সুনামগঞ্জে বাঁধ ভেঙে কোনো জায়গায় উপচে পড়ছে পানি। জেলার তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরে বর্ধিত গুরমার বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। গতকাল সকাল থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার-সংলগ্ন এলাকা দিয়ে হাওরে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তলিয়ে যেতে থাকে বিস্তীর্ণ জমির বোরো ধান।
স্থানীয়রা জানান, বাঁধ উপচে হাওরে ঢলের পানি ঢুকে পড়ায় ভাটির কয়েকটি হাওরের প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। লামাগাঁও গ্রামের কৃষক মো. ফারুক হোসাইন জানান, মৌসুমের শুরুতেই এবার টাঙ্গুয়ার হাওরের নজরখালি বাঁধ ভেঙে কৃষকের বোরো ধানের বিপুল ক্ষতি হয়। এখন গুরমার বাঁধ উপচে, কোথাও বা ভেঙে হাওরে পানি ঢুকে পড়ায় কৃষকের অবশিষ্ট ফসলও তলিয়ে যাবে। এতে করে কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষক চরম দুর্দশার মধ্যে পড়বেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় জেলার নদ-নদী ও হাওরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অনেক হাওরের বাঁধ নতুন করে ঝুঁকিতে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি ৪০ সেন্টিমিটার, যাদুকাটায় ৭১ সেন্টিমিটার, পাটলাই নদে ৪৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে বলে জানায় পাউবো।
সুনামগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৩ মিলিমিটার। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী জানান, গতকাল সকাল থেকে বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে। তুলনামূলক উঁচু হওয়ায় এসব স্থানে বাঁধের প্রয়োজন হয় না। আমরা পানি আটকানোর চেষ্টা করছি। লোকজন কাজে নেমেছেন। পানির চাপ যদি কমে আসে আশা করি ফসল রক্ষা সম্ভব হবে।