নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে দোকান কর্মচারী মুরসালিনের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করেছেন তার ভাই নুর মোহাম্মদ। মামলায় অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ ম কাইয়ুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, ‘মুরসালিনের মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে তার ভাই নুর মোহাম্মদ হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে মুরসালিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. মনিকা খন্দকার। ঢামেক হাসপাতাল মর্গ সূত্রে জানা যায়, আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মুরসালিনের মৃত্যু হয়েছে।
মুরসালিন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাডাকান্দি গ্রামের মো. মানিক মিয়ার ছেলে। বর্তমানে কামরাঙ্গীরচর ঝাউলাহাটি চৌরাস্তা এলাকায় থাকতেন। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মুরসালিন দ্বিতীয়। এছাড়া মুরসালিন এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তার স্ত্রীর নাম মিতু আক্তার।
নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) হালদার অর্পিত ঠাকুর জানান, মিরপুর রোডের নিউমার্কেটের সামনে মুরসালিন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ভাই নুর মোহাম্মদ জানান, মুরসালিনের মরদেহ কামরাঙ্গীরচর ঝাউলাহাটি এলাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে নামাজে জানাজা শেষে তার মরদেহ আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
গত ১৭ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকানকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ, যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এতে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান নাহিদ হাসান নামে এক ভেলিভারিম্যান।