গেঁটেবাত থেকে পরিত্রাণের সহজ কিছু উপায়

‘গেঁটেবাত’-কে  ধনী মানুষদের অসুখ বলা হয়ে থাকে৷ অর্থাৎ, প্রচুর চর্বিজাতীয় খাবার, মিষ্টি, অ্যালকোহল– এসবই নাকি এই রোগের প্রধান কারণ। তাই একটু সতর্ক হলেই কিন্তু এই রোগকে দূরে রাখা যায়।

 

আপনি কি ভোজনরসিক?
আপনি কি মাংস কিংবা ফ্যাট কম খান? যদি তা হয় এবং যদি অ্যালকোহলকেও দূরে রাখেন, তাহলে কিন্তু আপনার গেঁটেবাত হওয়ার আশঙ্কা স্বাভবিকভাবেই কমে যায়। আর যদি এর উল্টোটা হয়, তাহলে খানিকটা চিন্তার বিষয়ই বটে!

 

যেসব খাবার নিষিদ্ধ:গরু বা বাছুরের কলিজা, হেরিং, ট্রাউট, সার্ডিনেন মাছ খাবারের তালিকা থেকে পুরোপুরি বাদ দিতে হবে, কারণ, এসব খাবারে থাকে প্রচুর পিউরিন, যা কিনা শরীরে ইউরিক অ্যাসিড গঠনে সহায়তা করে থাকে। মাত্র ৩৬০ গ্রাম গরুর কলিজায় থাকে ১০০ গ্রাম পিউরিন।

 

যা খেতে পারেন:গেঁটেবাতের রোগীদের নুডলস, ভাত, আলু, গাঁজর, ফুলকপি, টমেটো, আপেল, দই, পনির এসব খাওয়ায় বারণ নেই, কারণ, এসব খাবার পিউরিন-ফ্রি।

 

চকলেট খেতেও বাধা নেই:গেঁটেবাতের রোগী কিন্তু চকলেটও খেতে পারেন, তবে তা হতে হবে হালকা তেতো চকলেট।

 

প্রচুর পান করুন! তবে সঠিক পানীয়… পানি পান করাই উত্তম, কারণ, অ্যালকোহল রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের ঘণত্ব বাড়ায়। কেউ দীর্ঘদিন অ্যালকোহল পান করলে তার গেঁটেবাত বেড়ে যেতে পারে।

 

যেকোনও ধরনের ব্যায়াম:হাঁটাহাটি, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা বা আপনার পছন্দমতো ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়াম শরীরের জয়েন্টগুলোর জন্য পুষ্টির মতো কাজ করে। তাছাড়া ব্যায়াম শরীরকে সচল রাখতেও সহায়তা করে৷ যদিও এ ব্যাপারের অনেকের ধারণা ঠিক উল্টো, অর্থাৎ অনেকে মনে করেন, গেঁটেবাতের রোগীর জন্য ব্যয়াম নিষিদ্ধ৷ তবে এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।

 

রান্নায় সতর্কতা:আসলে চর্বি এড়িয়ে খাওয়া-দাওয়া করা কিন্তু তেমন কঠিন কিছু নয়। ননস্টিকি হাড়ি বা কড়াইয়ে রান্না করলে তেমন তেলের দরকার হয় না। কারণ, চর্বি বেশি খেলে তা কিডনির মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড নির্গমণকে বাধা দেয় এবং তার ফলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়, যা গেঁটেবাতে সহায়ক। সূত্র: ডয়েচে ভেলে

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আমাদের মূল লক্ষ্য ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা: ইসি হাবিব

» এরশাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছি: জি এম কাদের

» ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে

» বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ

» বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশাধিকারের দাবি নোয়াব ও সম্পাদক পরিষদের

» ২০০ টাকায় দেখা যাবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে লড়াই

» বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদকবিরোধী অভিযানে বিক্রি ও সেবনের অপরাধে ২০জন গ্রেপ্তার

» চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী

» উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেই: ইসি আলমগীর

» মানুষের প্রতিকার চাওয়ার কোনো জায়গা নেই: রিজভী

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

গেঁটেবাত থেকে পরিত্রাণের সহজ কিছু উপায়

‘গেঁটেবাত’-কে  ধনী মানুষদের অসুখ বলা হয়ে থাকে৷ অর্থাৎ, প্রচুর চর্বিজাতীয় খাবার, মিষ্টি, অ্যালকোহল– এসবই নাকি এই রোগের প্রধান কারণ। তাই একটু সতর্ক হলেই কিন্তু এই রোগকে দূরে রাখা যায়।

 

আপনি কি ভোজনরসিক?
আপনি কি মাংস কিংবা ফ্যাট কম খান? যদি তা হয় এবং যদি অ্যালকোহলকেও দূরে রাখেন, তাহলে কিন্তু আপনার গেঁটেবাত হওয়ার আশঙ্কা স্বাভবিকভাবেই কমে যায়। আর যদি এর উল্টোটা হয়, তাহলে খানিকটা চিন্তার বিষয়ই বটে!

 

যেসব খাবার নিষিদ্ধ:গরু বা বাছুরের কলিজা, হেরিং, ট্রাউট, সার্ডিনেন মাছ খাবারের তালিকা থেকে পুরোপুরি বাদ দিতে হবে, কারণ, এসব খাবারে থাকে প্রচুর পিউরিন, যা কিনা শরীরে ইউরিক অ্যাসিড গঠনে সহায়তা করে থাকে। মাত্র ৩৬০ গ্রাম গরুর কলিজায় থাকে ১০০ গ্রাম পিউরিন।

 

যা খেতে পারেন:গেঁটেবাতের রোগীদের নুডলস, ভাত, আলু, গাঁজর, ফুলকপি, টমেটো, আপেল, দই, পনির এসব খাওয়ায় বারণ নেই, কারণ, এসব খাবার পিউরিন-ফ্রি।

 

চকলেট খেতেও বাধা নেই:গেঁটেবাতের রোগী কিন্তু চকলেটও খেতে পারেন, তবে তা হতে হবে হালকা তেতো চকলেট।

 

প্রচুর পান করুন! তবে সঠিক পানীয়… পানি পান করাই উত্তম, কারণ, অ্যালকোহল রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের ঘণত্ব বাড়ায়। কেউ দীর্ঘদিন অ্যালকোহল পান করলে তার গেঁটেবাত বেড়ে যেতে পারে।

 

যেকোনও ধরনের ব্যায়াম:হাঁটাহাটি, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা বা আপনার পছন্দমতো ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়াম শরীরের জয়েন্টগুলোর জন্য পুষ্টির মতো কাজ করে। তাছাড়া ব্যায়াম শরীরকে সচল রাখতেও সহায়তা করে৷ যদিও এ ব্যাপারের অনেকের ধারণা ঠিক উল্টো, অর্থাৎ অনেকে মনে করেন, গেঁটেবাতের রোগীর জন্য ব্যয়াম নিষিদ্ধ৷ তবে এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।

 

রান্নায় সতর্কতা:আসলে চর্বি এড়িয়ে খাওয়া-দাওয়া করা কিন্তু তেমন কঠিন কিছু নয়। ননস্টিকি হাড়ি বা কড়াইয়ে রান্না করলে তেমন তেলের দরকার হয় না। কারণ, চর্বি বেশি খেলে তা কিডনির মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড নির্গমণকে বাধা দেয় এবং তার ফলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়, যা গেঁটেবাতে সহায়ক। সূত্র: ডয়েচে ভেলে

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com