আপনার সন্তানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করছে যে ৫ অভ্যাস

শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবার ও টিকাকরণের ওপরই জোর দিয়ে থাকেন অধিকাংশ অভিভাবকরা। কিন্তু এ সব সত্ত্বেও অনেক শিশুই বার বার অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর অন্যতম কারণ তাদের শরীরের দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কিছু অভ্যাস এমন আছে, যার কারণে স্বাস্থ্যকর খাবার ও সম্পূর্ণ টিকাকরণ সত্ত্বেও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।

 

স্বাস্থ্যকর খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত নয়। এছাড়াও আরও নানা বিষয়ে নজর রাখতে হবে। শিশুরা যতটা বাইরের পরিবেশে উপস্থিত জীবাণুর সংস্পর্শে আসবে, ততই তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের ঘুম কমে যেতে থাকে। সে ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টার ঘুম দরকার। আবার অসুস্থ হয়ে পড়লেই বার বার অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার অভ্যাসও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে।

 

আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে দেখে নিন, কোন কোন বদ অভ্যাস বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে-

 

আউটডোর গেম না খেলা: মোবাইল ও কমপিউটার গেমসের যুগ শুরু হওয়ার সময়কাল থেকেই শিশুরা এ ধরণের ইনডোর গেমসে মজেছে। তার ওপর ২৪ ঘণ্টার নানা কার্টুন চ্যানেলের উপস্থিতি তো রয়েছেই। একই জায়গায় বসে কার্টুন দেখে বা গেম খেলে আদতে শিশুদের শারীরিক বিকাশে সমস্যা হয়। এর ফলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে এবং তারা বার বার অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। অন্যদিকে, আউটডোর গেম খেললে শিশুরা পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পায়। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব:বয়স অনুযায়ী প্রতিদিন ১০-১৪ ঘণ্টার ঘুম শিশুদের জন্য জরুরি। পর্যাপ্ত ও ভালো ঘুম শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রাতে দেরি করে ঘুমানো, কম্পিউটার ও মোবাইলে গেম খেলা শিশুদের ঘুম কমিয়ে আনতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শারীরিক অবসাদের সষ্টি হয়, যা মস্তিষ্কে স্বতন্ত্র ভাবে অক্সিজেন প্রসারিত হতে বাধা দেয়। এর ফলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং বার বার অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে তারা।

 

পরিচ্ছন্নতার অভাব:পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে অত্যধিক জীবাণু শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। খাবার আগে হাত না ধোয়া, ভালোভাবে দাঁত পরিষ্কার না করা, বড় ও নোংরা নখ ইত্যাদি এ সকল অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে।

 

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস:পুষ্টিকর ও ভারসাম্য যুক্ত খাবার শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে মজবুত করার জন্য জরুরি। বর্তমানে অধিকাংশ শিশুই জাঙ্ক ফুড, প্যাকড ফুড, কোল্ড ড্রিঙ্কস পছন্দ করে। কিন্তু এ ধরণের খাবারে উপস্থিত প্রিজার্ভেটিভ, কৃত্রিম রঙ ও চিনি তাদের হজম শক্তির ক্ষতি করে। এর ফলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়।

 

শরীরে পানির অভাব:বড়দের তুলনায় শিশুদের শরীরে অধিক পরিমাণে পানির প্রয়োজন হয় না। কিন্তু পাচকতন্ত্র সুষ্ঠু পরিমাণে কাজ করার জন্য যে পরিমাণ পানির প্রয়োজন তা অবশ্যই পান করা উচিত। পাচকতন্ত্রের মাধ্যমে পুষ্টিকর উপাদান শোষণে সাহায্য করে পানি। এর ফলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়। এছাড়া শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ নির্গত করতেও পানি সাহায্য করে।  সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» রেলের ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক ও অমানবিক : গোলাম মোহাম্মদ কাদের

» ছয় দিন ধরে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস

» রাজউকের প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়ে নতুন বিধিমালা

» ফিলিস্তিনি প্রতি বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

» যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত হয়েছি : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

» পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সহায়তা দেবে তথ্য মন্ত্রণালয়

» নকল স্যালাইন উৎপাদনকারী একটি চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার

» ভোটারবিহীন নির্বাচনে আনন্দ নেই, সৌন্দর্য্য নেই: ইসি রাশেদা

» আমি ব্রেকআপ করলাম: সুহানা খান

» লড়াইয়ের সর্বশেষ প্রস্তুতি নিন, নেতাকর্মীদের রিজভী

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

আপনার সন্তানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করছে যে ৫ অভ্যাস

শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবার ও টিকাকরণের ওপরই জোর দিয়ে থাকেন অধিকাংশ অভিভাবকরা। কিন্তু এ সব সত্ত্বেও অনেক শিশুই বার বার অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর অন্যতম কারণ তাদের শরীরের দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কিছু অভ্যাস এমন আছে, যার কারণে স্বাস্থ্যকর খাবার ও সম্পূর্ণ টিকাকরণ সত্ত্বেও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।

 

স্বাস্থ্যকর খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত নয়। এছাড়াও আরও নানা বিষয়ে নজর রাখতে হবে। শিশুরা যতটা বাইরের পরিবেশে উপস্থিত জীবাণুর সংস্পর্শে আসবে, ততই তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের ঘুম কমে যেতে থাকে। সে ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টার ঘুম দরকার। আবার অসুস্থ হয়ে পড়লেই বার বার অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার অভ্যাসও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে।

 

আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে দেখে নিন, কোন কোন বদ অভ্যাস বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে-

 

আউটডোর গেম না খেলা: মোবাইল ও কমপিউটার গেমসের যুগ শুরু হওয়ার সময়কাল থেকেই শিশুরা এ ধরণের ইনডোর গেমসে মজেছে। তার ওপর ২৪ ঘণ্টার নানা কার্টুন চ্যানেলের উপস্থিতি তো রয়েছেই। একই জায়গায় বসে কার্টুন দেখে বা গেম খেলে আদতে শিশুদের শারীরিক বিকাশে সমস্যা হয়। এর ফলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে এবং তারা বার বার অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। অন্যদিকে, আউটডোর গেম খেললে শিশুরা পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পায়। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব:বয়স অনুযায়ী প্রতিদিন ১০-১৪ ঘণ্টার ঘুম শিশুদের জন্য জরুরি। পর্যাপ্ত ও ভালো ঘুম শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রাতে দেরি করে ঘুমানো, কম্পিউটার ও মোবাইলে গেম খেলা শিশুদের ঘুম কমিয়ে আনতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শারীরিক অবসাদের সষ্টি হয়, যা মস্তিষ্কে স্বতন্ত্র ভাবে অক্সিজেন প্রসারিত হতে বাধা দেয়। এর ফলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং বার বার অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে তারা।

 

পরিচ্ছন্নতার অভাব:পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে অত্যধিক জীবাণু শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। খাবার আগে হাত না ধোয়া, ভালোভাবে দাঁত পরিষ্কার না করা, বড় ও নোংরা নখ ইত্যাদি এ সকল অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে।

 

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস:পুষ্টিকর ও ভারসাম্য যুক্ত খাবার শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে মজবুত করার জন্য জরুরি। বর্তমানে অধিকাংশ শিশুই জাঙ্ক ফুড, প্যাকড ফুড, কোল্ড ড্রিঙ্কস পছন্দ করে। কিন্তু এ ধরণের খাবারে উপস্থিত প্রিজার্ভেটিভ, কৃত্রিম রঙ ও চিনি তাদের হজম শক্তির ক্ষতি করে। এর ফলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়।

 

শরীরে পানির অভাব:বড়দের তুলনায় শিশুদের শরীরে অধিক পরিমাণে পানির প্রয়োজন হয় না। কিন্তু পাচকতন্ত্র সুষ্ঠু পরিমাণে কাজ করার জন্য যে পরিমাণ পানির প্রয়োজন তা অবশ্যই পান করা উচিত। পাচকতন্ত্রের মাধ্যমে পুষ্টিকর উপাদান শোষণে সাহায্য করে পানি। এর ফলে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়। এছাড়া শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ নির্গত করতেও পানি সাহায্য করে।  সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com