নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের পর ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবারের সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের পর ঢাকা কলেজের সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ভোর ৩টা ৫০ মিনিটে কলেজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ.টি.এম. মঈনুল হোসেন।
ঘোষণায় বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণে ১৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স শ্রেণির সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। সকল শিক্ষককে সকাল ১০টার মধ্যে কলেজে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
এদিকে সামাজিক গণমাধ্যমে ঢাকা কলেজের বিভিন্ন গ্রুপে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ী ও পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ‘কথা কাটাকাটির জেরে’ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিউ মার্কেটের গেটের সামনে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল করে। বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও দোকানপাটে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা।
সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ অন্তত ১০০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়েছে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই ব্যবসায়ী। এছাড়া পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন ঢাকা কলেজের চার শিক্ষার্থী। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আহত দুই শিক্ষার্থীর পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন: মোশাররফ হাজারি (২৪) ও রজব রহমান (২৭)।
শিক্ষার্থীরা জানান, পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে মোশাররফ হোসেন বুলেটবিদ্ধ হন। অন্যদিকে পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেল রজবের বুকে লাগে। আহতদের মধ্যে মোশাররফের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন। ব্যবসায়ীরাও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে গেছেন।
তবে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ- এমন অভিযোগ করে কলেজের ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা হলের ছাদে ও তেলের পাম্প এলাকায় অবস্থান নেন।