একাত্তর সম্মানের, জুলাইও অস্বীকার করা যাবে না : মাওলানা হালিম

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, ১৯৭১ না হলে বাংলাদেশ হতো না। আর চব্বিশ না হলে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিদায় হতো না। তাই একাত্তর আমাদের সম্মানের ও গৌরবের। ২০২৪ হলো সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য তরুণদের জীবনের একটি প্রতিচ্ছবি। একাত্তরে আমরা প্রিয় মাতৃভূমি পেয়েছি। আর চব্বিশে পেয়েছি মতপ্রকাশের মুক্ত স্বাধীনতা। এজন্য জুলাইও অস্বীকার করা যাবে না।

 

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন, নির্বাচন ও কল্যাণ রাষ্ট্র’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় ঐক্যজোটের উদ্যোগে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।

 

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মাওলানা হালিম বলেন, এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত রয়েছেন। আমরা সবাই নির্বাচন চাই। তবে যেনতেন নয়। অর্থাৎ ২০১৪, ২০১৮ বা ২০২৪ এ হওয়া নির্বাচন আমরা চাই না। কেননা এই তিন নির্বাচনের প্রেক্ষিতে কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে আমাদের গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে ছাত্র-জনতা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি-জামায়াতসহ ছোট-বড় সব দল মিলে আমরা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে সফল করেছি। আর এ গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করবে জুলাই জাতীয় সনদ।

 

তিনি বলেন, জুলাই সনদের খসড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে আগে দেওয়া হয়েছিল। আমরা মতামত দিয়েছি। তবে জুলাই সনদে আইনি ভিত্তি না দিলে আমরা স্বাক্ষর করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, আইনি ভিত্তি না হলে এরশাদ পতনের পর ১৯৯১ সালে হওয়া অঙ্গীকার রক্ষা হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ১৭৩ দিন হরতাল করা লাগতো না। সেজন্য জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা স্বজন হারিয়েছেন, তারা আগে হত্যাকাণ্ডের বিচার চান। তাই জুলাই শহীদদের হত্যাকাণ্ডের দৃশ্যমান বিচার বা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া জনগণ নির্বাচন মানবে না।

 

জাকসুর ভোট নিয়ে শঙ্কা জানিয়ে মাওলানা হালিম বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন হয়ে গেল। কিন্তু তিনদিন পার হলেও ফলাফল ঘোষণা করতে পারেনি। ডাকসুতে ৩৯ হাজারেরও বেশি ভোট গণনার ফলাফল দিয়ে দিতে পারলো। অথচ মাত্র আট হাজার কাস্ট হওয়া ভোটের ফলাফল দিতে পারছে না জাকসু। ফলে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু-অবাধ ও নিরপেক্ষ-শান্তিপূর্ণ হবে; এ নিশ্চয়তা আমরা কীভাবে পাবো। তাই জাকসু নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।

 

জাতীয় ঐক্যজোটের প্রধান সমন্বয়কারী মাওলানা আলতাফ হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, লাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান কেএম আবু তাহেরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» মানবাধিকার রক্ষায় মাইলফলক স্থাপন করে যেতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার

» ডাকসু-জাকসু নির্বাচনে কে কোন পদে বসবে আগেই নির্ধারিত ছিল: পাপিয়া

» অবৈধ ডাবল ব্যারেল বন্দুকসহ একজন আটক

» দুপুরে দাওয়াত খাইয়ে রাতে যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করলেন ওসি

» জাতি হিসেবে বরাবরই আমরা সুবিধাবাদী ও স্বার্থপর: নুরুল হক নুর

» আ.লীগ নিষিদ্ধ হলেও তাদের ভোটের অধিকার নিষিদ্ধ না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

» গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা বিএনপির লক্ষ্য : সালাহউদ্দিন

» রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে দু’দিনে ৩৫৪১ মামলা

» লংকানদের বিপক্ষে টাইগারদের সম্ভাব্য একাদশ

» সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

একাত্তর সম্মানের, জুলাইও অস্বীকার করা যাবে না : মাওলানা হালিম

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, ১৯৭১ না হলে বাংলাদেশ হতো না। আর চব্বিশ না হলে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিদায় হতো না। তাই একাত্তর আমাদের সম্মানের ও গৌরবের। ২০২৪ হলো সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য তরুণদের জীবনের একটি প্রতিচ্ছবি। একাত্তরে আমরা প্রিয় মাতৃভূমি পেয়েছি। আর চব্বিশে পেয়েছি মতপ্রকাশের মুক্ত স্বাধীনতা। এজন্য জুলাইও অস্বীকার করা যাবে না।

 

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন, নির্বাচন ও কল্যাণ রাষ্ট্র’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় ঐক্যজোটের উদ্যোগে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।

 

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মাওলানা হালিম বলেন, এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত রয়েছেন। আমরা সবাই নির্বাচন চাই। তবে যেনতেন নয়। অর্থাৎ ২০১৪, ২০১৮ বা ২০২৪ এ হওয়া নির্বাচন আমরা চাই না। কেননা এই তিন নির্বাচনের প্রেক্ষিতে কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে আমাদের গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে ছাত্র-জনতা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি-জামায়াতসহ ছোট-বড় সব দল মিলে আমরা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে সফল করেছি। আর এ গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করবে জুলাই জাতীয় সনদ।

 

তিনি বলেন, জুলাই সনদের খসড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে আগে দেওয়া হয়েছিল। আমরা মতামত দিয়েছি। তবে জুলাই সনদে আইনি ভিত্তি না দিলে আমরা স্বাক্ষর করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, আইনি ভিত্তি না হলে এরশাদ পতনের পর ১৯৯১ সালে হওয়া অঙ্গীকার রক্ষা হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ১৭৩ দিন হরতাল করা লাগতো না। সেজন্য জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা স্বজন হারিয়েছেন, তারা আগে হত্যাকাণ্ডের বিচার চান। তাই জুলাই শহীদদের হত্যাকাণ্ডের দৃশ্যমান বিচার বা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া জনগণ নির্বাচন মানবে না।

 

জাকসুর ভোট নিয়ে শঙ্কা জানিয়ে মাওলানা হালিম বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন হয়ে গেল। কিন্তু তিনদিন পার হলেও ফলাফল ঘোষণা করতে পারেনি। ডাকসুতে ৩৯ হাজারেরও বেশি ভোট গণনার ফলাফল দিয়ে দিতে পারলো। অথচ মাত্র আট হাজার কাস্ট হওয়া ভোটের ফলাফল দিতে পারছে না জাকসু। ফলে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু-অবাধ ও নিরপেক্ষ-শান্তিপূর্ণ হবে; এ নিশ্চয়তা আমরা কীভাবে পাবো। তাই জাকসু নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।

 

জাতীয় ঐক্যজোটের প্রধান সমন্বয়কারী মাওলানা আলতাফ হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, লাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান কেএম আবু তাহেরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com