বাড়ি ফেরার লড়াই সিলেটে

বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় সিলেটে শুরু হয়েছে বাড়ি ফেরার লড়াই। পানিতে ডুবে থাকা বাসাবাড়ির ভিতর ময়লা-আবর্জনা ও পলি জমেছে। এগুলো পরিচ্ছন্ন করতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিত হয়েছে নতুন কয়েকটি এলাকা। নেত্রকোনায় সোমেশ্বরীর পানি কমতে শুরু করেছে। মানিকগঞ্জে যমুনা এবং গাইবান্ধায় নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে বাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে শত শত বিঘা জমির বোরো ধান। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

 

সিলেট : সিলেট থেকে নেমে গেছে বন্যার পানি। আক্রান্ত এলাকার যেসব মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছিলেন, তারা ফিরতে শুরু করেছেন। তবে বাসাবাড়ির ভিতর ময়লা-আবর্জনা ও পলি জমে যাওয়ায় পরিচ্ছন্ন করতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সিলেট নগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় যেসব কাঁচা ঘরবাড়িতে বন্যার পানি উঠেছিল সেগুলো ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সুরমার পানি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার নিচে নামায় সিলেট নগরী থেকে নেমে গেছে পানি। নগরীর তালতলার বাসিন্দা জাবেদ আহমদ জানান, তালতলা এলাকায় চার-পাঁচ ফুট পানি উঠেছিল। বাসার ভিতর পানি ওঠায় উপায়ন্তর না পেয়ে আত্মীয়ের বাসায় উঠেছিলেন। গতকাল বাসায় ফেরেন। বাসার ভিতর ময়লা-আবর্জনা ও পলি জমায় পরিবারের সদস্যদের বাসায় নিয়ে আসতে পারেননি। যেভাবে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তাতে টেকা দায়। এদিকে, সিলেটের বন্যা আক্রান্ত বেশির ভাগ উপজেলা থেকে পানি নেমে গেছে।

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত ও ঢলের পানি আসা কমে যাওয়ায় জেলা সীমান্তবর্তী পাঁচটি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। জেলা সদরে সুরমার পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও ছাতকে এখনো রয়েছে ৬৫ সেন্টিমিটার ওপরে। এদিকে, উজানের পানির চাপে ভাটির উপজেলা দিরাই, শাল্লা ও জগন্নাথপুরে দ্রুত পানি বাড়ছে। সেখানে বন্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বন্যা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। ইতিপূর্বে প্লাবিত নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি। পানির নিচে রয়েছে চলাচলের অনেক রাস্তা, ঘরবাড়ি। পানিবন্দি হাজারো মানুষ পোহাচ্ছেন চরম ভোগান্তি। সুনামগঞ্জ পৌরসভার বর্ধিত এলাকা হিসেবে পরিচিত সুলতানপুর, নতুন হাছননগর, কালীপুরে সরেজমিন দেখা যায়, এসব এলাকায় পানি কমতে শুরু করলেও প্লাবিত রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি থেকে এখনো বন্যার পানি সরেনি। শহরের সঙ্গে কালিপুর গ্রামকে যুক্ত করার একমাত্র সড়কটি হাঁটু সমান পানির নিচে। একই পরিস্থিতি শহরের পূর্ব সুলতানপুর ও নতুন হাছননগরে। নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি থেকে পানি নামেনি। চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নাগরিকরা। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা চলছে নৌকা করে। পূর্ব সুলতানপুর এলাকার রুকেয়া জানান, কাঠের দুটি চৌকির পায়ার নিচে ইট বসিয়ে উঁচু করে বসবাস করছেন তারা। পাশেই আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও সেখানে যাননি তারা। তার অভিযোগ, পানির ওপর কষ্ট করে বসবাস করলেও সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পায়নি তার পরিবার। কালিপুর গ্রামের আনফর আলী বলেন, বাড়ি প্লাবিত হয়ে চুলাও বন্ধ তার পরিবারের। এর বিপরীতে ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ তার।

নেত্রকোনা : দুর্গাপুরে কমতে শুরু করেছে সোমেশ্বরী নদীর পানি। নতুন করে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল না আসায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদী তীরের শিবগঞ্জ, কুলাউড়া, ভবানীপুরসহ কয়েকটি গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষ।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাধানগর ইউনিয়নে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে বিল অঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে গত শনিবার রাধানগর ইউনিয়নের বিভীষণের বিলে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সিঙ্গাবাদ পাথার এলাকায় নতুন করে পানি প্রবেশ করায় বিলে থাকা শত শত বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

 

গাইবান্ধা : গাইবান্ধার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, তিস্তা ও করতোয়া নদীর মধ্যে ঘাঘট ও তিস্তার পানি গত কয়েকদিন থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায় গত ২৪ ঘণ্টায় ঘাঘটের পানি ২ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এগুলো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও করতোয়ার পানি স্থিতাবস্থায় এবং বিপৎসীমার নিচে আছে। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে পানি ধীরে ধীরে বাড়ছে। এতে কিছু চর এবং নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তিস্তা এলাকায় সুন্দরগঞ্জ এবং ব্রহ্মপুত্র এলাকায় সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার কয়েক শ বিঘা চরে কাউন খেত ডুবে গেছে। বাধ্য হয়ে আধাপাকা কাউন কেটে নিচ্ছেন কৃষকরা।

 

মানিকগঞ্জ : আরিচা পয়েন্টে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

 

রাজবাড়ী : গোয়ালন্দে পদ্মা নদীর পানি দিন দিন বাড়ছে। গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১১ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এ নিয়ে গত তিন দিনে ৮১ সেন্টিমিটার পানি বাড়ল। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আমাদের মূল লক্ষ্য ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা: ইসি হাবিব

» এরশাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছি: জি এম কাদের

» ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে

» বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ

» বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশাধিকারের দাবি নোয়াব ও সম্পাদক পরিষদের

» ২০০ টাকায় দেখা যাবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে লড়াই

» বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদকবিরোধী অভিযানে বিক্রি ও সেবনের অপরাধে ২০জন গ্রেপ্তার

» চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী

» উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেই: ইসি আলমগীর

» মানুষের প্রতিকার চাওয়ার কোনো জায়গা নেই: রিজভী

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বাড়ি ফেরার লড়াই সিলেটে

বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় সিলেটে শুরু হয়েছে বাড়ি ফেরার লড়াই। পানিতে ডুবে থাকা বাসাবাড়ির ভিতর ময়লা-আবর্জনা ও পলি জমেছে। এগুলো পরিচ্ছন্ন করতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিত হয়েছে নতুন কয়েকটি এলাকা। নেত্রকোনায় সোমেশ্বরীর পানি কমতে শুরু করেছে। মানিকগঞ্জে যমুনা এবং গাইবান্ধায় নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে বাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে শত শত বিঘা জমির বোরো ধান। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

 

সিলেট : সিলেট থেকে নেমে গেছে বন্যার পানি। আক্রান্ত এলাকার যেসব মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছিলেন, তারা ফিরতে শুরু করেছেন। তবে বাসাবাড়ির ভিতর ময়লা-আবর্জনা ও পলি জমে যাওয়ায় পরিচ্ছন্ন করতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সিলেট নগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় যেসব কাঁচা ঘরবাড়িতে বন্যার পানি উঠেছিল সেগুলো ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সুরমার পানি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার নিচে নামায় সিলেট নগরী থেকে নেমে গেছে পানি। নগরীর তালতলার বাসিন্দা জাবেদ আহমদ জানান, তালতলা এলাকায় চার-পাঁচ ফুট পানি উঠেছিল। বাসার ভিতর পানি ওঠায় উপায়ন্তর না পেয়ে আত্মীয়ের বাসায় উঠেছিলেন। গতকাল বাসায় ফেরেন। বাসার ভিতর ময়লা-আবর্জনা ও পলি জমায় পরিবারের সদস্যদের বাসায় নিয়ে আসতে পারেননি। যেভাবে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তাতে টেকা দায়। এদিকে, সিলেটের বন্যা আক্রান্ত বেশির ভাগ উপজেলা থেকে পানি নেমে গেছে।

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত ও ঢলের পানি আসা কমে যাওয়ায় জেলা সীমান্তবর্তী পাঁচটি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। জেলা সদরে সুরমার পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও ছাতকে এখনো রয়েছে ৬৫ সেন্টিমিটার ওপরে। এদিকে, উজানের পানির চাপে ভাটির উপজেলা দিরাই, শাল্লা ও জগন্নাথপুরে দ্রুত পানি বাড়ছে। সেখানে বন্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বন্যা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। ইতিপূর্বে প্লাবিত নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি। পানির নিচে রয়েছে চলাচলের অনেক রাস্তা, ঘরবাড়ি। পানিবন্দি হাজারো মানুষ পোহাচ্ছেন চরম ভোগান্তি। সুনামগঞ্জ পৌরসভার বর্ধিত এলাকা হিসেবে পরিচিত সুলতানপুর, নতুন হাছননগর, কালীপুরে সরেজমিন দেখা যায়, এসব এলাকায় পানি কমতে শুরু করলেও প্লাবিত রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি থেকে এখনো বন্যার পানি সরেনি। শহরের সঙ্গে কালিপুর গ্রামকে যুক্ত করার একমাত্র সড়কটি হাঁটু সমান পানির নিচে। একই পরিস্থিতি শহরের পূর্ব সুলতানপুর ও নতুন হাছননগরে। নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি থেকে পানি নামেনি। চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নাগরিকরা। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা চলছে নৌকা করে। পূর্ব সুলতানপুর এলাকার রুকেয়া জানান, কাঠের দুটি চৌকির পায়ার নিচে ইট বসিয়ে উঁচু করে বসবাস করছেন তারা। পাশেই আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও সেখানে যাননি তারা। তার অভিযোগ, পানির ওপর কষ্ট করে বসবাস করলেও সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পায়নি তার পরিবার। কালিপুর গ্রামের আনফর আলী বলেন, বাড়ি প্লাবিত হয়ে চুলাও বন্ধ তার পরিবারের। এর বিপরীতে ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ তার।

নেত্রকোনা : দুর্গাপুরে কমতে শুরু করেছে সোমেশ্বরী নদীর পানি। নতুন করে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল না আসায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদী তীরের শিবগঞ্জ, কুলাউড়া, ভবানীপুরসহ কয়েকটি গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষ।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাধানগর ইউনিয়নে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে বিল অঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে গত শনিবার রাধানগর ইউনিয়নের বিভীষণের বিলে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সিঙ্গাবাদ পাথার এলাকায় নতুন করে পানি প্রবেশ করায় বিলে থাকা শত শত বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

 

গাইবান্ধা : গাইবান্ধার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, তিস্তা ও করতোয়া নদীর মধ্যে ঘাঘট ও তিস্তার পানি গত কয়েকদিন থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায় গত ২৪ ঘণ্টায় ঘাঘটের পানি ২ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এগুলো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও করতোয়ার পানি স্থিতাবস্থায় এবং বিপৎসীমার নিচে আছে। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে পানি ধীরে ধীরে বাড়ছে। এতে কিছু চর এবং নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তিস্তা এলাকায় সুন্দরগঞ্জ এবং ব্রহ্মপুত্র এলাকায় সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার কয়েক শ বিঘা চরে কাউন খেত ডুবে গেছে। বাধ্য হয়ে আধাপাকা কাউন কেটে নিচ্ছেন কৃষকরা।

 

মানিকগঞ্জ : আরিচা পয়েন্টে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

 

রাজবাড়ী : গোয়ালন্দে পদ্মা নদীর পানি দিন দিন বাড়ছে। গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১১ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এ নিয়ে গত তিন দিনে ৮১ সেন্টিমিটার পানি বাড়ল। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com