প্রণব আচার্য্য: কবিতা থেকে কবিতা নির্মাণ করি। মানে, আমি মিস্ত্রি। এর ওর থেকে ইট সিমেন্ট বালি নিয়ে কিছু বানাতে চাই। গেরুয়া দুনিয়ায় শুক্লপক্ষ নেমে আসে কুষ্ঠরোগীর ঘায়ে। আমার নির্মাণকলা থেকে ঝরে পড়ে মধুময় মাত্রাবিন্যাস, জন্মগৃহ এবং কয়েটি হরিতকি।
তুমি ভেবেছ, ঘরযাত্রার দিন আমাকে ডাকবে; আমার তো ঘরই নাই, কী করে পৌরোহিত্য করব তোমার নিটোল চিবুকের!
সূর্যাস্তের দিকে, দুপুরের মধ্যগাঢ় অন্ধকারে জন্মাবে এক হিজল গাছ, তার কোটরে কুণ্ডলী পাকিয়ে আছে নীল শঙ্খিনী। যার শীতল রক্তে বইছে ঋতুস্নাত বালিকার ভয়।
ভেবেছ, এসব ভুলে গেছি? না, এই ভূগোলকে যত মানুষ বাস্তুহারা, তাদের সবার চোখে যে স্বপ্ন, যে ঘৃণা ও হাহাকার, আমি পালিয়ে গিয়ে সেসবের মধ্যে বাঁচতে চেয়েছি।
কিন্তু তোমার শুভ্র ঊরু ও তার মসৃণ আহ্বানের মতো জগতের সকল রাষ্ট্র একদিন বিলোপ হবে। এই আশায় আমরা এবং আমরা মরে মরে যাই