু’মাসের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড তুলে দেওয়া হবে। তাদের প্রত্যাশিত ডিজিটাল সার্টিফিকেট এবং আইডি কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ১৩টি জেলার ৩৭ হাজার ৯১ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ডিজিটাল সনদ ও কার্ড দেওয়া হবে। 

 

আজ নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড প্রদান, চিকিৎসা সেবা প্রদান, সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত বুকলেটের মোড়ক উম্মোচন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

 

এ সময় মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রঞ্জিত কুমার দাসসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

 

মোজাম্মেল হক বলেন, প্রথম পর্যায়ে গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নড়াইল ও গাজীপুর জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড দেওয়া হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এই কার্ড দেওয়া হবে।

 

মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড বিতরণ করতে দু’মাসের বেশি সময় লাগবে না। ইতোমধ্যে অর্ধেকের বেশি সার্টিফিকেট ও কার্ড তৈরি হয়েছে, বাকি সার্টিফিকেট ও কার্ড তৈরির কাজও দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।

 

মন্ত্রী আরও বলেন, এই সার্টিফিকেট এবং কার্ড উপজেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকেই বিতরণ করা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা জীবিত আছেন তারা সার্টিফিকেট এবং আইডি কার্ড দুটিই পাবেন, কিন্তু যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন, তাদের জন্য শুধু ডিজিটাল সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।

 

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড যাতে কেউ জাল করতে না পারে, সেজন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল সার্টিফিকেটে ১৪ ধরণের এবং ডিজিটাল আইডি কার্ডে ১২ ধরণের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার বিষয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতাল এবং ঢাকার ২২টি বিশেষায়িত হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে ১৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওই হাসপাতালগুলোর রিকুইজিশন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হবে।

 

মন্ত্রী বলেন, কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ দেওয়া হবে।

 

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন সম্পর্কে মোজাম্মেল হক বলেন, এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছু করার নেই। শুধুমাত্র ভোটার তালিকা তৈরি করে দেওয়াই মন্ত্রণালয়ের কাজ। ভোটার তালিকা পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।

 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। আর নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আদালতের যে বিধিনিষেধ ছিল, সে বিষয়েও সুরাহা হয়েছে। এখন নির্বাচন অনুষ্ঠানে আর কোনো বাধা নেই।

 

বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভুল থাকলে নিজ নিজ উপজেলায় অভিযোগ দেওয়ার বিষয়ে উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলেন, নিজ নিজ উপজেলায় দেওয়া অভিযোগের শুনানির ভিত্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভুল থাকলে তা বাতিল করা হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ১১ হাজার নাম বাতিল করা হয়েছে।

 

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এক বছর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ না করলে মন্ত্রণালয়ের কিছু করার থাকে না। তবে উপজেলা যে সব সময় সঠিক কাজ করে তা বলা যাবে না। তাই কেউ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে ন্যায় বিচার না পেলে জামুকায় আপিল করতে পারবেন।

 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বীরঙ্গনা এবং প্রবাসীরা ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটের জন্য দেশে থাকা আর কেউ আবেদন করতে পারবেন না। কারণ যে অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়ে থাকে, তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গকে দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার তালিকা সম্বলিত বুকলেট সকলের মধ্যে বিতরণ করা হয়।,

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি, দুদিনের মধ্যে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার

» গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করে শেষ মুহূর্তে ‘শাটডাউন’ এড়ালো যুক্তরাষ্ট্র

» বাসে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় তৈরি পাইপ গানসহ দুই যাত্রী গ্রেপ্তার

» সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাসান আরিফের জানাজা সম্পন্ন

» উত্তর ভারতের প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামানো হচ্ছে ‘পুষ্পা-২’

» ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ কনসার্ট ঘিরে যান চলাচলে নির্দেশনা

» সাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু

» বেইলি ব্রিজ ভেঙে তুরাগ ন‌দে ট্রাক, বিকল্প পথে চলার অনুরোধ

» সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতি বন্ধ হয়নি: তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা

» ক‍্যানবেরায় ১২ প্রবাসীকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অ‍্যাওয়ার্ড প্রদান

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ডিজিটাল সনদ-আইডি কার্ড পাচ্ছেন ৩৭ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আগামী দু’মাসের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড তুলে দেওয়া হবে। তাদের প্রত্যাশিত ডিজিটাল সার্টিফিকেট এবং আইডি কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ১৩টি জেলার ৩৭ হাজার ৯১ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ডিজিটাল সনদ ও কার্ড দেওয়া হবে। 

 

আজ নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড প্রদান, চিকিৎসা সেবা প্রদান, সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত বুকলেটের মোড়ক উম্মোচন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

 

এ সময় মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রঞ্জিত কুমার দাসসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

 

মোজাম্মেল হক বলেন, প্রথম পর্যায়ে গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নড়াইল ও গাজীপুর জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড দেওয়া হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এই কার্ড দেওয়া হবে।

 

মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড বিতরণ করতে দু’মাসের বেশি সময় লাগবে না। ইতোমধ্যে অর্ধেকের বেশি সার্টিফিকেট ও কার্ড তৈরি হয়েছে, বাকি সার্টিফিকেট ও কার্ড তৈরির কাজও দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।

 

মন্ত্রী আরও বলেন, এই সার্টিফিকেট এবং কার্ড উপজেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকেই বিতরণ করা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা জীবিত আছেন তারা সার্টিফিকেট এবং আইডি কার্ড দুটিই পাবেন, কিন্তু যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন, তাদের জন্য শুধু ডিজিটাল সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।

 

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড যাতে কেউ জাল করতে না পারে, সেজন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল সার্টিফিকেটে ১৪ ধরণের এবং ডিজিটাল আইডি কার্ডে ১২ ধরণের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার বিষয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতাল এবং ঢাকার ২২টি বিশেষায়িত হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে ১৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওই হাসপাতালগুলোর রিকুইজিশন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হবে।

 

মন্ত্রী বলেন, কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ দেওয়া হবে।

 

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন সম্পর্কে মোজাম্মেল হক বলেন, এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছু করার নেই। শুধুমাত্র ভোটার তালিকা তৈরি করে দেওয়াই মন্ত্রণালয়ের কাজ। ভোটার তালিকা পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।

 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। আর নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আদালতের যে বিধিনিষেধ ছিল, সে বিষয়েও সুরাহা হয়েছে। এখন নির্বাচন অনুষ্ঠানে আর কোনো বাধা নেই।

 

বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভুল থাকলে নিজ নিজ উপজেলায় অভিযোগ দেওয়ার বিষয়ে উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলেন, নিজ নিজ উপজেলায় দেওয়া অভিযোগের শুনানির ভিত্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভুল থাকলে তা বাতিল করা হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ১১ হাজার নাম বাতিল করা হয়েছে।

 

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এক বছর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ না করলে মন্ত্রণালয়ের কিছু করার থাকে না। তবে উপজেলা যে সব সময় সঠিক কাজ করে তা বলা যাবে না। তাই কেউ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে ন্যায় বিচার না পেলে জামুকায় আপিল করতে পারবেন।

 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বীরঙ্গনা এবং প্রবাসীরা ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটের জন্য দেশে থাকা আর কেউ আবেদন করতে পারবেন না। কারণ যে অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়ে থাকে, তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গকে দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার তালিকা সম্বলিত বুকলেট সকলের মধ্যে বিতরণ করা হয়।,

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com