ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : ক্রিমিয়া উপদ্বীপের একটি রিসোর্টে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছেন। রাশিয়ার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সোমবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, রাশিয়ার নিয়োজিত ক্রিমিয়ার প্রধান সের্গেই আকসিওনভ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় হতাহতের এ খবর জানায়।
তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ তথ্য অনুসারে জানা গেছে, ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছেন।’
তিনি জানান, ইউক্রেন ফোরোস শহরের রিসোর্টকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় একটি স্যানেটোরিয়াম বা বিশেষায়িত হাসপাতাল ও একটি স্কুল ভবনের প্রাঙ্গণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, উপকূলীয় শহর ইয়াল্টার কাছে ভূপাতিত ড্রোনের ভাঙ্গা অংশটি পড়ে সেখানে আগুন ধরে যায় বলে জানা গেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ক্রিমিয়ার অবকাশযাপন এলাকায়, যেখানে কোনো সামরিক স্থাপনা নেই, ইউক্রেনীয় সেনারা বিস্ফোরকভর্তি ড্রোন দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। মন্ত্রণালয় ঘটনাটিকে “বেসামরিকদের ওপর পূর্বপরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা” বলে বর্ণনা করেছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এ হামলাকে “কিয়েভ সরকারের আরেকটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড” আখ্যা দিয়ে বলেন, “ইউরোপে আক্রমণকারী খুঁজতে চাইলে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আয়নায় তাকানো উচিত। তারাই কিয়েভ সরকারকে পৃষ্ঠপোষকতা ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে ইউরোপে অস্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিচ্ছে।”
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এ ঘটনায় কোনো মন্তব্য করেননি এবং রয়টার্স স্বাধীনভাবে খবরটি যাচাই করতে পারেনি।
আকসিওনভ আরও জানান, ফোরোসে একটি স্কুলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ থেকে ইয়াল্টার কাছে খোলা মাঠে আগুন ধরে যায়। সূত্র: রয়টার্স