সাগরিকার পাড়ে রান বন্যায় ভাসবে বিপিএল

দলের কোনো অনুশীলন ছিল না। কিন্তু মুশফিকুর রহিম চলে এলেন আলাদাভাবে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এসেই তিনি চলে আসেন উইকেট দেখতে। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে মনোযোগ দিয়ে যেন উইকেট পড়ার চেষ্টা করেন। এরপর শুরু হয় তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের অনুশীলন। নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়া শেষে বিকেলে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, এটি ব্যাটিং সহায়ক উইকেট।

 

চট্টগ্রাম অন্যতম হাইস্কোরিং গ্রাউন্ড। শুধু গত বছর নয়, এখানে বিপিএলের যতগুলো ম্যাচ হয়েছে, সব সময় বড় রান হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা যেন কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারি। কারণ, ঢাকা ও চট্টগ্রামের উইকেটের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে’-এভাবে বলেছেন মুশফিক।

 

মুশফিকের কথার সত্যতা মেলে পরিসংখ্যানেও। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দলীয় সর্বোচ্চ ৬ ইনিংস যে এই মাঠেই। ১৩ ইনিংসের মধ্যে ১০টিই সাগরিকার পাড়ের এই স্টেডিয়ামটির দখলে। তাই মুশফিকরা এখন আছেন দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টায়।

 

‘আমরা যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারব, আমাদের জন্য ততই ভালো হবে। আশা করছি, উইকেট ভালো হবে। উইকেট ট্রু অ্যান্ড ফ্রেশ এবং অবশ্যই ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হবে।

 

জহুর আহমেদে প্রথম ম্যাচে মুশফিকদের খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলটির অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজও বলছেন, উইকেট ভালো।

মিরাজের মতে, ‘উইকেট তো অবশ্যই ভালো। প্রত্যেক ব্যাটসম্যান ও বোলারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। যত ভালো উইকেটে খেলবে ব্যাটসম্যানরা তত রান করে আত্মবিশ্বাস পাবে এবং বোলাররাও অনেক কিছু শিখতে পারবে। আমি মনে করি, ভালো উইকেটে খেলাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

 

ফরচুন বরিশালের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান মনে করেন তার দলের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এই উইকেট সহায়তা করবে। ‘আসলে সত্যিকার অর্থে চট্টগ্রামের উইকেট খুব ভাল থাকে। আর টিম হিসেবে যদি বলি, সর্বশেষ দুটা ম্যাচ হেরে আমরা কিছুটা ব্যাকফুটে ছিলাম। আমরা অবশ্যই চাইব ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে এবং যেহেতু এখানে উইকেট অনেক ভাল থাকবে আমার কাছে মনে হয় বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে। অবশ্যই আমরা জেতার জন্য মাঠে নামব।

 

ঢাকায় প্রথম চারদিনের ৮ ম্যাচে ১ উইকেটে দেখা গেছে দুই চিত্র। দিনের ম্যাচে রান খরা আর রাতের ম্যাচে রান উৎসব। শে-ই বাংলায় ছিল শিশিরের প্রভাব। তবে এই সমস্যা নেই জহুর আহমেদে। মুশফিকরা মনে করছেন এই উইকেটে ব্যাটসম্যানরা সুবিধা পাবেন। ম্যাচ হবে হাইস্কোরিং। এখন দেখার বিষয় রান বন্যায় ভাসে কী না সাগরিকার পাড়। সূএ:রাইজিংবিডি.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» স্বৈরাচারের দোসররা এখনো রাষ্ট্রের গভীরে অবস্থান করছে : রিজভী

» শেখ হাসিনা কখনো বাংলাদেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেননি

» চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে বিশ্বের ১১০ কোটি মানুষ: জাতিসংঘ

» ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে এনআইডি সার্ভার

» ৩০ লাখ টাকা করে পাবে আন্দোলনে শহীদদের পরিবার: মাহফুজ আলম

» ৭ মার্চ কোনো ঐতিহাসিক মাইলফলক নয়: টুকু

» শেখ হাসিনাকে ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার

» ব্যাংকিং সেবা উন্নত করতে ইউসিবি ও ডি মানির অংশীদারত্ব চুক্তি

» ইসলামপুর প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিহত সাংবাদিক কোরবান আলীর জানাযা সম্পন্ন

» জাতীয় স্মৃতিসৌধে পিএসসি চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সাগরিকার পাড়ে রান বন্যায় ভাসবে বিপিএল

দলের কোনো অনুশীলন ছিল না। কিন্তু মুশফিকুর রহিম চলে এলেন আলাদাভাবে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এসেই তিনি চলে আসেন উইকেট দেখতে। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে মনোযোগ দিয়ে যেন উইকেট পড়ার চেষ্টা করেন। এরপর শুরু হয় তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের অনুশীলন। নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়া শেষে বিকেলে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, এটি ব্যাটিং সহায়ক উইকেট।

 

চট্টগ্রাম অন্যতম হাইস্কোরিং গ্রাউন্ড। শুধু গত বছর নয়, এখানে বিপিএলের যতগুলো ম্যাচ হয়েছে, সব সময় বড় রান হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা যেন কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারি। কারণ, ঢাকা ও চট্টগ্রামের উইকেটের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে’-এভাবে বলেছেন মুশফিক।

 

মুশফিকের কথার সত্যতা মেলে পরিসংখ্যানেও। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দলীয় সর্বোচ্চ ৬ ইনিংস যে এই মাঠেই। ১৩ ইনিংসের মধ্যে ১০টিই সাগরিকার পাড়ের এই স্টেডিয়ামটির দখলে। তাই মুশফিকরা এখন আছেন দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টায়।

 

‘আমরা যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারব, আমাদের জন্য ততই ভালো হবে। আশা করছি, উইকেট ভালো হবে। উইকেট ট্রু অ্যান্ড ফ্রেশ এবং অবশ্যই ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হবে।

 

জহুর আহমেদে প্রথম ম্যাচে মুশফিকদের খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলটির অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজও বলছেন, উইকেট ভালো।

মিরাজের মতে, ‘উইকেট তো অবশ্যই ভালো। প্রত্যেক ব্যাটসম্যান ও বোলারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। যত ভালো উইকেটে খেলবে ব্যাটসম্যানরা তত রান করে আত্মবিশ্বাস পাবে এবং বোলাররাও অনেক কিছু শিখতে পারবে। আমি মনে করি, ভালো উইকেটে খেলাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

 

ফরচুন বরিশালের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান মনে করেন তার দলের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এই উইকেট সহায়তা করবে। ‘আসলে সত্যিকার অর্থে চট্টগ্রামের উইকেট খুব ভাল থাকে। আর টিম হিসেবে যদি বলি, সর্বশেষ দুটা ম্যাচ হেরে আমরা কিছুটা ব্যাকফুটে ছিলাম। আমরা অবশ্যই চাইব ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে এবং যেহেতু এখানে উইকেট অনেক ভাল থাকবে আমার কাছে মনে হয় বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে। অবশ্যই আমরা জেতার জন্য মাঠে নামব।

 

ঢাকায় প্রথম চারদিনের ৮ ম্যাচে ১ উইকেটে দেখা গেছে দুই চিত্র। দিনের ম্যাচে রান খরা আর রাতের ম্যাচে রান উৎসব। শে-ই বাংলায় ছিল শিশিরের প্রভাব। তবে এই সমস্যা নেই জহুর আহমেদে। মুশফিকরা মনে করছেন এই উইকেটে ব্যাটসম্যানরা সুবিধা পাবেন। ম্যাচ হবে হাইস্কোরিং। এখন দেখার বিষয় রান বন্যায় ভাসে কী না সাগরিকার পাড়। সূএ:রাইজিংবিডি.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com