আজ ২৫ এপ্রিল ঘোষণা হতে পারে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল। এদিকে নগরীর অফিস-আদালত, অলি-গলিতে আলোচনা চলছে কোন দলের কে পাচ্ছেন দলের মনোনয়ন? সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না। জয়ী ব্যক্তির হাত ধরে নগরীর জলাবদ্ধতা, যানজট ও পরিকল্পিত নগরী গড়ে উঠবে কি না? সিটি নির্বাচনের আলোচনা শুরুর পর থেকে নগরীর দেয়ালে লাগছে নতুন পোস্টার। খুঁটিতে ঝুলছে শুভেচ্ছা ফেস্টুন। তাদের অধিকাংশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত মনোনয়নপ্রত্যাশী।
আলোচনায় রয়েছেন- বর্তমান মেয়র বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য কাউসার জামান বাপ্পি, আওয়ামী লীগ নেতা কবিরুল ইসলাম সিকদার, মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান মিঠু, মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আফজল খানের ছেলে কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, মুক্তিযোদ্ধা মেজর মমিন ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব কাজী ফারুক আহাম্মেদ। এদিকে পোস্টার ব্যানারের প্রচারণায় না থাকলেও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, সংরক্ষিত আসনের এমপি, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আফজল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমা ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম অহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম সিকদার নির্বাচন করতে পারেন বলে তার সমর্থকরা জানিয়েছেন।
আরফানুল হক রিফাত বলেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মহানগর আওয়ামী লীগের সভায় আমাকে সবাই সমর্থন দিয়েছেন। আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দলের জন্য আমার অবদানকে মূল্যায়ন করবেন।
আনিসুর রহমান মিঠু বলেন, তিনি দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে তার চারজন কর্মী দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হয়েছেন। তিনি ২৩টি মামলায় পড়েছেন। ১৩ মাস জেল খেটেছেন। অনেক কর্মী সৃষ্টি করেছেন। এসব কিছু বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে অবশ্যই মূল্যায়ন করবেন।
কাউসার জামান বাপ্পি বলেন, তার মাঠ গোছানো রয়েছে। দল নির্বাচনে গেলে তিনি মনোনয়ন চাইবেন। তিনি আশা করেন দল অবশ্যই তাকে মূল্যায়ন করবে।
মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমি এখনো মেয়র। দিনরাত নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে ছুটছি। আজও ১৩টি ওয়ার্ডে কাজের তদারকি করেছি। দল নির্বাচনে গেলে মনোনয়ন চাইব। দল নির্বাচনে না গেলে সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। এদিকে নগরীর সুধী সমাজ নগরীর সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারবে এমন যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে আসুক বলে মন্তব্য করেছেন। ইতিহাস গবেষক আহসানুল কবির বলেন, নির্বাচনে শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান্ধব প্রার্থী চাই। যিনি কুমিল্লা নগরীকে আগামী ১০০ বছরের উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারেন। সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, মানুষ একটি সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ চায়। তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চায়। নাগরিকের এ দাবি নির্বাচন কমিশন কতটুকু পূরণ করতে পারে তা এখন দেখার বিষয়।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নগরীর যানজট জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি নগরীর প্রতিটি মানুষের। এদিকে নগরীর পুরাতন গোমতীকে সাজানো গেলে নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেত। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন