গোপনাঙ্গে দাদ বা চুলকানি? যে উপায়ে মিলবে মুক্তি

শরীরের যেকোনো অঙ্গেই দাদ ও চুলকানি হতে পারে। তবে যারা নিয়মিত খেলাধুলা করেন বা শ্রমসাধ্য কাজকর্ম করেন, তাদের অনেকের ক্ষেত্রেই যৌনাঙ্গ কিংবা কুঁচকির আশপাশে এই ধরনের ঘা দেখতে পাওয়া যায়।

 

প্রাথমিক ভাবে সাধারণত লাল ক্ষত বা র‍্যাশ থেকে সমস্যার সূত্রপাত হয়। ধীরে ধীরে তা ক্রমাগত বৃত্ত বা অর্ধবৃত্তের মতো ছড়িয়ে পড়তে থাকে। গোপনাঙ্গ সংলগ্ন অঞ্চলে এই রোগের জন্য দায়ী টিনিয়া ক্রুরিস নামক এক প্রকার ছত্রাক। সাধারণত অন্তর্বাস কিংবা তোয়ালের ব্যবহারের ভুলেই ছড়ায় এই রোগ। কোন উপায়ে মোকাবিলা করবেন এই জীবাণুর? চলুন জেনে নেয়া যাক-

শুষ্কতা:আর্দ্র ও স্যাঁতস্যাঁতে অঞ্চল এই জীবাণুর আদর্শ আবাস স্থল। কাজেই কুঁচকির এলাকা যতটা সম্ভব শুকনো রাখতে হবে। গোসল বা ব্যায়াম করার পর একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে যৌনাঙ্গ এবং উরুর ভেতরের দিক ভালোভাবে শুকিয়ে নেয়া দরকার। পায়ের আঙুলের দাদ তোয়ালের মাধ্যমে দ্রুত কুঁচকিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে, তাই সব সময়ই আগে গোপনাঙ্গ মোছার পর সব শেষে মুছতে হবে পায়ের পাতা।

 

পরিচ্ছন্ন পোশাক: জীবাণু তাড়াতে চাইলে অপরিষ্কার জামাকাপড় একেবারেই পরা চলবে না। বিশেষত, অন্তর্বাস পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যারা প্রচুর ঘামেন তাদের দিনে একাধিক বার অন্তর্বাস পরিবর্তন করা বাঞ্চনীয়। কৃত্রিম তন্তুর তৈরি অন্তর্বাস উপেক্ষা করাই ভালো। সুতির অন্তর্বাস বায়ু চলাচল ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি উপযোগী।

 

সঠিক মাপের অন্তর্বাস:পাজামা, অন্তর্বাস কিংবা ক্রীড়া ইউনিফর্ম সঠিক মাপের হওয়া আবশ্যক। অতিরিক্ত আঁটোসাঁটো পোশাক এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের পোশাকের সঙ্গে ত্বকের অতিরিক্ত ঘর্ষণের ফলে যে ক্ষত তৈরি হয় তাতে বাড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি। পুরুষরা ব্রিফের পরিবর্তে বক্সার জাতীয় অন্তর্বাস পরার চেষ্টা করতে পারেন।

 

ব্যক্তিগত জিনিস: ব্যক্তিগত প্রসাধনী কিংবা পোশাক অন্যদের ব্যবহার করতে না দেওয়াই ভালো। পাশাপাশি অন্যের পোশাক, তোয়ালে, মোজা, এমনকি জুতার মাধ্যমেও এই জীবাণুর ছড়িয়ে পড়া সম্ভব। আর্দ্র, স্যাঁতস্যাঁতে কিংবা বহু মানুষের যাতায়াত আছে, এমন স্থানে যাওয়ার সময় পা ঢাকা জুতা পরা আবশ্যক। পা থেকেও অতি দ্রুত এই সংক্রমণ কুঁচকিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

 

সাধারণত এই সংক্রমণ সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে খুব সহজেই নিরাময় করা সম্ভব। কিন্তু মনে রাখতে হবে কেবল একটি রোগের ক্ষেত্রেই এই ধরনের উপসর্গের সৃষ্টি হয় না। বিভিন্ন ধরনের কঠিন যৌন রোগেও একই রকমের উপসর্গ দেখা যায়। কাজেই এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াই বাঞ্ছনীয়।  সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জ্বর হলে কখন জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন?

» বাহরাইনের বিপক্ষে গোল প্রয়াত ভাইকে উৎসর্গ করে যা বললেন ঋতুপর্ণা

» শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু

» চার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা

» ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালিত হবে ১৮ জুলাই

» ডিস ব্যবসায়ীকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা

» বিটিভির পর্দায় মাসজুড়ে ‘৩৬ জুলাই

» সব বাধা অতিক্রম করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে : রিজভী

» জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

» সিনেটে ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে ভোট শুরু

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

গোপনাঙ্গে দাদ বা চুলকানি? যে উপায়ে মিলবে মুক্তি

শরীরের যেকোনো অঙ্গেই দাদ ও চুলকানি হতে পারে। তবে যারা নিয়মিত খেলাধুলা করেন বা শ্রমসাধ্য কাজকর্ম করেন, তাদের অনেকের ক্ষেত্রেই যৌনাঙ্গ কিংবা কুঁচকির আশপাশে এই ধরনের ঘা দেখতে পাওয়া যায়।

 

প্রাথমিক ভাবে সাধারণত লাল ক্ষত বা র‍্যাশ থেকে সমস্যার সূত্রপাত হয়। ধীরে ধীরে তা ক্রমাগত বৃত্ত বা অর্ধবৃত্তের মতো ছড়িয়ে পড়তে থাকে। গোপনাঙ্গ সংলগ্ন অঞ্চলে এই রোগের জন্য দায়ী টিনিয়া ক্রুরিস নামক এক প্রকার ছত্রাক। সাধারণত অন্তর্বাস কিংবা তোয়ালের ব্যবহারের ভুলেই ছড়ায় এই রোগ। কোন উপায়ে মোকাবিলা করবেন এই জীবাণুর? চলুন জেনে নেয়া যাক-

শুষ্কতা:আর্দ্র ও স্যাঁতস্যাঁতে অঞ্চল এই জীবাণুর আদর্শ আবাস স্থল। কাজেই কুঁচকির এলাকা যতটা সম্ভব শুকনো রাখতে হবে। গোসল বা ব্যায়াম করার পর একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে যৌনাঙ্গ এবং উরুর ভেতরের দিক ভালোভাবে শুকিয়ে নেয়া দরকার। পায়ের আঙুলের দাদ তোয়ালের মাধ্যমে দ্রুত কুঁচকিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে, তাই সব সময়ই আগে গোপনাঙ্গ মোছার পর সব শেষে মুছতে হবে পায়ের পাতা।

 

পরিচ্ছন্ন পোশাক: জীবাণু তাড়াতে চাইলে অপরিষ্কার জামাকাপড় একেবারেই পরা চলবে না। বিশেষত, অন্তর্বাস পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যারা প্রচুর ঘামেন তাদের দিনে একাধিক বার অন্তর্বাস পরিবর্তন করা বাঞ্চনীয়। কৃত্রিম তন্তুর তৈরি অন্তর্বাস উপেক্ষা করাই ভালো। সুতির অন্তর্বাস বায়ু চলাচল ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি উপযোগী।

 

সঠিক মাপের অন্তর্বাস:পাজামা, অন্তর্বাস কিংবা ক্রীড়া ইউনিফর্ম সঠিক মাপের হওয়া আবশ্যক। অতিরিক্ত আঁটোসাঁটো পোশাক এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের পোশাকের সঙ্গে ত্বকের অতিরিক্ত ঘর্ষণের ফলে যে ক্ষত তৈরি হয় তাতে বাড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি। পুরুষরা ব্রিফের পরিবর্তে বক্সার জাতীয় অন্তর্বাস পরার চেষ্টা করতে পারেন।

 

ব্যক্তিগত জিনিস: ব্যক্তিগত প্রসাধনী কিংবা পোশাক অন্যদের ব্যবহার করতে না দেওয়াই ভালো। পাশাপাশি অন্যের পোশাক, তোয়ালে, মোজা, এমনকি জুতার মাধ্যমেও এই জীবাণুর ছড়িয়ে পড়া সম্ভব। আর্দ্র, স্যাঁতস্যাঁতে কিংবা বহু মানুষের যাতায়াত আছে, এমন স্থানে যাওয়ার সময় পা ঢাকা জুতা পরা আবশ্যক। পা থেকেও অতি দ্রুত এই সংক্রমণ কুঁচকিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

 

সাধারণত এই সংক্রমণ সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে খুব সহজেই নিরাময় করা সম্ভব। কিন্তু মনে রাখতে হবে কেবল একটি রোগের ক্ষেত্রেই এই ধরনের উপসর্গের সৃষ্টি হয় না। বিভিন্ন ধরনের কঠিন যৌন রোগেও একই রকমের উপসর্গ দেখা যায়। কাজেই এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াই বাঞ্ছনীয়।  সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com