নঈম নিজাম: গুজব ছড়ানো হচ্ছে গোয়েবলসীয় কায়দায়। দিনকে রাত আর রাতকে বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে দিন। অনেকটা উত্তেজিতভাবেই কথাগুলো বললেন তিনি। ভদ্রলোকের নাম মাসুম। বাড়ি জামালপুর। ব্যবসা করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। আড্ডাবাজ মানুষ। হঠাৎ দেখা ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে। আমেরিকা থেকে ফিরতে আমাদের দীর্ঘ যাত্রাবিরতি। তিনি আসছেন কানাডা থেকে। ঢাকার ফ্লাইটের জন্য ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরের লাউঞ্জে অপেক্ষা করতে হচ্ছে আমাদের। মাসুম ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হতেই জানালেন তাঁর ছেলেরা পড়াশোনা করে কানাডায়। তাদের দেখতে গিয়েছিলেন। ফিরছেন ঢাকায়। আমাদের মতো তাঁকেও অপেক্ষা করতে হবে ঢাকার ফ্লাইট ধরতে। সাবেক সচিব মিকাইল সিপারকেও দেখলাম অপেক্ষা করছেন। তিনিও আসছেন কানাডা থেকে। তাঁর স্ত্রী সিলেটের একসময়ের দাপুটে আওয়ামী লীগ নেতা ইফতেখার হোসেন শামীমের বোন। আপা ও মিকাইল সিপার ভাইয়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে মাসুম ভাইকে নিয়ে বসলাম। চমৎকার আড্ডাবাজ মানুষ মাসুম ভাই। বললেন, ইস্তাম্বুলে অনেক ধরনের চা পাওয়া যায়। চলেন নিয়ে আসি। ফরিদা ইয়াসমিন আর আমার জন্য দুই কাপ চা নিয়ে ফিরলাম। মাসুম ভাইও নিলেন। তারপর ধীরে ধীরে আমাদের আড্ডা জমে ওঠে। নিজেদের পারিবারিক-সামাজিক বিষয় দিয়ে শুরু। তারপর সেই আড্ডা চলে গেল ইউক্রেন যুদ্ধে। আর যুদ্ধের প্রভাব কীভাবে বাংলাদেশে পড়বে তা নিয়ে আলাপ জমতে থাকে।
জানতে চাইলাম ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের সার্বিক পরিস্থিতি কি সরকার সামাল দিতে পারবে? আপনি তো আমদানি-রপ্তানি করেন। ব্যবসায়ী হিসেবে কী মনে হয়? জবাবে বললেন, বড় কঠিন একটা সময় পার করছে বিশ্ব। সমস্যা বৈশি^ক। কিন্তু আমরা এড়াতে পারছি না। আমাদের ঘাড়েও এসে পড়েছে যুদ্ধের প্রভাব। সরকার চেষ্টা করলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। সবকিছুতে ঝুঁকি বাড়ছে। ধরুন এই যে আমরা ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে বসে আছি, এখান থেকে ইউক্রেন বেশি দূর নয়। কাছাকাছি দেশ। যুদ্ধের ধাবমান প্রভাবে আমরাও এখানে বিপদে পড়তে পারি। আশঙ্কা নিয়েই সবাইকে চলতে হয় এ যুগে। আমরা বাদ যাই কী করে? শুধু রিলাক্সে আছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সিএনএন দেখলে মনে হয় হলিডে মুডে আছেন। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম আমেরিকা, কানাডায়ও বেড়েছে। মনে পড়ল দুই দিন আগে নিউইয়র্কে সাংবাদিক লাবলু আনসার বলেছেন, আগে গাড়ির তেল ভরতে লাগত ২৭ ডলার। এখন ৬০ ডলারের বেশি। বাঙালির অনেকে খরচ বাঁচাতে নিউইয়র্ক ছেড়ে চলে যাচ্ছেন দূরের শহরগুলোয়। তাতেও নিস্তার মিলছে না। পরিস্থিতি সামলাতে আমেরিকানরা জ্বালানিবিহীন গাড়ির দিকে ঝুঁকছে। তেল ছাড়া চলা গাড়ি বেচাকেনা বেড়েছে। মাসুম ভাই বললেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর বাইরের কোনো দেশ নয়। পৃথিবীর সব দেশ সমস্যায় থাকবে আর আমরা এর বাইরে কীভাবে থাকব বলুন? আমাদের গম, তেলের বড় জোগানদাতা ছিল রাশিয়া, ইউক্রেন। তারা দুই দেশ এখন যুদ্ধে লিপ্ত। আমাদের আমদানিতে এর পুরো প্রভাবই পড়ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।
মাসুম সাহেবের কথায় যুক্তি আছে। বললাম, সব ঠিক আছে। এ কঠিন জটিলতা কীভাবে কাটাবে? বিশ্ব ঘুরে দাঁড়াবে কীভাবে? তিনি জবাবে বললেন, আমরা ব্যবসা করি। বাস্তবতা বুঝি। আপনারা কথায় কথায় মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের মতো দেশ চাইবেন। আবার সারা দিন টকশোয় গিয়ে গালাগাল করবেন গণতন্ত্র আর ফ্রিডম অব প্রেস নিয়ে! আরে ভাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাতে কি টকশোয় এভাবে সরকারকে গালাগাল করা যায়? জবাবে বললাম, গণতন্ত্র সবাই চায়। আইনের শাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে আইনের শাসন আছে। তিনি বললেন, গণতন্ত্র আছে বলেই আপনারা মিডিয়ায় সরকারের সমালোচনা করতে পারছেন। পত্রিকায় লিখছেন কঠোর ভাষায়। টকশোয় গিয়ে সবাই কথা বলছেন। এ টেলিভিশনগুলো বর্তমান সরকারের দেওয়া। এত টেলিভিশন শেখ হাসিনা না দিলে কেউ কি এভাবে কথা বলতে পারতেন? এবার মাসুম ভাই আমার দিকে তাকালেন। বললেন, আপনি তো শেখ হাসিনাকে কাছ থেকে দেখেছেন। বাংলাদেশ ঘুরেছেন নেত্রীর সঙ্গে। আপনি বলেন, তাঁর আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি দেখেছেন কি বাংলাদেশ নিয়ে? করোনাকালে সবাই ভেবেছিল সব শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু শেখ হাসিনা সবকিছু মোকাবিলা করেছেন। অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করেছেন। আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন। তিনি সব সামলাতে পারেন। তিনি হচ্ছেন ক্রাইসিস ম্যানেজ মাস্টার। সব ক্রাইসিস নীরবে সামাল দেন। তিনি সাহস করেছেন বলেই বিশ্বব্যাংককে টেক্কা দিয়ে পদ্মা সেতু পাচ্ছি। হচ্ছে কর্ণফুলী টানেল, থার্ড টার্মিনাল। বিশ্বব্যাংক না করে দেওয়ার পরও পদ্মা সেতু নির্মাণ থেকে শেখ হাসিনা সরেননি। অসীম সাহস নিয়ে দেশি অর্থায়নে শুরু করে দিলেন পদ্মা সেতুর নির্মাণ। এমন কাজ করতে পেরেছেন সততা ছিল বলেই।
কিছুদিন আগে ড. ওয়াজেদ মিয়ার লেখা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ বইটি পড়ছিলাম। এ বইতে ’৭৫-পরবর্তী শেখ হাসিনার কঠোর শ্রমের কথা বলা আছে। কষ্ট করে উঠে দাঁড়ানোর কথা আছে। বাধাবিপত্তি ক্ষণে ক্ষণে ছিল। সময়টা ছিল অনেক বেশি জটিল। তিনি সবকিছু জয় করেই আজকের অবস্থানে। এখনো অনেক মন্ত্রী, এমপির কর্মকান্ডে সরকার হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। জন্ম হচ্ছে বিতর্কের। কারও কারও বিরুদ্ধে ভয়াবহ কথাও শুনি। কিন্তু মুজিবকন্যার সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতার প্রশংসা সারা বাংলাদেশের মানুষ করছে। তিনি রাতদিন ২৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করেন। ঘুমান কখন কেউ জানে না। তাহাজ্জুদ পড়েন। ফজরের নামাজ দিয়ে দিন শুরু করেন। ধর্মকর্ম সবাই করেন। আল্লাহর রহমত আছে তাঁর ওপর। বাংলাদেশকে এখন যারা মূল্যায়ন করছে না, কাল তারাই তাঁর কথা বলবে। ইতিহাস বলে, বাঙালি সব সময় যা সামনে থাকে তা নিয়ে খুশি থাকে না। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করার সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। এরপর লাগাতার মিথ্যা আর কুৎসা চালানো হয় বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে। নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতা ইংরেজদের হাতে তুলে দিয়ে আনন্দিত হয়েছিল ঘাতকরা। সিরাজের পতনের পর তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হয় ইংরেজদের খুশি করতে। এখনো এ দেশে সড়কের নাম হয় ফুলার রোড, মিন্টো রোড! উপমহাদেশের ইতিহাসের পরতে পরতে মানুষের জটিলতা আর কুটিলতাই বেরিয়ে আসে বেশি। শুধু ঢাকা নয়, মুম্বাই, কলকাতা, দিল্লিতে ইংরেজদের নামে অনেক সড়ক ও স্থাপনা রয়েছে। আর এ উপমহাদেশকে যাঁরা গড়েছেন তাঁরা হয়েছেন হিংসার শিকার।
গান্ধীকে হত্যা করা হয় ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের কয়েক মাসের মাথায়। ভারতবর্ষের স্বাধীনতার আগমুহূর্তে দাঙ্গা বন্ধে গান্ধী নোয়াখালী, কলকাতা, কাশ্মীর সফর করেন। কাশ্মীর যাওয়ার পথে অমৃতসরে তিনি দেখেন তরুণরা তাঁকে কালো পতাকা দেখাচ্ছে। সেøাগান দিচ্ছে, গান্ধী ফিরে যাও। কষ্ট পেয়ে কানে আঙুল দেন মহাত্মা গান্ধী। ফেরার পথে তিনি সেই অমৃতসরে দেখেন সারিবদ্ধভাবে হাজার হাজার মানুষ হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে আছে। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানিরা, গান্ধীকে ইংরেজরা হত্যা করেনি। করেছে তাঁদের দেশের লোকজনই। যাদের তাঁরা স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। ভারতবর্ষের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে পালাতে হয়েছিল সিপাহি বিদ্রোহের জেরে। তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন এক পীর সাহেবের দরবারে। ভেবেছিলেন নিরাপত্তা পাবেন। কেউ তাঁকে ধরিয়ে দেবে না। সেই পীরই বাহাদুর শাহকে ধরিয়ে দিয়েছিলেন ইংরেজ সেনাদের হাতে! দিল্লির শেষ বাদশাহর চোখ তুলে নিয়ে তাঁকে পরিবারসহ পাঠিয়ে দেওয়া হয় রেঙ্গুনে (ইয়াঙ্গুন)। ভারতবর্ষের কোনো মানুষই সেদিন তাঁর পাশে এসে দাঁড়ায়নি। সঙ্গী হননি সম্রাটের শেষযাত্রার। রেঙ্গুনে কষ্টকর জীবনে তিনি মৃত্যুর আগে আক্ষেপ করে লিখেছিলেন, ‘কিতনা হ্যায় বদনসিব জাফর দাফন কে লিয়ে, দো-গজ জমিন ভি না মিলি কুওয়ে ইয়ার মে’। অর্থাৎ ‘জাফর, তুমি কত দুর্ভাগা! নিজের দাফনের জন্য প্রিয় জন্মভূমিতে দুই গজ মাটিও জুটল না।’ আমি সম্রাট বাহাদুর শাহের মাজার জিয়ারত করেছিলাম ইয়াঙ্গুনে। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতও করেছিলাম।
সম্রাট বাহাদুর শাহ একজন কবি ছিলেন। শেষ জীবনে মনের কষ্টের কথাগুলো লিখে গেছেন নিজের কবিতায়। মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখ-আনন্দের কথাই থাকে কবিতায়। কবি শামসুর রাহমান, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, রফিক আজাদ, বেলাল চৌধুরীসহ অনেক কবিকে কাছ থেকে দেখেছি। কবিতায় তাঁরা আনন্দকে তুলে আনতেন, বেদনাকে দিতেন ঠাঁই। নীরব অভিমানের সঙ্গে করতেন সন্ধি। আর সে কারণেই হয়তো কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘যেদিন আমি হারিয়ে যাব/ বুঝবে সেদিন বুঝবে/অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুঁছবে/বুঝবে সেদিন বুঝবে!’ মানুষ চলে গেলে তার অবর্তমানে শূন্যতা বোঝা যায়। থাকার সময় মূল্যায়নটা করা হয় না। মানুষের ভিতরেই লুকিয়ে থাকে দ্বিমুখী আচরণ। আমার দাদি বলতেন, কাউকে চাঁদ উপহার দাও, সে মনে করবে চাইলে তুমি সূর্যটা দিতে পারতে। কিন্তু তুমি তা করনি। আজকাল কেন জানি দাদির কথাগুলোই মনে পড়ছে। ব্যক্তিগত জীবনে যার জন্য যত করা হয় প্রতিদানে সে ততটাই নোংরামি করে। সব জেনেই কাজের মানুষ আফসোস ও দীর্ঘশ্বাস নিয়েই পথ চলে। মানুষের কাছে পাওয়া আঘাত নিয়ে মক্কা ছেড়েছিলেন মহানবী (সা.)। তিনি হিজরত করেছিলেন মদিনায়। আজকের ভারত ইন্দিরা গান্ধীকে শ্রদ্ধা আর সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করে। ব্রিটেন মূল্যায়ন করে মার্গারেট থ্যাচারকে। কিন্তু ক্ষমতার পদে পদে দুজনই বাধাগ্রস্ত হয়েছিলেন। ইন্দিরা গান্ধীকে জরুরি অবস্থা জারি করতে হয়েছিল দেশ শাসন করতে গিয়ে। ক্ষমতা ছাড়ার পর যেতে হয়েছিল কারাগারে। অভিযান হয়েছিল তাঁর বাড়িতেও। মার্গারেট থ্যাচারের কথা না-ই বললাম। আন্দোলনের মুখে ব্রিটেনের স্মরণকালের সাহসী প্রধানমন্ত্রী থ্যাচারকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল। বিদায়ের সময় আয়রন লেডি নীরবে বিসর্জন দিয়েছিলেন অশ্রু।
আড্ডায় গল্পে সময় কেটে যায় কখন বুঝতে পারিনি। আমাদের ফ্লাইটের সময় ঘনিয়ে এলো। শেখ হাসিনা নিয়ে আমাদের মতের কোনো ভিন্নতা ছিল না। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নতুন রূপ দিয়েছেন। এ দলকে তিনি বারবার ক্ষমতায় এনেছেন। ইতিহাস গড়েছেন। এ ইতিহাস খুব সহজে কেউ ভাঙতে পারবে না। এভাবে উন্নয়ন অতীতে কখনো এ দেশে হয়নি। এ উন্নয়নে শেখ হাসিনার সততা-নিষ্ঠার প্রশংসা হয়। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এরশাদ সাহেবের একটা সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। এরশাদ কথায় কথায় সেদিন বলেছিলেন, ক্ষমতায় থাকাকালে আমি রাষ্ট্রীয় প্রতিটি ফাইল পড়তাম। মন্তব্য-মতামত লিখতাম। এখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি ফাইল খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েন। কঠোর চোখে ফাইলে মতামত দেন। থাকে অনেক নির্দেশনা। রাষ্ট্রনায়কদের সবাই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব দেখেন না। শেখ হাসিনা এভাবে দেখেন বলেই বারবার ক্ষমতায় আসেন। দেশ চালাচ্ছেন আপন মহিমায়। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। দেখাচ্ছেন নতুন করে পথ চলার গতি। এই এগিয়ে চলার পথে কিছু মানুষের কান্ডকীর্তিতে ভয় ধরে মাঝেমধ্যে। আদর্শিক গতিতে নয়, সরকারি দলের কিছু মানুষ চলছেন ‘মাইম্যান’ থিউরি নিয়ে।
এভাবে চললে অনেক সর্বনাশা কান্ড ঘটবে যা সামাল দেওয়া কঠিন হবে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের বাড়াবাড়ি করা কর্মীদের জন্য ইউটিউবে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর একটি সতর্কবার্তা আছে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে এ দেশে কী ঘটবে তা জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বলে কিছু থাকবে না। এক দিনেই বাংলাদেশ চলে যাবে ধ্বংসের দিকে। আর মারা যাবে ৫ থেকে ৬ লাখ মানুষ।’ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তান হিসেবে তিনি আওয়ামী লীগকে সতর্ক করার প্রয়োজন মনে করেছেন। শেখ হাসিনা না থাকলে কী হবে তা নিয়ে সবার মনে ভয় ধরে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শেষ ঠিকানা শেখ হাসিনার বিকল্প তিনি নিজে, আর কেউ নন। সাহস, শক্তি, সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা নিয়ে এ দেশকে তিনি এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। প্রত্যাশা করছি, আগামীতে আরও এগিয়ে যাবেন।
লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন