‘ফিনিশার’ ধোনির তাণ্ডবে চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় জয় তুলে নিল দলটির চেন্নাই সুপার কিংস। অন্যদিকে হারের রেকর্ড গড়লো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
আসরের ৩৩তম ম্যাচে বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের ড. ডিওয়াই পাতিল অ্যাকাডেমিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৩ উইকেটে জিতেছে চেন্নাই। শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে মুম্বাই। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে শেষ বলে জয় তুলে নেয় চেন্নাই।
এই নিয়ে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার (৮ ম্যাচ) শেষ বলে জয় পাওয়ার রেকর্ডটাকে আরও সমৃদ্ধ করল চেন্নাই। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুম্বাই মোট ৬ বার এমন জয় নিয়ে আছে দুইয়ে। তবে রোহিত শর্মার দলকে বৃহস্পতিবার লজ্জার এক রেকর্ডে নাম লেখাতে হয়েছে। কারণ আইপিএলে কোনো একক আসরে প্রথম দল হিসেবে নিজেদের প্রথম সাত ম্যাচেই হারলো তারা। এর আগে ২০১৩ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ও ২০১৯ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু প্রথম ৬ ম্যাচে হেরেছিল।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ড্যানিয়েল স্যামস বোলিং তোপের মুখে পড়ে চেন্নাই। ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড (০) ও তিনে নামা মিচেল স্যান্টনার (১১) দুজনেই তার শিকার হয়ে ফেরেন। এরপর আরেক ওপেনার রবিন উত্থাপ্পাকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন আম্বাতি রাইডু। উত্থাপ্পা ফেরেন ২৫ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে। এরপর শিভব দুবের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। তাকেও ফেরান স্যামস।
চেন্নাইয়ের দলীয় সংগ্রহ ১০০ ছাড়ানোর পথ স্যামসের চতুর্থ শিকার হয়ে ফেরেন রাইডু। ৩৫ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪০ রান করেন তিনি। এরপর অধিনায়ক রবিন্দ্র জাদেজাও (৩) দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরলে হারের শংকা ভর করে চেন্নাই শিবিরে। কিন্তু প্রথমে ডোয়াইন প্রোটিয়াস ও পরে ধোনি চেন্নাইকে উদ্ধার করেন। দুজনে ক্রিজে থাকা অবস্থায় শেষ ২ ওভারে ২৮ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের।
জসপ্রিত বুমরাহর করা চেন্নাই ইনিংসের ১৯তম ওভারে প্রোটিয়াসের দুই চারে আসে ১১ রান। ফলে শেষ ওভারে ১৭ রানের। কিন্তু শেষ ওভারের প্রথম বলেই প্রোটিয়াসকে (১৪ বলে ২২) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে খেলা জমিয়ে তোলেন জয়দেব উনাদকাট। কিন্তু আসল রোমাঞ্চ তখনও বাকি। দ্বিতীয় বলটি কোনোমতে ডিপ মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে ধোনিকে স্ট্রাইক দিলেন ডোয়াইন ব্র্যাভো। ৪ বলে ১৬ রান দরকার তখন। ওভারে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই বিশাল ছক্কা হাঁকান ধোনি। পরের বলে চার হাঁকিয়ে লক্ষ্যটাকে ২ বলে ৬ রান বানিয়ে দেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক। পঞ্চম বলে ডাবল ও শেষ বলে ঠিক বাউন্ডারি হাঁকিয়েই জয় নিশ্চিত করেন ধোনি।
বল হাতে মুম্বাইয়ের স্যামস ৪টি, জয়দেব ২টি ও রাইলে মেরেডিথ ১টি উইকেট নিয়েছেন।