ইভিএম সবগুলো ঠিকঠাক কাজ করছে এরকম নয়। আমাদের কারিগরি টিম আছে, তারা সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছে। তবে কক্ষের সামনে ধীরগতি নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শায়েদুন্নবী চৌধুরী।
আজ রানীরদীঘির পাড় ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব একথা বলেন।
শায়েদুন্নবী চৌধুরী বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ আছে। পোলিং এজেন্টদের জিজ্ঞেস করেছি, ওনারাও আমাকে নিশ্চিত করেছেন ভোট সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। সব প্রার্থী কিন্তু এজেন্ট দেননি। কোনও কোনও মেয়র পদপ্রার্থীও এজেন্ট দেননি।
ভোটে ধীরগতির বিষয়ে শায়েদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ‘একজন ভোটার তিন পদে ভোট দেন। প্রথম একটু হয়তো চিন্তা করেন, কীভাবে ভোট দেবেন। এজন্য একটু ধীরগতি হতে পারে।
কিছু ভোটারের অভিযোগ, আঙুলের ছাপ মিলছে না- এ প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, অনেক সময় আঙুলের রেখার কারণে এমনটা হয়। এর মধ্যেই আমরা চালিয়ে যাব। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা অবহিত আছেন, তারা ব্যবস্থা নেবেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এদিন সকাল ৮টায় নির্ধারিত সময়েই এ নগরীর ১০৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
এদিকে নগরজুড়ে বাড়তি পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ভোটকেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় বাড়তি সতর্কতা রয়েছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ নারীসহ মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এবার এ নির্বাচনে ৫ মেয়র প্রার্থী, ৯টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ নারী কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ২৫টি ওয়ার্ডে ১০৮ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২টি ওয়ার্ড ৫ ও ১০নং ওয়ার্ডে একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।
সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জেলায় ১ হাজার ২৬০ আনসারসহ ৩ হাজার ৬০৮ জন পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৭৫টি চেক পোস্ট, স্ট্রাইকিং ফোর্স, ৫০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৯ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১৫ প্লাটুন বিজিবি এবং র্যাব নিয়োগ করা হয়েছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৭ সালের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন। ভোট পড়েছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৯০। এর মধ্যে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছিলেন ৬৮ হাজার ৯৪৮ ভোট, আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনজুম সুলতানার নৌকা পেয়েছিল ৫৭ হাজার ৮৬৩ ভোট।
এর আগে সিটি করপোরেশন গঠন হওয়ার পর ২০১২ সালের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আফজল খান। সেই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলেন মনিরুল হক সাক্কু।